উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া’এমপি’র জানাজা ও দাফন সম্পন্ন।
বার্তা সম্পাদক প্রকাশিত: ১১:৪১ পূর্বাহ্ণ , ১ অক্টোবর ২০২৩, রবিবার , পোষ্ট করা হয়েছে 2 years আগে
মো. তাসলিম উদ্দিন সরাইল(ব্রাহ্মণবাড়িয়া)
সাবেক ভূমি প্রতিমন্ত্রী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)শুক্রবার দিবাগত রাত ৩টা ২ মিনিটের সময় তার মৃত্যু হয়। তিনি রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তার বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর।তিনি জানান, বাবা দীর্ঘদিন ধরে কিডনিজনিত রোগে ভুগছিলেন। তার শারীরিক অবস্থা খারাপ হলে এক সপ্তাহ আগে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসা চলছিল। শুক্রবার দিবাগত রাত ৩টা ২ মিনিটে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি মারা যান।শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে তার নিজ আসন সরাইল অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গণে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়।এ সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দও রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দসহ নানা শ্রেণীর পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।পরে বাদ মাগরিব অরুয়াইল আব্দুস ছাত্তার ডিগ্রী কলেজ মাঠে তৃতীয় জানাযা শেষে মরদেহটি তার নিজ গ্রাম পরমানন্দপুর নিয়ে যাওয়া হয়। পরে চুতর্থ নামাজের জানাযা শেষে রাত ৯ টায় তাকে পারিবারিক করবস্থানে বাবার কবরের পাশে দাফন করা হয়। এর আগে জাতীয় সংসদ ভবনে তার প্রথম জানাযা অনুষ্ঠিত হয়।আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া ১৯৩৯ সালের ১৬ জানুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার অরুয়াইল ইউনিয়নের পরমানন্দপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতে আইনজীবী পেশায় নিয়োজিত ছিলেন। এ ছাড়া তিনি দীর্ঘদিন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সভাপতি পদে ছিলেন।উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া ১৯৭৯ সালে প্রথম তৎকালীন কুমিল্লা-১ (নাসিরনগর ও সরাইলের একাংশ) বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরে তিনি বিএনপিতে যোগদান করেন। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসন থেকে ১৯৯১ সালে, ১৯৯৬ সালে অনুষ্ঠিত ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনসহ দুটি নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।তবে ২০০১ সালে অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়াকে দলের মনোনয়ন না দিয়ে চারদলীয় জোটের শীর্ষ নেতা ও ইসলামি ঐক্যজোটের তৎকালীন মহাসচিব মুফতি ফজলুল হক আমিনীকে মনোনয়ন দেওয়া হয়। নির্বাচনে বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন করলে আবদুস সাত্তার ভূঞাকে টেকনোক্রেট কোটায় প্রতিমন্ত্রী করা হয়। তিনি দীর্ঘ ২৭ বছর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সভাপতি ছিলেন। সবশেষ ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে বিজয়ী হন।গত বছরের ১১ ডিসেম্বর বিএনপির আন্দোলনের অংশ হিসেবে দলটির সাতজন সংসদ সদস্য দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পদত্যাগ করেন। তার মধ্যে উকিল আবদুস সাত্তারও ছিলেন। পরে তিনি একই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেন। এতে দল থেকে আবদুস সাত্তারকে বহিষ্কার করে বিএনপি।১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে আবদুস সাত্তার ৪৪ হাজার ৯১৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আবদুল হামিদ (ভাসানী) পান ৯ হাজার ৬৩৫ ভোট।
আপনার মন্তব্য লিখুন