১৪ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩০শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

EN

প্রশাসনের অভিযানে সরাইল অরুয়াইলে তিতাসের ভাগ্য বদলায়নি’বেড়েছে দখল দূষণ

বার্তা সম্পাদক

প্রকাশিত: ১:০৪ পূর্বাহ্ণ , ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২২, সোমবার , পোষ্ট করা হয়েছে 3 years আগে

(ফলোআপ)
মো.তাসলিম উদ্দিন সরাইল( ব্রাহ্মণবাড়িয়া) ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরাইলের অরুয়াইল বাজারে দখলের রাজত্ব এমন সংবাদ অনেক আগের। কিছু দিন আগে দেশের জাতীয় পত্রিকাসহ বিভিন্ন অনলাইন মিডিয়া ও সরাইল উপজেলা আইনশৃঙ্খলা সভায় একাধিকবার আলোচনা হয় এ দখল উদ্ধার ও নদীর নাব্যতা রক্ষা করতে। তার পরেও আছে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চিঠি। এলাকাবাসীর লিখিত অভিযোগ ও জনপ্রতিনিধিদের দখলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন বক্তব্য।

গত শুক্রবার(১৮ফেব্রুয়ারী) সকালে সরাইল উপজেলার অরুয়াইল বাজারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো.আরিফুল হক মৃদুলের নেতৃত্বে প্রশাসনের কর্মকর্তাগণ
অভিযান পরিচালনা করে নদী দখলদারদের তালিকা করেন। শুক্রবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অভিযান পরিচালিত হয়। এ সময় সরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.আরিফুল হক মৃদুল সঙ্গে ছিলেন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)ফারহানা নাসরিন, জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম,ভূমি রাজস্ব কর্মকর্তা গিয়াস উদ্দিন,সার্ভেয়ার ওয়াসিম আকরাম,সরাইল থানা পুলিশ ও ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তাগণ।

উপজেলা প্রশাসনের এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছিল ভুক্তভোগী এলাকাবাসী। প্রায় দুই বছর আগেও উপজেলা প্রশাসন এ দখলদারদের বিরুদ্ধে লাল চিহ্নের দাগ দিয়েছিল। কিন্তু উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করা হয়নি। যার ফলে নতুনভাবে দখল হয়েছে অনেক নদীর জায়গা।

সম্প্রতি গণমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্টের লিখিত হেড লাইন’ অরুয়াইলে তিতাসের ভাগ্য বদলায়নি’বেড়েছে দখল দূষণ” অরুয়াইল নদী ভরাট, অবৈধ দখল ও তৈরি স্থাপনার চিত্র বিভিন্ন মিডিয়ায় সচিত্র প্রতিবেদনে। বিস্তর লেখালেখি হয় বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায়।
এর আগে তৎকালীন সরাইল উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি ফারজানা প্রিয়াঙ্কা অরুয়াইল বাজারের অবৈধ স্থাপনা চিহ্নিত করেছিলেন কিন্তু আজও পর্যন্ত অবৈধ স্থাপনার বিরুদ্ধে কোন উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়নি। সরেজমিনে দেখা যায় মহিলা মার্কেট, ফেরিদোকান ও বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়ন করা ঘাটলা দখলদারা দহল তবিয়তে আছে। এখন আবার দখল করছে ব্রীজএলাকা।

অরুয়াইল বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি আওয়ামীলীগ সভাপতি আবু তালেব মিয়া বলেন,অরুয়াইল তিতাস নদী ও বাজার দখলের বিষয়ে উপজেলা আইন শৃংখলা কমিটির সভায় একাধিক বার বলেছি। এসিল্যান্ড ম্যাডাম বাজারে অবৈধ দোকানে লাল চিহ্ন দিয়ে গিয়েছিল। তার পরও আজ পর্যন্ত এই ব্যাপারে কিছুই হয়নি। এ বিষয়ে আমরা আরোও দোষী হচ্ছি। এখন তো ব্রিজ থেকে শুরু হয়েছে দখলের রাজত্ব।

এদিকে সরাইল উপজেলা প্রশাসন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত ৩০ বছর ধরে উপজেলার অরুয়াইল বাজারের পাশ দিয়ে প্রবাহিত তিতাস নদী দখল করে পাকা ঘর নির্মাণ করে ব্যবসা করছে দখলদাররা। বিগত অভিযানে ১৬জন দখলদারের তালিকা করা হলেও পরবর্তীতে নকশা দেখে সার্ভেয়ারের মাধ্যমে মেপে দখলকৃতদের নির্মিত দোকান চিহ্নিত করে লাল রঙ দিয়ে ক্রসচিহ্ন দেয়া হয়েছে। নদী রক্ষা কমিশনের নির্দেশ করবেন তখনই তারা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করবে।

এদিকে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে দৃষ্টিগোচর হলে,ফেসবুকের কমেন্টে আরিফুল ইসলাম সুমন, লেখেন,এমন লাল চিহ্ন দুইবছর আগেও দিয়েছিল উপজেলা প্রশাসন। পরে সেই লাল চিহ্নের ওপর সবুজ রং এঁকে দেয় দখলদাররা। তবে এখন দেখার বিষয়,উনারা শেষ পর্যন্ত করেন কি??
এমন প্রশ্ন সরাইল উপজেলার হাজারো মানুষের মনে তারা আশা করছেন প্রশাসন অতি শীঘ্রই তাদের উচ্ছেদ করে জনমনের সকল সংশয় দূর করে দেবে।

এ ব্যপারে সরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো.আরিফুল হক মৃদুল সাংবাদিকদের বলেন, আমরা সরেজমিনে এলাকায় গিয়ে দেখে,সার্ভেয়ার দিয়ে মেপে যারা নদীর জায়গা দখল করে দোকানপাট করে ব্যবসা করছেন তাঁদের তালিকা করেছি। দখলদারদের নাম জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনে পাঠাবো। নদী রক্ষা কমিশনের নির্দেশে পরবর্তীতে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহযোগীতায় উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত করা হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুন

আর্কাইভ

February 2022
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28  
আরও পড়ুন