দিশেহারা আম জনতা পেঁয়াজের কেজি ৬০ টাকা
বার্তা সম্পাদক প্রকাশিত: ২:৫২ অপরাহ্ণ , ৬ মার্চ ২০২২, রবিবার , পোষ্ট করা হয়েছে 3 years আগে
মো.তাসলিম উদ্দিন সরাইল( ব্রাহ্মণবাড়িয়া)দিশেহারা আম জনতা পেঁয়াজের কেজি ৬০ টাকা সাপ্তাহের ব্যবধানে সরাইল বাজার গুলোতে বেড়েছে পেঁয়াজের দাম, কেজিতে ১৫ টাকা বেড়ে পেঁয়াজের দাম আবার ৬০ টাকায় উঠেছে।
আজ সকালে সরাইল উপজেলা মোড়ে বাজার গুলো পেঁয়াজ ৬০ টাকা বিক্রি করতে দেখা যায়, শুধু তাই নয় এর সঙে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের সবজি, তবে অপরিবর্তিত রয়েছে মাছ, ডিম ও মুরগি দাম। তবে গরুর মাংস আজও ৬০০ শত টাকা কেজি।
শনিবার(৫ মার্চ) সকালে সরাইল উপজেলা উচালিয়াপাড়া মোড়, বিকাল, শাহবাজপুর বাজার, কালিকচ্ছ বাজার, অরুয়াইল বাজার এলাকা ঘুরে এসব চিত্র উঠে এসেছে। বাজারে দাম বেড়েছে সবজির। প্রতি কেজিতে বেড়েছে ১০ থেকে ২০ টাকা।এসব বাজারে প্রতিকেজি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, শিম বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকা, (গোল) বেগুন ৬০ টাকা, (লম্বা) বেগুন ৫০ টাকা, ফুল কপি প্রতি পিস ৫০ টাকা, পাতা কপি ৪০ টাকা, করলা ৭০ টাকা, গাজর প্রতি কেজি ৩৫ টাকা, চাল কুমড়া পিস ৩০ টাকা, প্রতি পিস লাউ আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫৫ টাকা, পটল ৫০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, মুলা ৪০ টাকা, কচুর লতি ৬০ টাকা, পেঁপের কেজি ৪০ টাকা,এসব বাজারে বেড়েছে আলুর দাম। আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকা। দাম বেড়েছে পেঁয়াজের। দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকা কেজি। গতসপ্তাহে পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হয়ে ছিল ৫০ থেকে ৫৫ টাকা কেজি। এসব বাজারে ভোজ্যতেলের লিটার বিক্রি হচ্ছে বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা ২০০টাকা। বাজারে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। এছাড়া প্যাকেট চিনি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকায়। আটা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকায়।চায়না রসুন প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১১০ টাকা। দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি। দেশি আদার কেজি ৬০ টাকা। চায়না আদার দাম কমে বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা। এসব বাজারে কাঁচামরিচ প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা। কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। পেঁপে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা। শসা বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা। আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে ডাল। ইন্ডিয়ান ডালের কেজি ১০০ টাকা। গত সপ্তাহে ইন্ডিয়ান ডাল প্রতি কেজি বিক্রি হয় ৯০ থেকে ৯৫ টাকা। দেশি ডালের কেজি ১২০ টাকা।
সকালে বাজারে আসা দিলু মিয়া বলেন, এমন জিনিস নাই যে ১০ থেকে ২০ বেশী দাম না বাড়ছে। তৈল এখন ১৮০- ২০০ টাকা, আবার পেঁয়াজ এখন ৬০ টাকা করে বিক্রি করতেছে। আমরা সামান্য আয়ের মানুষ আর পারতেছিনা। সামান্য আয়ের মাঝে বাজার যেভাবে দাম ভাড়ছে মরা চাড়া আর উপায় নাই।বাজারে বেড়েছে ডিমের দাম। লাল ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১১৫ থেকে ১২০ টাকায়। হাঁসের ডিমের ডজন বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৯০ থেকে ১৯৫ টাকা। দেশি মুরগির ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ২১০ টাকা।সোনালী (কক) মুরগির ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়। এসব বাজারে আগের দামে বিক্রি হচ্ছে গরুর মাংস কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬৪০ থেকে ৬৫০ টাকা। বাজারে বেড়েছে মুরগির দাম। ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকা। সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকা। গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছিল ২৫০ টাকা কেজি। বেড়েছে লেয়ার মুরগির দাম। কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৪০ থেকে ২৫০ টাকা। গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছিল ২৩০ টাকা কেজি।সরাইল উচালিয়াপাড়া বাজারের মুরগি বিক্রেতা মো. জালাল বলেন, উৎপাদন কম থাকায় মুরগির দাম বেড়েছে।খামারিরা বলছেন, মুরগির খাবারের দাম কেজিতে ৭ টাকা করে বেড়েছে বলেই মুরগির দাম বাড়তি।
সরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আরিফুল হক মৃদুল, এ ব্যপারে তিনি বলেন দ্রব্যমূল্য ঊর্ধ্বগতি নামে যারা বাজারের অস্থিতিশীল সৃষ্টি করেন তাদের বিরুদ্ধে মাজার মনিটারিং করে হচ্ছ।বাজারে তাদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হবেআপনাকে না কেন।
আপনার মন্তব্য লিখুন