১৪ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩০শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

EN

চাচীর সঙ্গে আ’লীগ নেতার পরকীয়ার অভিযোগ

বার্তা সম্পাদক

প্রকাশিত: ১২:০১ পূর্বাহ্ণ , ৬ মে ২০২৩, শনিবার , পোষ্ট করা হয়েছে 2 years আগে

এনই আকন্ঞ্জি ,ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার বীরগাঁও ইউনিয়ন শাখা আওয়ামী লীগের সভাপতি হোসেন সরকার তার প্রতিবেশী চাচীর সঙ্গে পরকীয়ায় লিপ্ত বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

ওই আওয়ামী লীগ নেতার চাচা একই ইউনিয়নের শিবপুর গ্রামের বাসিন্দা মো. আব্দুল কুদ্দুছ আজ শুক্রবার (৫ মে) তার বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযুক্ত হোসেন সরকার (৪২) একই গ্রামের মৃত আব্দুল হাজিদ মিয়ার ছেলে। এছাড়াও তিনি জোড়া খুন, গরু চুরি ও দ্রুত বিচার আইনের মামলাসহ ডজন খানেক মামলার চার্জশীটভূক্ত আসামি।

অভিযোগকারি মো. আব্দুল কুদ্দুছ তার স্ত্রী সেলেনা বেগমের সঙ্গে পরকীয়ায় লিপ্ত বলে
অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করা হয়।

আওয়ামী লীগ নেতা হোসেন সরকার অভিযোগকারি মো. আব্দুল কুদ্দুছের স্ত্রী সেলেনা বেগমের সঙ্গে পরকীয়ায় লিপ্ত। সেলেনা বেগম পাঁচ ছেলে ও এক মেয়ের জননী।

হোসেন সরকার ও সেলেনা বেগম অসামাজিক কাজে লিপ্ত উল্লেখ করে আব্দুল কুদ্দুছ বলেন, এই ব্যাপারে হোসেন সরকারকে সতর্ক করা হলে তিনি উল্টো তাকে হুমকি-ধামকি দেন। গত ৩০ এপ্রিল তারা উভয়ে অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িত হন বলেও অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করা হয়। তারা দুজনে ব্যভিচারের লিপ্ত হওয়ার প্রমাণ স্বরূপ মুঠোফোন কল রেকর্ড আব্দুল কুদ্দুছের কাছে সংরক্ষিত আছে বলেও উল্লেখ করা হয়।

অভিযোগ পত্রে আরো বলা হয়, এই আওয়ামী লীগ নেতা হোসেন সরকারের লাম্পট্যের শিকার হয়ে তার প্রতিবন্ধী ছোট বোনও অন্তঃসত্তা হয়েছিল।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আওয়ামী লীগ নেতা হোসেন সরকার স্থানীয় সংসদ সদস্য এবাদুল করিম বুলবুলের নাম ভাঙ্গিয়ে বীরগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেনের সহায়তায় মেঘনা নদী থেকে রাতের অন্ধকারে চুরি করে বালু উত্তোলনের সঙ্গে জড়িত।

এছাড়া স্থানীয় বাইশমৌজা গরুর হাটের জাল খাজনা রশিদ তৈরির মাধ্যমে ব্যাপক দূর্নীতি ও ভূমি দস্যুতাসহ স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কার্যালয় দখল করে বিক্রি করারও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।এসব অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানতে চাইলে আওয়ামী লীগ নেতা হোসেন সরকার বলেন, ‘প্রতিবেশী আব্দুল কুদ্দুছ চাচার স্ত্রীর সঙ্গে আমার কোন বিশেষ সম্পর্ক নেই।’

তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘ওনার ছেলে এবং মেয়ের ফোন নাম্বার আপনাকে পাঠাই, আপনি ইচ্ছা করলে তাদের সাথে কথা বলে যাচাই করে দেখতে পারেন।’

এই ব্যাপারে জানতে চাইলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন বলেন, পুলিশের পক্ষ থেকে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুন

আর্কাইভ

May 2023
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031  
আরও পড়ুন