সরাইলে ২৮ জন মুক্তিযোদ্ধা পাচ্ছেন বীরনিবাস
বার্তা সম্পাদক প্রকাশিত: ৮:৫২ অপরাহ্ণ , ৯ ডিসেম্বর ২০২২, শুক্রবার , পোষ্ট করা হয়েছে 3 years আগে
মো.তাসলিম উদ্দিন সরাইল( ব্রাহ্মণবাড়িয়া)
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে চলতি অর্থ বছরে ৩কোটি ৯০ লাখ ২৩ হাজার টাকা ব্যয়ে ২৮ জন অস্বচ্ছল বীরমুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ২৮টি বীর নিবাস তৈরি হচ্ছে। মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প পরিচালক স্বাক্ষরিত একটি পত্র সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থ বছরে সরাইলে ২৮ জন অস্বচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ২৮টি বীর নিবাস তৈরি করা হচ্ছে।সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রতিটি ঘর করতে সরকারের ব্যয় হবে ১৪ লাখ ১০ হাজার টাকা। সে অনুযায়ী সরাইল উপজেলার নয়টি ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে ২৮ জন মুক্তিযোদ্ধার জন্য ২৮টি বীর নিবাস হচ্ছে। প্রতিটি বীর নিবাসে থাকবে ২টি বেডরুম, ১টি ড্রইং রুম, ১টি ডাইনিং রুম, ২টি স্যানেটারী ল্যাট্রিন (টয়লেট), পানি সরবরাহের জন্য থাকবে ১টি সাবমার্সিবল মটর।এছাড়াও থাকবে ১টি ট্যাব ও পানির ট্যাংকি। বীর নিবাসে এছাড়াও থাকবে ফলজ, বনজ ও ঔষধি বৃক্ষ। এছাড়াও থাকবে মনোমুগ্ধকর সবজি ও ফুলের বাগান। উপজেলার বাদে অরুয়াইল এলাকার মিনা রায় জানান, এই সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বীর নিবাস তৈরি করে দিয়ে নতুন ইতিহাস সৃষ্টির করল। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সরকার মুক্তিযোদ্ধা বান্ধব সরকার। আমরা উনার দীর্ঘায়ু কামনা করি।এ ব্যাপারে সরাইল কালিকচ্ছ মনিরবাগ গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা নান্নু মিয়া এ প্রতিনিধিকে বলেন, আমরাসহ আমাদের পরিবারের সদস্যরা যতদিন জীবিত থাকবো ততদিন শেখ হাসিনার জন্য দোয়া করবো। এটা সরকারের একটি ভালো উদ্যোগ।এই উদ্যোগকে আমরা সাধুবাদ জানাই।দোয়া করি আল্লাহর দরবারে শেখ হাসিনাকে সুস্থ ও ভাল রাখেন।এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো.সাইফুল ইসলাম জানান,মুজিববর্ষ উপলক্ষে সরাইলে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য দ্বিতীয় পর্যায় ২৮ ‘বীর নিবাস’ নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে।প্রতিটি বীর নিবাসের জন্য সরকারের ব্যয় হবে ১৪ লাখ ২০ হাজার টাকা ব্যয়ে দুই কাঠা জমির ওপর নির্মিত প্রতিটি ভবনে ২টি বেড রুম, ১টি ডাইনিং রুম, ১টি কিচেন রুম ও ২টি বাথ রুম থাকছে প্রতিটি বীর নিবাসে। সরাইলে ৫টি প্যাকেজে ২৮টি বীর নিবাস হচ্ছে। সরাইল উপজেলা নির্বাহী নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ সরওয়ার উদ্দীন এ প্রতিনিধিকে বলেন, সরকারের এই উদ্যোগের ফলে উপজেলার ২৮ জন অস্বচ্ছল বীরমুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের সদস্যরা মাথা গোঁজার ঠাই পাচ্ছে। সেই সঙ্গে ওই সকল পরিবারের দীর্ঘদিনের আবাসনের সমস্যার সমাধান হলো। ইউএনও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর এ উন্নয়নমূলক কাজ অব্যাহত থাকবে।
আপনার মন্তব্য লিখুন