ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্ত্রীর পরকীয়ায় সহযোগিতা করায় ভায়েরা হাতে খুন হয়েছে ভায়েরা
বার্তা সম্পাদক প্রকাশিত: ১০:৪৯ অপরাহ্ণ , ২৩ জানুয়ারি ২০২৪, মঙ্গলবার , পোষ্ট করা হয়েছে 1 year আগে
এনই আকঞ্জি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে স্ত্রীর পরকীয়ায় সহযোগিতা করায় ভায়েরা ভাইয়ের হাতে খুন হয়েছেন ভায়েরা ভাই। নিহতের নাম সাদ্দাম হোসেন (২৬) ।সে অটোরিকশা চালক।পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) গ্রেফতারের পর সোমবার (২২ জানুয়ারি) বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ২য় আদালতের বিচারক সামিউল আলমের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এই তথ্য জানান ভায়েরা ভাই বাবুল (৪০)। বাবুল নেত্রকোনা জেলার খায়ের বাংলা গ্রামের মৃত আব্দুল হামিদের ছেলে।গত শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) সকালে উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের আশরাফপুর বিল থেকে সাদ্দামের মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। সে উপজেলার বিদ্যাকুট ইউনিয়নের বিদ্যাকুট গ্রামের ছাত্তার মিয়ার ছেলে।পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার শচীন চাকমা জানান, মরদেহ উদ্ধারের পর তদন্তে নামে পুলিশ। পরে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় হত্যাকারী হিসেবে নিহত সাদ্দামের ভায়েরা ভাই বাবুলকে সনাক্ত করে গ্রেফতার করা হয়।সোমবার আদালতে হত্যার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে বাবুল। বাবুল জবানবন্দিতে জানায়, গত প্রায় ১০ বছর আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের কৃষ্ণনগরের শায়েস্তা আরাকে বিয়ে করেন। তাদের সংসারে ৭ বছরের একটি মেয়ে রয়েছে। নরসিংদীতে কাজের সুবাদে বসবাস করা কাদির নামে এক ব্যক্তির সাথে তার স্ত্রীর পরকিয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। পরে তারা পালিয়ে নবীনগর এসে পড়ে। বিয়ে না করেও তারা সংসার করে, ফলে শায়েস্তারা গর্ববতীও হয়। আর এসবে সহায়তা করে আসছিল শায়েস্তা আরার বোনের স্বামী সাদ্দাম। সাদ্দাম সব কিছু জেনেও ভায়েরা ভাই বাবুলকে কোন প্রকার সহায়তা করেননি। এই ক্ষোভে গত শুক্রবার সাদ্দামকে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করে বাবুল পালিয়ে যায়।এই ঘটনায় নিহত সাদ্দামের ভাই অজ্ঞাত আসামি করে নবীনগর থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় তদন্তে বাবুলের সংশ্লিষ্টতা পাওয়ায় তাকে গ্রেফতার করা হয়। সে আদালতে ১৬৪ ধারা জবানবন্দি দেওয়ার পর তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
আপনার মন্তব্য লিখুন