১৪ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩০শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

EN

সীমান্ত দিয়ে চোরাই গরু আসা নিয়ে শঙ্কায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার খামারীরা

বার্তা সম্পাদক

প্রকাশিত: ১০:৪৮ অপরাহ্ণ , ১৬ জুন ২০২৩, শুক্রবার , পোষ্ট করা হয়েছে 2 years আগে

এনই আকন্ঞ্জি,আসন্ন ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন খামারে চলছে কোরবানির পশু হৃষ্টপুষ্ট করনের কাজ।

খামারিরা জানান গো খাদ্যের উর্ধ্বগতিতে বেড়েছে খামারের ব্যয়। পাশাপাশি সীমান্ত দিয়ে চোরাইভাবে গরু আসা নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন তারা ।

জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, খামারিদের স্বার্থ বিবেচনায় অবৈধ পথে পশু বিক্রি বন্ধে পদক্ষেপ নেয়ার কথা। অন্যদিকে প্রাণি সম্পদ বিভাগ বলছে, দেশীয় পশু দিয়েই স্থানীয়ভাবে কোরবানির চাহিদা মেটানো সম্ভব।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় কোরবানির পশুর চাহিদা প্রায় ১ লক্ষ ৪০ হাজার । জেলার বিভিন্ন খামারে কোরবানীর জন্য প্রস্তুত লক্ষাধিক গবাধি পশু। স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত পশু দিয়েই জেলার চাহিদা মিটবে বলে আশা করছেন খামারিরা।

এ জেলায় ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় সাড়ে ১৫ হাজার খামারে প্রাকৃতিক উপায়ে পশু হৃষ্টপুষ্ট করণের কাজ করছেন। প্রতিটি খামারে ছোট, মাঝারি ও বড় সবধরণের কোরবানির পশু রয়েছে।

খামারিরা জানান, গো খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় বেড়েছে খামারের ব্যয়। ইতিমধ্যে গোখাদ্যের দাম বেড়েছে শতকরা ৩০ ভাগ। প্রতি কেজি ভুট্রার ভুষি আগে ২৬ টাকায় বিক্রি হলেও এখন দাম বেড়ে ৩৮/৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সাইলেজ প্রতি কেজি ৭/৮ টাকা থেকে বেড়ে ১০/১২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতিটি গরু আগে ৭/৮ হাজার টাকায় লালন-পালন করা গেলেও এখন তা বেড়ে দাড়িয়েছে ১৪/১৫ হাজার টাকায়। বাড়তি খরচ বহন করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে খামার মালিকরা। তবে এবার প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে অবৈধ পথে কোরবানির পশু আসা রোধ করতে পারলে ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারবে বলে আশা করছেন।

এদিকে জেলা প্রাণী সম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, খামারিকে গবাদি পশু হৃষ্টপুষ্ট করণের উপর প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। এছাড়া স্টেরয়েডের ব্যবহার রোধে উপজেলা পর্যায়ে উঠান-বৈঠক করে খামারিকে হাতে কলমে সচেতনতামূলক প্রশিক্ষন দেয়া হয়েছে।

খামারিদের স্বার্থ রক্ষায় অবৈধ পথে আসা কোরবানির পশুর বিক্রয় বন্ধে হাটগুলোতে নজরদারী বাড়ানোর কথা জানালেন, জেলা পুলিশ সুপার মো. শাখাওয়াত হোসেন।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ কাজী নজরুল ইসলাম জানান, কোরবানীর জন্য প্রয়োজনীয় পশু প্রস্তুত থাকার কথা জানিয়ে হৃষ্টপুষ্টকরণে ক্ষতিকর স্টেরয়েডের ব্যবহার রোধে খামারিদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষনের পাশাপাশি জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষে নানা পদক্ষেপের কথা নেওয়া হয়েছে। এছাড়া খামারিদের স্বার্থ রক্ষায় সংশ্লিষ্টরা তৎপর হবেন এমনটাই প্রত্যাশা।

আপনার মন্তব্য লিখুন

আর্কাইভ

June 2023
M T W T F S S
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
2627282930  
আরও পড়ুন