১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

EN

প্রভাব খাটিয়ে অর্থ আদায় করলো ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সমবায় কর্মকর্তা,উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত শুরু

বার্তা সম্পাদক

প্রকাশিত: ৯:৩২ অপরাহ্ণ , ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১, শুক্রবার , পোষ্ট করা হয়েছে 3 years আগে

মো.নিয়ামুল আকন্ঞ্জি,স্টাফ রিপোর্টর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর সমবায় কর্মকর্তার কর্মকান্ড নিয়ে বিস্তর অভিযোগ
উঠেছে। দিবস পালনের নামে চাঁদা আদায়সহ বিভিন্ন সময় মোটা অংকের চাঁদা দাবী ও চাহিদা মত চাঁদা না দেয়ায় সমবায় সমিতির কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়ার হুমকী দিয়েছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। এ অবস্থায় হয়রাণির প্রতিকার চেয়ে উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে ভুক্তভোগীরা।সে সাথে ওই কর্মকর্তার বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতির বিরুদ্ধে মানববন্ধনও হয়েছে।

ইতিমধ্যে পুরো ঘটনা তদন্তে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন তদন্ত দল কাজ শুরু করেছে। গত ২৩ ফেব্রুয়ারী সরেজমিন তদন্ত কার্যক্রম চালান অডিট আইন ও সমিতি বিভাগীয় সমবায় কার্যালয়ের উপ নিবন্ধক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। জানাযায়, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি সদর সমবায় কর্মকর্তা আলমগীর হোসেনের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে ঢাকা বিভাগীয় সমবায় কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ
দিয়েছেন ইবনেসিনা ইসলামী সঞ্চয় ও ঋনদান কো অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড এর সভাপতি মোঃ নাজির হোসেন ভুইয়া।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে সমবায় দিবস উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সদর উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন ইবনেসিনা ইসলামী সঞ্চয় ও ঋনদান কো অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড এর ম্যানেজরের কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা চাঁদা নেন। এছাড়াও একই কৌশলে তিনি আরো বেশ কয়েকটি সমিতির কাছ থেকে চাঁদা গ্রহন করেন এবং স্বল্প পরিসরে সমবায় দিবস উদযাপন করেন। একই বছরের ৪ নভেম্বর তিনি ফের ইবনেসিনা ইসলামী সঞ্চয় ও ঋনদান কো অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড এর কাছে এক লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করলে সমিতির ম্যানেজার শাহীন আক্তার ভূইয়া ৫০ হাজার টাকা নিজ হাতে প্রদান করেন। এ সময় ওই কর্মকর্তা ম্যানেজারকে এসব বিষয়ে কাউকে না জানানোর অনুরোধ করেন।

তবে বাকি ৫০ হাজার টাকা দিতে বিলম্ব হওয়ায় আলমগীর হোসেন মাঝে মধ্যে ম্যানেজারকে মোবাইলে এবং স্বাক্ষাতে সমিতির নানা ভাবে ক্ষতি করাসহ ভয়ভীতি ও হুমকি ধামকি প্রদর্শন করেন এবং বলেন তিনি চাইলে সমিতির কার্যক্রম বন্ধ করে দিতে পারেন।

একই বছর ৩০ ডিসেম্বর সমিতির ওই কর্মকর্তা ম্যানেজারকে মোবাইলে ফোন করে বলেন ৩১ ডিসেম্বর ঢাকার বড় অফিসার নিয়ে সমিতিতে আসবেন। সে সময় বাকী টাকা রেডি রাখতে বলেন। অন্যথায় অফিস বন্ধ করে দিবেন। ওই দিনই সমিতির সভাপতি সমবায় কর্মকর্তাকে অফিস বন্ধ করার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, তিনি চাইলে বিনা কারণে সমবায় সমিতির অফিস যে কোন সময় বন্ধ করে দিতে পারেন। বিষয়টি শুনে সমিতির কমিটির সদস্য শরীফ উদ্দিন মোবাইলে সমবায় কর্মকর্তা, সদরকে অফিস বন্ধ করার বিষয় জিজ্ঞাসা করলে তিনি ম্যানেজারকে অফিস বন্ধ করার কথা বলেছেন বলে দোষ স্বীকার করেন।

সমবায় কর্মকর্তার এমন নৈতিবাচক আচারনে অডিট বরাদ্ধ বাতিল করে অন্য অফিসারকে দেয়ার জন্য আবেদন করা হয়। সে সাথে আলমগীর হোসেনের চাঁদা নেয়া এবং বাকি ৫০ হাজার টাকা চাঁদা না দিলে অফিস সিলগালা করার বিষয়টি অবহিত করা হয়। আলমগীর হোসেনের বিরুদ্ধে চলতি বছরের ১ জানুয়ারি ন্যায় বিচার পাওয়ার স্বার্থে তার দুনীর্তি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায় সমিতির কর্মকর্তাসহ সদস্যরা।

অভিযোগে বলা হয়, আলমগীর হোসেন তার দুনীর্তি ও চাঁদাবাজিকে পর্দার আড়ালে ঢাকার জন্য সমিতির বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ জড়িয়ে প্রতিষ্ঠানটিকে ধ্বংস করার জন্য থানায় অভিযোগ করেছেন। তার সকল দুনীর্তিমূলক কর্মকান্ড পুক্সখানো পুক্সখভাবে যাচাই করে তার বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবী জানান ক্ষতিগ্রস্তরা।

অভিযোগের বিষয়ে সদর উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন বলেন, এসব অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। আমার আর কিছুই বলার নেই।

আপনার মন্তব্য লিখুন

আর্কাইভ

আরও পড়ুন