অরুয়াইল গন ঘাটলা উদ্বার করে প্রশংসিত হলেন সরাইলের ইউএনও
বার্তা সম্পাদক প্রকাশিত: ১১:০০ অপরাহ্ণ , ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, বৃহস্পতিবার , পোষ্ট করা হয়েছে 1 year আগে
মো. তাসলিম উদ্দিন সরাইল(ব্রাহ্মণবাড়িয়া)প্রজাতন্ত্রের মালিক জনগণ, সরকারী কর্মচারীরা তার সেবক মাত্র। এটা শুধু সংবিধানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয় বাস্তবে প্রমান করে চলছেন ইউএনও মো. মেজবা উল আলম ভূইঁয়া। কয়েক মাস হলো সরাইলে ইউএনও হিসাবে যোগদান করেছেন। এর পর থেকে নিজের দক্ষতা ও দূরদর্শিতা দিয়ে একের পর এক ভালো কাজ করেছেন তিনি। যার জন্য বিভিন্ন মহলে আলোচিত হয়ে তিনি ব্যাপক প্রশংসা কুঁড়িয়েছেন। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে কর্তব্য অবহেলা, জনহয়রানি ও ঘুষ- দুর্নীতিসহ অভিযোগের শেষ নেই জনগণের। তবে এর ব্যতিক্রম কর্মোদ্যম,সৎ ও দায়িত্বশীল কর্মকর্তা ও রয়েছে। যারা লোভ লালসার উর্ধ্বে উঠে নিজ প্রতিষ্ঠানকে গড়ে তোলেন জনবান্ধব ও বিপদগ্রস্ত মানুষের আশ্রয়স্থল।এদের মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার ( ইউএনও) মো.মেজবা উল আলম ভূইঁয়া অন্যতম।তার সততা ও কর্মদক্ষতায় পাল্টে গেছে উপজেলা পরিষদের প্রশাসনিক কার্যক্রম ও সার্বিক চিত্র। মো. মেজবা উল আলম ভূইঁয়া সরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার ( ইউএনও) হিসেবে ডিসেম্বর ২০২৩ সালে যোগদান করার পর তার উপর অর্পিত দায়িত্ব হিসেবে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন করেন। তার নজরদারির কারণে নির্বাচনী পরবর্তী সংঘর্ষের কোনো ঘটনা ঘটেনি। মনোরম পরিবেশে এই গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনে ভোটাররা তাদের মূল্যবান ভোট প্রয়োগ করতে পেয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন।সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক আইন অনুযায়ী অভিযান পরিচালনা করে অবৈধ ড্রেজার ধ্বংস ও বিকু দিয়ে ফসলি জমির মাটি কাটা বন্ধ করে পরিবেশ রক্ষায় ভূমিকা রাখেন।গত ১৪ ফেব্রুয়ারি দখলকৃত মাটি নিচে চাপা পড়া অর্ধকোটি টাকার সরকারী ঘাট উদ্ধার করা হয়। অরুয়াইল বাজারে ঘাট উদ্ধার দেখে। উপস্থিত শতাধিক মানুষ হাত উড়িয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মেজবা উল আলম ভূইঁয়াকে ধন্যবাদ জানান।অরুয়াইল বাজারের ব্যবসায়ী মো. জাবেদ আল হাসান বলেন, অরুয়াইলের জনগণের দীর্ঘদিনের চাওয়া। উদ্ধার হবে হবে আমরা শুনে আসছিলাম। গতকাল ১১ থেকে ১২ বছর পর বাজারের ঘাটটি উদ্ধার করেছেন ইউএনও স্যার। বাজারের ব্যবসায়ী সহ সকল মানুষ ইউএনও স্যারের প্রশংসা করেছেন। তারা বলেছেন যে বহুদিন পরে একটা কাজ হয়েছে। সরকারি ঘাটটি জনগণের জন্য উদ্ধার হয়েছে। অরুয়াইল বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবু তালেব মিয়া বলেন, ইউএনও স্যার বাজারের ঘন ঘাটটি উদ্ধার সহ নানামুখী কার্যক্রমে উপজেলা প্রশাসনের ভাবমূর্তিকে উজ্জ্বল করেছে। এদিকে উপজেলার কালিকচ্ছ খাল দখল করতে। একদল দখলদার উঠে পড়ে লেগেছে। শত চেষ্টা করে ও দখলদাররা খাল দখল করতে পারিনি। তারা পারিনি ইউএনও মো. মেজবা উল আলম ভূইঁয়া আইনের চোখকে ফাঁকি দিতে। সাংবাদিকদের তথ্যের ভিত্তিতে তিনি একের পর এক খাল উদ্ধার করে চলেছেন। চুন্টা এলাকার পানি নিষ্কাশনে খাল উদ্ধার করে।পানি চলাচলের সুব্যবস্থা করায় ইউএনওর নান্দনিক উদ্যোগগুলো বিভিন্ন মহলে বেশ প্রশংসিত হয়েছে। উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা ও বাসিন্দারা জানান, ইউএনও মো.মেজবা উল আলম ভূইঁয়া’র তার ওপর অর্পিত সরকারি দায়িত্বের চেয়েও বেশি দায়িত্ব নিয়েই এই উপজেলাবাসীর পাশে আছেন। নির্যাতিত নিপীড়িত অসহায় মানুষের পাশে থাকতে তিনি স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন বলেও মনে করছেন উপজেলাবাসী। তিনি যোগদানের পর থেকে এ পর্যন্ত উপজেলার সাধারণ মানুষের কল্যাণার্থে ও উপজেলার সার্বিক উন্নয়ণে প্রত্যক্ষ উপস্থিতির স্বাক্ষর রেখে চলেছেন। প্রশাসনিক কাজের পাশাপাশি যে কোনো পর্যায়ে সেবা নিতে আসা মানুষদের অতি দ্রুত এবং ভোগান্তি ছাড়াই সেবা প্রদান করে যাচ্ছেন।সরাইল এলাকায় চলমান এইচবিবি রাস্তার কাজ পরিদর্শন করা গুনগত মান বজায় রেখে। বিশেষ করে টেকসই উন্নয়ন গুরুত্ব দিচ্ছেন। বিদ্যালয়ের অবকাঠামো উন্নয়নে নতুন ভুবন নির্মাণ কাজের খোঁজখবর ও পরিদর্শন করছেন। উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করে বিদ্যালয় পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা, মানসম্মত শিক্ষা পাঠদানে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের সাথে করছেন মত বিনিময়। সরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার ( ইউএনও) মো. মেজবা উল আলম ভূইঁয়া এ প্রতিনিধিকে বলেন,সরকারি কর্মকর্তারা জনগণের সেবক। যা কিছু করি আত্মতুষ্টির জন্য। এটি আমার নৈতিক দায়িত্ব। সরকারি ঘাট উদ্ধারে বাজারের মাল ওঠার পথ সুগম হয়েছে। এলাকার জনপ্রতিনিধি গণমাধ্যম কর্মীরা আমার কাজে সহযোগিতা করছেন। তিনি বলেন, দেশ ও জাতির জন্য কি করতে পারলাম সেটাই বড় কথা। সরকারি সম্পত্তি উদ্ধার একটি চলমান পক্রিয়া।
আপনার মন্তব্য লিখুন