ভূল চিকিৎসায় কন্যা শিশুর হাত বিকল হওয়ার অভিযোগ
বার্তা সম্পাদক প্রকাশিত: ১২:৪৩ অপরাহ্ণ , ১৭ ডিসেম্বর ২০২২, শনিবার , পোষ্ট করা হয়েছে 3 years আগে
এনই আকন্ঞ্জি ,ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ডাঃ হামেদ হোসেনের মালিকানাধীন গ্রীন ভিউ বেসরকারি হসপিটালে চিকিৎসকের অবহেলায় মা ও শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যুর পর এবার আখাউড়ায় ভূল চিকিৎসায় ২২ মাস বয়সী কন্যা শিশুর হাত বিকল হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
খেলতে গিয়ে শিশুর হাত ভেঙে যাওয়ার পর আখাউড়া থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেের ডাঃ আঃ হামেদ বাবু প্লাস্টার সহ যাবতীয় চিকিৎসা করেন। তার কিছু দিন পরই হাত বাঁকা হয়ে বিকল হয়ে যায়। শিশুটর মা সহ সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ ভূল চিকিৎসার কারণে তাদের শিশুর আজ পঙ্গু হওয়ার পথে। শিশুটির অভিবাবক ওই ডাক্তার আঃ হামেদ এর অপচিকিৎসার বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা গ্রহন মামলার প্রস্ততি নিচ্ছেন।
আখাউড়া মসজিদ পাড়াস্থ ভোক্তভোগী রোগী শিশু নুসরাত জাহান (২২ মাস) এর অভিবাবক সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, শিশুটি খেলতে গিয়ে ডান হাত ভেঙ্গে যায়। পরে দ্রুত গ্রীন ভিউ হসপিটালের মালিক এবং আখাউড়া থানা কমপ্লেক্সেের মেডিকেল অফিসার ডাঃ আবু হামেদ বাবু শিশুটির হাতে ভূল স্থানে প্লাস্টার করে ১৫ দিন পরে আসতে বলেন, কিন্তু ১৫ পরে শিশুটির হাতে ভিন্ন জায়গায় প্লাস্টার করায় হাত বাকা হয়ে বিকল হয়ে গেছে। তারপর আবারও কয়েক দফায় প্রায় ৩ বার হাতের প্লাস্টার করে তিনি চিকিৎসা করার পরও হাতের হাড় সোজা হয়নি,গতকাল শিশুটির অবস্থা খারাপ হয়ে গেলে ডাঃ হামেদ অফিসিয়ালি রেফার না করে মৌখিকভাবে বলে দেন তার দ্বারা চিকিৎসা সম্ভব নয়, অন্য কোথায় চিকিৎসা করার জন্য।
জানা যায়, এই ডাঃ আবু হামেদ বাবুর মালিকানাধীন জেলা সদরে অবস্থিত গ্রীন ভিউ হাসপাতালে তার স্ত্রী ডাঃ জিনিয়া খানের তত্তাবধানে প্রূসূতি মা ও গর্ভের সন্তান সহ গত ৪ ডিসেম্বর মারা যায়। এঘটনায় সারা জেলা জুড়ে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্ঠি হয়। পরে রোগীর স্বজনের সাথে আর্থিক জরিমানা দিয়ে আপোস করার খবর পাওয়া গেছে।
সরেজমিনে, আখাউড়া থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে এবিষয়ে জানতে চাইলে ডাঃ আবু হামেদ বাবু বলেন – এসব বিষয়ে সাংবাদিক কেন আসবে পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে প্রথমে শিশুটিকে চিকিৎসার দেওয়ার কথা অস্বীকার করেন। পরে প্রথম প্রেসক্রিপশন দেখানোর পরে বলেন এটা এন্ট্রি করা নেই, ২য় প্রেসক্রিপশন এন্ট্রি করা আছে বলে স্বীকার করেন। অথচ ১ম প্রেসক্রিপশনে দেখা যাচ্ছে তার সিল ও সিগনেচার এবং হাতের লেখা আছে। ভূল চিকিৎসার দায় অস্বীকার করে বলেন, আমরা গ্যারান্টি দিয়ে চিকিৎসা করিনা। কিন্তু রেফার না করে মাসের পর মাস সময় নিয়ে চিকিৎসা করে শিশুটির হাত বিকল হলো কেন এর সদুত্তর ডাঃ হামেদ দিতে পারেননি। তার বিরুদ্ধে আরো অভিযোগ আছে, আখাউড়া স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ হিমেল এর বোন জামাই হলেন তাঃ আবু হামেদ, এই সুযোগে তিনি নিয়মিত ডিউটিতে আসেন না, তাছাড়াও বিভিন্ন স্বেচ্ছাচারিত করেন।
এবিষয়ে যোগাযোগ করা হলে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ একরাম উল্লাহ বলেন, ভূল চিকিৎসার বিষয়ে শিশুটির অভিবাবকের লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
আপনার মন্তব্য লিখুন