নাসিরনগরে পানির তোড়ে ভেঙে গেছে ব্রিজ

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ বছর নাসিরনগর উপজেলায় মোট ১০ হাজার ৭৫ হেক্টর বোনা আমন ধান চাষ করা হয়েছে। এর মধ্যে ভলাকুটে এক হাজার হেক্টর, চাতলপাড়ে ৭৫ হেক্টর, কুন্ডায় ১২শ হেক্টর, নাসিরনগরে ১২শ হেক্টর, বুড়িশ্বরে ১৪৮০ হেক্টর, ধরমন্ডলে ১ হাজার হেক্টর ও ফান্দাউকে ১৪১৫ হেক্টর বোনা আমন ধান চাষ করা হয়েছে। বন্যার পানিতে ওই সকল এলাকার ২ হাজার হেক্টর বোনা আমন ধান পানির নিচে তলিয়ে গেছে।

তবে কৃষি অফিসের দেওয়া তথ্যের সাথে বাস্তবতার কোন মিল নেই। কৃষি অফিস বলছে ২ হাজার হেক্টর ধানি জমি পানির নিচে। কিন্ত স্থানীয়দের দাবি উপজেলা অধিকাংশ জমিই পানির নিচে।

এ ছাড়াও উপজেলার তিনটি কমিউনিটি ক্লিনিকে পানি উঠায় স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে প্রায় ১০ হাজার মানুষ।

সরেজমিন উপজেলার ফান্দাউক, বুড়িশ্বর, নাসিরনগর, ভলাকুট, কুন্ডা, ধরমন্ডল ইউনিয়নে ঘুরে দেখা গেছে, টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পানির কারণে ১৩টি ইউনিয়নের ১২টি ইউনিয়নের বোনা আমন ধান পানির নিচে ডুবে গেছে। গত দুই দিন আগেও ওই সকল ইউনিয়নে ফসলি জমিতে পানি ছিল না। কিন্ত দুই দিনের টানা বৃষ্টিতে ওই সকল এলাকার বোন আমন ধানের জমি পানির ৩-৪ ফুট পানির নিচে নিমজ্জিত হয়ে গেছে। এতে করে কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।

ধরমন্ডল ইউপি চেয়ারম্যান শফিক মিয়া বলেন, আমার এলাকায় প্রায় ১ হাজার হেক্টর বোনা আমন ধান আছে। যার সবই পানিতে ডুবে আছে। এখন পর্যন্ত কৃষি অফিসের কোন লোকের দেখা মেলেনি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু সাইদ তারেক বলেন, উজানের পানির কারণে সৃষ্ট বন্যায় নাসিরনগরের বোনা আমন প্রায় ২ হাজার হেক্টর ধানি জমি পানির নিচে নিমজ্জিত হয়ে গেছে। পানি কমে গেলে ধানের কোন ক্ষতি হবে না।