রাতের আঁধারে ট্রাক ভরে সরাইলের মাটি কোথায় নিয়ে যায়।এমন প্রশ্ন অনেকের?
বার্তা সম্পাদক প্রকাশিত: ১১:২০ অপরাহ্ণ , ১৬ জানুয়ারি ২০২৪, মঙ্গলবার , পোষ্ট করা হয়েছে 1 year আগে
মো.তাসলিম উদ্দিন সরাইল( ব্রাহ্মণবাড়িয়া) ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরাইল উপজেলা কালিকচ্ছ ইউনিয়নের ধরন্তী কালিকচ্ছ আকাশী বিল থেকে প্রতিরাতে ভেকু দিয়ে কেটে ট্রাক ভরে লুট করা হচ্ছে লাখ লাখ টাকার মাটি। গত কয়েক মাস ধরে ধরন্তী বিলের সরাইল- লাখাই আঞ্চলিক সড়কের দুই পাশে ফসলি জমি থেকে এভাবে লাখ লাখ টাকার মাটি কেটে নেয়া হচ্ছে।এর ফলে সরাইলের আকাশী বিলের বিস্তীর্ণ ফসলি জমি বিনষ্ট হলেও প্রশাসনের কোন তৎপরতা লক্ষ্য করা যায়নি। অভিযোগ রয়েছে, বিভিন্ন মহলকে ম্যানেজ করেই তারা রাতে ট্রাকে করে মাটি লুট করছে। নিজেদের ভাটার ইট তৈরির পাশাপাশি আশেপাশের বিভিন্ন ভাটাতেও বিক্রি করছে এই মাটি।এভাবে প্রতিরাতে দেড় থেকে দুই লাখ টাকার মাটি বিক্রি হচ্ছে বলে জানা গেছে। আর অপরিকল্পিতভাবে মাটি কাটার ফলে নষ্ট হচ্ছে বিলের চরের এক ফসলি জমি। আগে স্থানীয় প্রশাসন সেখানে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে জরিমানা করলেও এবার তাতে কোন তোয়াক্কা করছে না জড়িতরা। স্থানীয়রা জানান, রাত হলেই কালিকচ্ছের দিক থেকে কিছুক্ষণ পর পরে ট্রাক ভরে মাটি কোথায় নিয়ে যায়।এমন প্রশ্ন অনেকের? গত সরাইল উপজেলা আইনশৃঙ্খলা মাসিক সভায়। ফসলি জমির মাটিকাটা নিয়ে উপস্থিত অনেক সদস্যরা বক্তব্য রাখেন,তারা সভাকে জানান,কালিকচ্ছ বিলের মাটি কেটে রাতে ট্রাকে করে নিয়ে যায়।সরাইলের ফসলি জমির মাটি কে বা কারা প্রতিনিয়ত নিয়ে যাচ্ছে। রাতের আধারে এ মাটি কাটা বন্ধের জন্য আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে তাদের বক্তব্যে বলেন। তারা বলেন, এইভাবে মাটি কেটে ট্রাক দিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।সবাই দেখে কেউ অবৈধ মাটিকাটা বন্ধের কোন উদ্যোগ নিচ্ছে না। ফসলি জমিতে এমন করে মাটি কাটা চালু থাকলে। এতে তাদের খাদ্যশষ্য উৎপাদনের সুযোগ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। মো.দিলু মিয়া নামের এক কৃষক জানান, হেরা অর্থবিত্তের মালিক ও প্রভাবশালী। তাদের কেউ কিছু বলার সাহস রাখেনা। বিভিন্ন মহলকে তারা মোটা অংকের টাকা দিয়ে ম্যানেজ করে নিয়েছে। এভাবে মাটি কেটে নেয়ায় আশেপাশের ফসলি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এব্যাপারে ট্রাক চালকরা জানান, রাতের বেলায় বেকু দিয়ে মাটি কাটেন কেনো? এ প্রশ্ন করা হলে তিনি দাবি করেন, ধরন্তী হাওড়ে ব্যক্তি মালিকানা জমি থেকে তারা মাটি কাটছেন। তবে এসব জমি থেকে মাটি কাটার কোন অনুমতি তাদের নেই বলে স্বীকার করেন। মাটি ভরা ট্রাক উচালিয়া পাড়া মোড়ে এসব তথ্য ও ছবি সংগ্রহকালে চালক বলেন,আপনারা এভাবে ছবি না তুলে অফিসে বসে মালিকদের সাথে কথা বলেন। একটা ব্যবস্থা হবেনে।
সরাইল থানা অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম জানান, ফসলি জমির মাটি কাটার বিষয়টি ব্যবস্থা নিবে প্রশাসন। মাটি কাটার বিষয়ে প্রশাসন সহযোগীতা চাইছে আমরা সব সময় প্রস্তত।এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.মেজবা উল আলম ভূইঁয়া বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি।ফসলি জমি থেকে মাটি কাটার বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। রাতে মাটি কেটে থাকলে খবর নিয়ে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আপনার মন্তব্য লিখুন