৭ মার্চের ভাষণ বাঙালি সেনাবাহিনীর ভেতরে আত্মবিশ্বাস জাগ্রত করেছে
বার্তা সম্পাদক প্রকাশিত: ১:৩১ পূর্বাহ্ণ , ২২ নভেম্বর ২০১৭, বুধবার , পোষ্ট করা হয়েছে 8 years আগে
মঙ্গলবার ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের সেনাকুঞ্জে ‘সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০১৭’ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তবে সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা বলেন, আমার ভাই শেখ কামাল শেখ জামাল দুজনেই মুক্তিযোদ্ধা ছিল। শেখ কামাল ক্যাপ্টেন ছিল। শেখ জামাল মুক্তিযুদ্ধ থেকে ফিরে এসে ট্রেনিং নিয়ে সশস্ত্র বাহিনীতে যোগদান করে। আমার ছোট ভাইটির বয়স ১০ বছর ছিল। তাকে কেউ জিজ্ঞেস করলে সে বলত আমি সেনাবাহিনীতে যাব। দুর্ভাগ্য তার সে আশা পূরণ হয়নি। ছোট্ট শিশু রাসেলের বুকটাও ঝাঁঝড়া হয়ে গেছিল বুলেটের আঘাতে।
আওয়ামী লীগ সভাপতি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন,সেনাবাহিনীর সঙ্গে আমার পারিবারিক সম্পর্ক রয়েছে। আমার ভাই শেখ কামাল, শেখ জামাল দুজনেই মুক্তিযোদ্ধা ছিল। শেখ কামাল ক্যাপ্টেন ছিল। শেখ জামাল মুক্তিযুদ্ধ থেকে ফিরে এসে ট্রেনিং নিয়ে সশস্ত্র বাহিনীতে যোগদান করে।
শেখ হাসিনা বলেন, ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় এলো তখন দেশকে নতুনভাবে গড়ার জন্য কাজ করি। এমনকি স্বসস্ত্র বাহিনীর জন্যও আমরা কাজ করেছিলাম। এরপর আমরা কিছুদিন ক্ষমতায় ছিলাম না ২০০৮ সালে ক্ষমতায় এসে সশস্ত্র বাহিনীর জন্য পুনরায় কাজ করি। কারণ একটি স্বাধীন দেশের সশস্ত্র বাহিনী হবে দক্ষ, চৌকস একটি বাহিনী।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তা ছাড়া জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনীতে বাংলাদেশের সেনাবাহিনীকে বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের সেনাবাহিনী প্রশিক্ষণ, অস্ত্র-শস্ত্র, শিক্ষা দীক্ষা সবকিছুই আন্তর্জাতিক হতে হয়। সেদিকে লক্ষ রেখেই আমরা আধুনিক সশস্ত্র বাহিনীর জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছি। ইতিমধ্যে আমরা অনেক পদক্ষেপ নিয়েছি। যেমন-প্রশিক্ষণ, সাংগঠনিক দক্ষতা উন্নতকরণে মিলিটারি একাডেমি, প্রয়োজনীয় ট্রেনিং স্কুলসহ আধুনিক সেনাবাহিনীর কথা চিন্তা করে জাতির পিতা যেসব প্রতিষ্ঠান গড়ে দিয়ে গেছিলেন আমরা সে পদাঙ্ক অসুনরণ করে কাজ করে যাচ্ছি।
৭ মার্চের ভাষণের বিষয়ে সরকারপ্রধান বলেন, আমার মা বলেছিল তোমার কোনো পরমর্শের প্রয়োজন নেই সারা জীবন তুমি মানুষের জন্য কাজ করেছ, সুতরাং তুমি যা ভালো মনে করবে তা তুমি বলবে। তিনি আরো বলেন,এটি এমন একটি ভাষণ যার কোনো লিখিত ফর্ম ছিল না। তিনি যে ভাষণ দিয়েছিলেন তার মধ্যে দুই বছরের শাসন শোষণের কথা বলেছিলেন এবং ভাষণের মধ্য দিয়ে গেরিলা যুদ্ধের প্রস্তুতির কথা তিনি বলেছিলেন। যে ভাষণের মূল কথা ছিল এবারের সংগ্রাম-স্বাধীনতার সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম। মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে এটা বারবার প্রচারিত হয়েছে। যা মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকালী মুক্তিযোদ্ধাদের প্রেরণা জোগাত, সাহস জোগাত। ৭ মার্চের ভাষণ বাঙালি সেনাবাহিনীর ভেতরে আত্মবিশ্বাস জাগ্রত করেছে
শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের দুর্ভাগ্য ১৫ আগস্ট সপরিবারে জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর যারা ক্ষমতায় এসেছিল তারা এই ভাষণটির প্রচার নিষিদ্ধ করে দিয়েছিল। ইতিহাস বিকৃত করেছিল। ইতিহাসকে কেউ অস্বীকার করতে পারে না, বিকৃত করতে পারে না। আজ প্রমাণিত হয়েছে। আজ এই ভাষণ বিশ্বে এক অনন্য মর্যাদা পেয়েছে।বাঙালি জাতিকে নতুন গৌরবে উন্নীত করেছে। তিনি বলেন, যে নীতিমালা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান করে দিয়েছিলেন তা বাস্তবায়ন করার লক্ষে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। যা সেনাবাহিনীর ভেতরে আত্মবিশ্বাস জাগ্রত করেছে।
আপনার মন্তব্য লিখুন