একজন কর্মীবান্ধব ও মানবিক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক
বার্তা সম্পাদক প্রকাশিত: ১০:৪৮ অপরাহ্ণ , ২৯ এপ্রিল ২০২২, শুক্রবার , পোষ্ট করা হয়েছে 3 years আগে
মোহাম্মদ রাসেল মিয়া কসবা: যিনি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ এবং দেশ কে বাতিলি শক্তি ও জাতির পিতা নিহত হওয়ার পর থেকে যে মিথ্যা ইতিহাস আমাদের সমাজ ব্যাবস্থাকে গ্রাস করেছিল তার হাত থেকে রক্ষা করেছেন। এই সেই সত্য ও ন্যায়ের সিংহপুরুষ আমাদের আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যা মামলা ও জাতীয় চার নেতা হত্যা মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান কৌঁসুলি। এছাড়াও বিডিআর বিদ্রোহ ও দুদকের মামলাসহ রাষ্ট্রীয় বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ মামলা পরিচালনা করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তার বাবা প্রয়াত সিরাজুল ইসলামও ছিলেন দেশবরেণ্য রাজনীতিক ও আইনজীবী এবং স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়ণকারী।
হে আগত তরুণ প্রজন্মরা তোমরা জেনে রাখ তোমাদের বুকে অহংকার জন্ম হবে যখন তোমরা তোমাদের এলাকার বাইরে গিয়ে পরিচয় দিবে আমরা আইনমন্ত্রীর এলাকার লোক তখন তোমাদের অনুভবে এক শিহরনে জানান দিবে অহংকারের গর্বের। সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আনিসুল হকের গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার পানিয়ারূপ গ্রামে। তার বাবা সিরাজুল ইসলাম ও মা জাহানারা হক দুইজনই মুক্তিযোদ্ধা। আনিসুল হকের বিয়ের কিছুদিন পর সড়ক দুর্ঘটনায় তার স্ত্রী নূর আমাতুল্লাহ্ রিনা হক মারা যান। এরপর আর বিয়ের পিঁড়িতে বসেননি তিনি।
নেতৃত্বের গুণাবলী সবার মধ্যে থাকে না। একজন প্রকৃত নেতা তিনিই যিনি কর্মী-সাধারণ মানুষের মনের ভাষা পড়তে পারেন, চোখের দিকে তাকালেই বুঝতে পারেন, প্রত্যন্ত অঞ্চলের একজন কর্মীর বা সাধারণ মানুষের নামও স্মরণ রাখতে পারেন-আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন এমনি একজন ক্যারিশমাটিক নেতা, তাঁর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি দেশরত শেখ হাসিনাও একই গুণের অধিকারী দূরদর্শী রাজনৈতিক। নেতা যদি প্রকৃত কর্মী বা জনগনকে চিনতে না পারেন, জনগণের মনের ভাষা পড়তে না পারেন, জনগণের বিপদে-সংকটে সাধ্যমতো পাশে দাঁড়াতে না পারেন-তিনি নেতা নন, তিনি অভিনেতা। কসবাবাসীর সৌভাগ্য আমরা এমনি একজন অভিভাবক পেয়েছি যিনি বর্তমান সর্বচ্চ ক্ষমতায় সময়ও দলীয় সর্বস্তরের নেতাকর্মীসহ সর্বসাধারণের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তিনি বাংলার তিতাস পাড়ের বীর তিনি কসবা-আখাউড়া গর্ব, কসবা-আখাউড়া বাসীর অহংকার, আমাদের প্রাণের নেতা, কসবা-আখাউড়াবাসীর সত্যিকারের উন্নয়নের রূপকার ও সফল বাস্তবায়নকারি। তার হাত ধরে কসবা ও আখাউড়া উপজেলায় অভাবনীয় উন্নয়ন কাজ হয়েছে। দুইবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়া আনিসুল হক ওই দুই উপজেলায় অন্তত হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন করেছেন। আনিসুল হকের আমলে কসবা-আখাউড়াবাসীর সবচেয়ে বড় পাওনা শতভাগ বিদ্যুতায়ন, হাজারো বেকারত্ব ছেলে মেয়ের চাকরি । ৭০টি’র বেশি সরকারি-বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নতুন ভবন নির্মাণ, একাধিক স্কুল কলেজ জাতীয়করণে তিনি ভূমিকা পালন করেন। তিনি উন্নয়ন কাজের মধ্যে অন্যতম হলো কসবার বায়েক ইউনিয়নের নয়নপুরে মা ও শিশু হাসপাতাল। কসবা-আখাউড়া থানার দৃষ্টি নন্দন ভবন নির্মাণ সহ ও আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করেছেন। কসবা-কুটি সড়ক আরো অসংখ্য সড়কের উন্নয়ন কাজ করেন । সব মিলিয়ে এক হাজার একশক কোটি টাকার বেশি উন্নয়ন কাজ করেছেন। এক কথায় মন্ত্রী মহোদয়ের আমলে মানব ও মানতবার উন্নয়ন হয়েছে।
দলীয় নেতাকর্মীদের তিনি কখনো পিতা, কখনো ভাইয়ের মতো আগলে রেখেছেন। এখনও একজন প্রভাবশালী সংসদ সদস্য ও উন্নয়ন পাগল অত্যন্ত ব্যস্ত একজন মানুষ হয়েও কসবা আখাউড়া ও ঢাকায় সহ সারাদেশে নেতাকর্মীদের সর্বোচ্চ সময় দেন, তাদের কথা মনোযোগ সহকারে শোনেন এবং সমাধানের চেষ্টা করেন আন্তরিকভাবে। হাজারো ব্যস্ততার মাঝেও যে কোন ফোনই তিনি রিসিভ করেন, সময় নিয়ে কথা বলেন, অথচ জানামতে এমন অনেক নেতাকে জানি কর্মীর চরম বিপদে-সংকটে দিনের পর দিন শতটা ফোন দিলেও তা রিসিভ করেন না কিংবা কেটে দেন! এ জাতীয় নেতা, নেতা নন, আগেই বলেছি এরা অভিনেতা, রঙ্গমঞ্চে এরা অভিনয় শেষে একসময় নিজেকে আড়াল করে নেন। আনিস ভাই আমার নেতা, আমার অভিভাবক।
আনিস ভাই এমনি মানবিক ও কর্মীবান্ধব একজন নেতা। যার জন্য কসবা-আখাউড়াবাসী আজ গর্ব করে বুকে হাত দিয়ে বলতে পারে ‘আমাদের একজন আনিস আছে, সে আনিস জনতার’।
আপনার মন্তব্য লিখুন