১৪ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩০শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

EN

ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের প্রধান টাউন খালে স্থায়ী সেতু না থাকায় যানজট ও দুর্ভোগ

বার্তা সম্পাদক

প্রকাশিত: ৩:৫৭ অপরাহ্ণ , ৫ আগস্ট ২০২১, বৃহস্পতিবার , পোষ্ট করা হয়েছে 4 years আগে

নিজস্ব প্রতিবেদক: ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের প্রধান টাউনখালের উপর অন্তত তিনটি স্থায়ী ব্রিজ নির্মাণ না করায়  যানজট চরম আকার ধারণ করেছে । প্রতিদিন ভোগান্তিতে আছে হাজার হাজার মানুষ।

সড়ক বাজার থেকে গোকর্ণ ঘাট পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার আঁকাবাকা খাল রয়েছে। এ খালের উপর ৫ টি ব্রীজ রয়েছে। এর ৩টি দিয়ে যানবাহন চলাচল করতে পারে। পুরাতন ফকিরাপুল, ও কাজী পাড়া ব্রীজ দিয়ে যানবাহন চলাচল করতে পারে। কান্দিপাড়া ব্রীজ, পৌরতলা ব্রীজ দিয়ে মানুষ পায়ে হেঁটে চলাফেরা করতে হচ্ছে। অধিক মাত্রায় উচু হওয়ায় দুটি সেতুৃ দিয়ে চলাচল করতে পারছে না যানবাহন। এর মধ্যে পুরাতন ফকিরাপুল ব্রীজটি অনেকটাই নড়বড়ে। খালের পাড়ের বাসিন্দারা নিজেদের উদ্যোগে যানজট নিরসনসহ মানুষের পথচলা নিশ্চিত করতে কান্দিপাড়া ও দক্ষিণ পৈরতলা গোরস্থান ও মসজিদ আল নূর পিয়ারা জামে মসজিদ সংলগ্ন বাঁশের সাঁকো নির্মান করেছে। এলাকাবাসী নাগরিকদের ভোগান্তি রোধে জরুরী ভিত্তিতে স্থায়ী ব্রীজ নিমার্নের দাবী জানিয়েছে তারা।

জানা যায়, পৈরতলা উত্তর ও দক্ষিণ দিকের মানুষের চলাচলের জন্য সংযোগ সড়কের ৯০ ফুট দীর্ঘ একটি কাঠের তৈরী সাঁকো নির্মাণ করে মহল্লাবাসী। ওই এলাকায় খালটি ৮০ ফুট প্রশস্থ। পৈরতলা আল নূর পেয়ারা জামে মসজিদ সংলগ্ন সাঁকোটি দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ চলাচল করে। গ্রামবাসী প্রায় ৪ লাখ টাকা খরচ করে নিজস্ব উদ্যোগে সাঁকো টি নির্মাণ করলেও জেলা পরিষদ ও পৌর কর্তৃপক্ষ বছরের পর বছর ধরে সেখানে ব্রীজ করার কোন উদ্যোগ গ্রহন করেনি।

এতে ওই এলাকায় প্রাইমারি স্কুল, হাই স্কুল ও মসজিদ, মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের খুবই অসুবিধা হচ্ছে। অন্তত ৮ হাজার লোকের বসবাস দক্ষিণ পৈরতলায়। শত বছরের প্রাচীনতম খালটির উপর দিয়ে স্থায়ী ব্রীজ নির্মাণ হলে বদলে যাবে ওই এলাকার পুরো চিত্র। সেখানে রয়েছে ওই এলাকার সবচেয়ে বড় সরকারি কবরস্থান। ৬০ শতাংশ জমির উপর প্রতিষ্ঠিত কবরস্থানটিতে মানুষের মরদেহ দাফনের কাজেও ব্যবহৃত হয় অস্থায়ী ওই সাঁকোটি। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, দক্ষিণ পৈরতলা চার রাস্তার মোড়ে প্রতিদিন তীব্র যানজট হয়। এতে মানুষের চলাফেরা ব্যাহত হয়। অথচ দক্ষিণ ও উত্তর পৈরতলা সংযোগ সাঁকোর স্থানে স্থায়ী সেতু নির্মাণ হলে পুরো এলাকায় যানজট কমে যাবে। মানুষের ভোগান্তি কমে আসবে। যাতায়াত স্বাচ্ছন্দ্য হবে। ওই এলাকায় সবচেয়ে বড় মসজিদ ও শেখ জালাল (রহঃ) মাজার থাকায় সাধারণ মানুষের চলাফেরাও দিন দিন বাড়ছে।

প্রবীন ব্যক্তি ফরিদ মিয়া জানান, বাশের তৈরী সাঁকোটি পরিবর্তন করে জরুরী ভিত্তিতে স্থায়ী ব্রীজ নির্মাণ করা প্রয়োজন কারণ এ সাঁকোটি দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ চলাফেরা করতে গিয়ে নানা সমস্যায় পড়ছে। ফরহাদ সরকার বলেন, কয়েক যুগ ধরেই এ এলাকর মানুষ অবহেলিত। সংযোগ সড়কে স্থায়ী সেতু নির্মাণ হলে এলাকার মানুষের সময় ও অর্থ দুটোই বাঁচবে। কবর জিয়ারত ও মাজার জিয়ারতে সহজ হবে। অন্যদিকে সড়ক বাজার এলাকায় অস্থায়ী সেতুর পরিবর্তে স্থায়ী সেতু নির্মাণ হলে ওই এলাকার মানুষের দুর্ভোগ কমে আসবে। অন্তত শহরের যানজট কমানোর জন্য এ খালের উপর অন্তত ৪ ব্রীজ নির্মাণ প্রয়োজন বলে ভুক্তভোগীরা মনে করছেন। এর মাধ্যমে শহরের যানজট পরিস্থিতি কমে আসার পাশাপাশি হাজার হাজার মানুষের দুর্ভোগ কমবে। সে সাথে গতি সঞ্চারিত হবে জনজীবনে।

আপনার মন্তব্য লিখুন

আর্কাইভ

August 2021
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
3031  
আরও পড়ুন