১৩ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৩০শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

EN

কসবা-আখাউড়া হতে যেকোনো মূল্যে মাদক নির্মুল করা হবে – সার্কেল এএসপি আবদুল করিম

জহির রায়হান

প্রকাশিত: ১১:৩১ অপরাহ্ণ , ২৫ জুলাই ২০১৯, বৃহস্পতিবার , পোষ্ট করা হয়েছে 5 years আগে

কসবা-আখাউড়া হতে যেকোনো মূল্যে মাদক নির্মুল করা হবে; মাদক কারবারিরা অস্ত্রধারী হলে অস্ত্রের মাধ্যমে মোকাবেলা করা হবে। অসহায় ও নির্যাতিত মানুষের আশ্রয়স্থল হলো কসবা ও আখাউড়া থানা। কসবা ও আখাউড়ায় কোন চোর, ডাকাত, সন্ত্রাস, মাদক কারবারি কিংবা জঙ্গীদের ঠাঁই হবেনা বলে জানিয়েছেন কসবা সার্কেলের সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার আবদুল করিম।

এসবের বিরুদ্ধে সরকার যে জিরো টলারেন্স নীতিমালা গ্রহণ করেছে তা অব্যাহত আছে। এ ব্যপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মো: আনোয়ার হোসেন খান, বিপিএম(বার), পিপিএম মহোদয়ের কড়া নির্দেশনা দেওয়া আছে বলে তিনি জানান।

এলাকার সাধারণ মানুষের জন্য তিনি খুবই আন্তরিক; কিন্তু চোর, ডাকাত, সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ, মাদকসেবী ও মাদক বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে তিনি খুবই কঠোর। অপরাধীরা যতই শক্তিশালী হোক কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না মর্মে একান্ত সাক্ষাৎকারে এই প্রতিবেদকের সাথে এমনটিই বলছিলেন কসবা-আখাউড়ার (সার্কেল) এএসপি আব্দুল করিম। কসবা সার্কেলের দপ্তরে প্রায় ঘন্টাব্যাপী এক দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে এই কর্মকর্তা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন এই প্রতিবেদকের সাথে।

শরিয়তপুর জেলার এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম নেন আদর্শবান এই এএসপি (সার্কেল)। ২০১৪ সালে ৩৩ তম বিসিএস এর মাধ্যমে তিনি বাংলাদেশ পুলিশে যোগদান করেন। উল্লেখ্য যে, ৩৩ তম বিসিএস পরীক্ষায় পুলিশ ক্যাডারে তিনি ২য় স্থান এবং সম্মিলিত বিসিএস মেধা তালিকায় ৮ম স্থান অর্জন করেন। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ হতে বিএসসি(অনার্স) পরীক্ষায় ১ম শ্রেণি এবং এমএসসি পরিক্ষায় ১ম শ্রেণিতে তিনি উত্তীর্ণ্ হন।

২০১৭ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি কসবা-আখাউড়ায় এএসপি (সার্কেল) হিসেবে যোগদানের পূর্বে তিনি ৬ মাস ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর (সার্কেল) এবং ঢাকায় মিরপরে নৌ পুলিশ সদর দপ্তরে এএসপি পদে সততার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন।

তিনি কসবা-আখাউড়ায় এএসপি (সার্কেল) হিসেবে যোগদানের পরই মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতিমালা গ্রহণ করেছেন। তার সক্রিয় কর্ম্কান্ডের কারণে এলাকায় চুরি, ডাকাতি, সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ, ছিনতাই ও চাঁদাবাজি কমে গেছে। পুলিশি সেবা জনগণের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দিতে কসবা-আখাউড়া দুই থানার অফিসার ইনচার্জগণের সাথে এলাকার প্রত্যন্ত অঞ্চলে গিয়ে স্থানীয়দের সাথে জনসচেতনতা বিষয়ক কমিউনিটি পুলিশিং সভা করে আসছেন।

এই কর্মকর্তার এসব কর্মকান্ডে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা-আখাউড়ায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। এলাকায় চুরি, ডাকাতি, মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নির্মূলে পুলিশের ভূমিকা এখন প্রশংশিত। বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে স্বস্তিবোধ করছেন এলাকার কৃষক, শ্রমিক ও সুশীল সমাজের ব্যক্তিবর্গ।

২০১৭ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি কসবা-আখাউড়ায় যোগদানের পর কাজ করার পরিবেশটুকু খুব বেশি সহায়ক ছিল না, কিন্তু এই দুই থানার সকল কর্মকর্তাগণকে সুদক্ষ নেতৃত্বের মাধ্যমে পরিচালিত করে ইতোমধ্যেই তিনি তাঁর কর্মদক্ষতার প্রমাণ করেছেন। ইতিবাচক চিন্তা করেন বলেই তাঁর দ্বারা এসব করা সম্ভব হয়েছে।

আপনার মন্তব্য লিখুন

আর্কাইভ

July 2019
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031  
আরও পড়ুন