উদ্যানের বাইরেও ছিল সমাবেশে আসা মানুষের স্রোত
বার্তা সম্পাদক প্রকাশিত: ৩:০৪ পূর্বাহ্ণ , ২০ নভেম্বর ২০১৭, সোমবার , পোষ্ট করা হয়েছে 8 years আগেপ্রতিটি বড় বড় মিছিলে বঙ্গবন্ধুর সেই ৭ মার্চের ভাষণ মাইক ও বিভিন্ন সাউন্ড সিস্টেমে বাজানো হয়। ঢাকঢোল ও বাদ্যযন্ত্র বাজানোর পাশাপাশি মাইকে পরিবেশন করা হয় বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধে সম্পর্কে বিভিন্ন দেশাত্মবোধক গান। নেচে-গেয়ে ও স্লোগানে স্লোগানে বিভিন্ন রঙিন ব্যানার-পোস্টার ও ফেস্টুন নিয়ে তারা সমাবেশস্থলে আসেন। অনেকের হাতে ছিল লাল-সবুজের পতাকা। নেতাকর্মীরা মেতে উঠেন নানা আনন্দ-উল্লাসে। তারা পর্যায়ক্রমে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ভেতরে সারিবদ্ধ হয়ে প্রবেশ করেন। টিএসসি ও বাংলা একাডেমির গেট দিয়ে নেতাকর্মীরা সমাবেশে প্রবেশ করেন।
বিকেল ৩টার আগেই সমাবেশস্থল কানায় কানায় পূর্ণ হয়। এরপর নেতাকর্মীরা উদ্যানের বিভিন্ন স্থানে দল নিয়ে বসে পড়েন। পুরো উদ্যান ছিল লোকে লোকারণ্য।
উদ্যানের বাইরেও ছিল সমাবেশে আসা মানুষের স্রোত। অনেকেই উদ্যানে প্রবেশ করতে না পারলেও টিএসসি, জাতীয় গণগ্রন্থাগার, জাদুঘর, বাংলা একাডেমি, দোয়েল চত্বরের সামনে দাঁড়িয়ে ভাষণ শোনেন। এসব এলাকাও ছিল লোকে লোকারণ্য।
সমাবেশের মূল মঞ্চ তৈরী করা হয় নৌকার আদলে। মূল মঞ্চ ছাড়াও আশপাশে ৭ মার্চের ভাষণের বিভিন্ন উক্তি লেখা বঙ্গবন্ধু ও ৭ মার্চের ভাষণের দৃশ্য বিশালাকারের বিলবোর্ড টানানো হয়। তৈরি করা হয় একাধিক নৌকা। বলা যায়, পুরো মাঠজুড়েই ছিল ৭ মার্চের স্মরণে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কথা লেখা ছোট ছোট ফেস্টুন ও বিলবোর্ড। উদ্যানের ভেতর ও বাইরে সড়কের দুই পাশে ডিজিটাল ব্যানার টাঙানো হয়। বঙ্গবন্ধুর ভাষণের ছবিসহ তাতে লেখা ছিল ভাষণের বিখ্যাত সব উক্তি।
ইতিহাসের সাক্ষী হতে সমাবেশে অংশ নেন নারী-পুরুষ, কিশোর, যুবক, মধ্যবয়সী ও বৃদ্ধসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। সমাবেশে আসা ওয়াদুদ রহমান ভোরের কাগজকে জানান, ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ভাষণ দিয়েছিলেন। তার সেই ভাষণের ফলেই সর্বস্তরের মানুষ মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়। ৯ মাস যুদ্ধ করে তারা দেশ স্বাধীন করেন। আমাদের সৌভাগ্য হয়নি, বঙ্গবন্ধুর সেই ঐতিহাসিক ভাষণটি শোনার। দীর্ঘ ৪৬ বছর পর আজ সেই জায়গায় ৭ মার্চের ভাষণকে স্বীকৃতি দেয়ায় নাগরিক সমাবেশ হচ্ছে। এখানে দেশের বিভিন্ন বরেণ্য ব্যক্তিসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নিয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা এই সমাবেশে প্রধান অতিথি। সত্যি অনেক ভালো লাগছে। আজ বাঙালি হিসেবে পরিচয় দিতে আমরা গর্ববোধ করি। বঙ্গবন্ধু যে স্থানে ভাষণ দিয়েছেন, ঠিক সেই স্থানে নাগরিক সমাবেশ। এটা একটা ইতিহাস। সেই ইতিহাসের অংশ হতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি।
এদিকে ঢাকার সংসদ সদস্যদের মধ্যে ইলিয়াস মোল্লা, আসলামুল হক, এডভোকেট কামরুল ইসলাম. নারায়ণগঞ্জ থেকে গোলাম দস্তগীর গাজী, নজরুল ইসলাম বাবু, সানজিদা খাতুন, ডা. এনামুর রহমানসহ আশপাশের জেলার সংসদ সদস্যরাও মিছিলের শোডাউন নিয়ে সমাবেশে আসেন।
আপনার মন্তব্য লিখুন