“প্লাজমা কী —— কেন দিবেন প্লাজমা”??
বার্তা সম্পাদক প্রকাশিত: ১:৪৬ পূর্বাহ্ণ , ১১ জুন ২০২০, বৃহস্পতিবার , পোষ্ট করা হয়েছে 5 years আগে
এমডি জুয়েলঃ প্লাজমা কী? কেন দিবেন প্লাজমা?দিলে কি কোন লাভ হবে?
কে দিতে পারবেন, কখন দিবেন, অনেক প্রশ্ন?
প্লাজমা হলো রক্তের জলীয় অংশ। রক্তের কনিকা (লোহিত কনিকা, শ্বেত কনিকা ও অনুচক্রিকা) গুলো রক্ত থেকে আলাদা করলে যে জলীয় অংশ থাকে সেটাই প্লাজমা বা রক্তরস।
আর রক্তরসের উপাদান সমূহের মধ্যে এন্টিবডি নামক রোগ প্রতিরোধকারী উপাদান গুলি থাকে। কেউ যদি কোন রোগ থেকে সুস্থ্য হয়ে উঠেন তবে তার শরীরে সেই রোগের জন্য সুনির্দিষ্ট এন্টিবডি তৈরি হয়। এন্টিবডি হলো প্রোটিন কনা। এগুলো নানা রকমের হয়।কোনটা তৈরি হয় তাড়াতাড়ি কোনটা তৈরি হয় একটু ধীরে।
করোনায় আক্রান্ত রোগীর শরীরেও এই দুই ধরনের এন্টিবডি তৈরি হয়।
তাই করোনায় আক্রান্ত রোগী সুস্থ হয়ে উঠার পরে যদি তার রক্তরস দান করেন, তবে তার রক্তে থাকা এন্টিবডি রোগীর শরীরে রেডিমেড এন্টিবডি হিসাবে কাজ করবে, ভাইরাসকে নিষ্ক্রিয় করে দিবে। রোগী সেরে উঠতে সময় লাগবে কম। রোগীর বাঁচার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে অনেকটা।
যেহেতু করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে এখনো কার্যকর ঔষধ বা টিকা আমাদের হাতে নাই, তাই রক্তরস দিয়ে চিকিৎসা করার সুযোগ একটি আশির্বাদ আমাদের জন্য।
আপনি করোনা আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হয়েছেন, তবে আপনার শরীরে এন্টিবডি তৈরি হয়েছে বলে ধরে নেয়া যায়। সুস্থ হয়ে উঠার চার সপ্তাহ পর আপনি রক্তরস দান করতে পারবেন। ১৭ থেকে ৬৯ বছর বয়সী সবাই রক্তরস দান করতে পারবেন।
আপনি সুস্থ হয়েছেন, আপনাকে অভিনন্দন, আপনি করোনা জয়ী বীর।
রক্তরস দান করুন, এটা হবে আপনার জীবনের সর্বশ্রেষ্ঠ দান।
আপনার মন্তব্য লিখুন