ভালো নেই” সরাইল মুচি সম্প্রদায় !!
বার্তা সম্পাদক প্রকাশিত: ৮:৫৫ অপরাহ্ণ , ৫ জুলাই ২০২১, সোমবার , পোষ্ট করা হয়েছে 4 years আগে
মো: তাসলিম উদ্দিন সরাইল( ব্রাহ্মণবাড়িয়া) করোনাকালে ভালো নেই সরাইল উপজেলার মুচি সম্প্রদায় করোনা মহামারিতে লকডাউনে আয় কমে গেছে মানুষের। এদের মধ্যে সবচেয়ে বিপদে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষরা।
বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে গত ১ জুলাই থেকে শুরু হয়েছে দেশব্যাপী কঠোর বিধিনিষেধ। এ বিধিনিষেধ যেন মরার ওপর খাঁড়ার ঘা হিসেবে দেখা দিয়েছে সরাইলের মুচি সম্প্রদায়ের জন্য। আজ (৫ জুলাই) বিকালে সরাইল উপজেলার কালিবাড়ি সামনে সরেজমিনে কয়েক জন মুচি তাদের কথা বলে এমন করে, এখন দিনে ৩০-৪০ টাকা কামাই হয়। এ দিয়ে সংসার চলে না। সংসারে রয়েছে পাঁচ- আট সদস্য। এরমধ্যে কিছুদিন হলো বিধিনিষেধে লোকজন বের হন না তেমন। এতে কামাইও হয় না। এখন কি করে সংসার চালা’মে সে চিন্তায় রয়েছি। এমন করেই অসহায়ত্ব প্রকাশ করেন জুতা সেলাইয়ের (মুচি) কাজ করা রবি দাস (৪০)। তিনি সরাইল উপজেলা কালিবাড়ি সামনে রাস্তার পাশে বট গাছের নিচে মুচির কাজ করেন। কয়েক দিন ধরে কোন কাজ কর্ম নাই, দেখ বসে আছি লকডাউনে লোকজন বাহের হয় না। আমার চার জন ছেলে- মেয়ে দুএকটি কাজ হয়। তবে তাহে কি সবাইকে মুখ ফুটে।।
জানা যায়, সরাইলে উপজেলায় অনেক জন মুচি রয়েছেন। এদের বেশিরভাগই কাজ না থাকায় অলস সময় পার করছেন। আবার কেউ বাক্স গুছিয়ে চলে গেছেন বাড়িতে।
শামলাল বলেন, জন্মের পর থেকে যখন বড় ধরে তিনি এ কাজ করে সংসার চালাচ্ছেন। আগে দিনে ২০০-৩০০ টাকা আয় করতেন। কিন্তু করোনা আসার পর থেকে তেমন আয় হয় না। দিনে ৫০-৬০ টাকা আয় হয়। এতে সংসার চলে না।
ধনু রবি দাস বলেন, কোন কাম কাজ নাই বইসা তাহি, কি করব,গতবছর করোনার শুরুতে কিছু সহযোগিতা পেলেও এবছর কোনো সহযোগিতা পাইনি। তাই বাধ্য হয়ে করোনার মধ্যে ফুটপাতে কাজের জন্য বসে আছি। তবে বিধিনিষেধ থাকায় নেই কোনো ক্রেতা।
তারা আরও জানান, করোনা তারা আর কিছু পাননি। এমতাঅবস্থায় তারা অসহায় হয়ে পড়েছেন। এ অবস্থা থেকে মুক্তির জন্য সরকারের সহযোগিতা কামনা করছেন।
অন্যান্য মুচিরা জানান, সরাইল উপজেলা প্রায় অনেক জন এ পেশার সঙ্গে জড়িত। এ কাজ করেই চলে তাদের সংসার। কিন্তু বর্তমানে তারা খুব কষ্টে দিন পার করছেন। করোনা শুরুর পর থেকেই তাদের কাজ কমে গেছে। আর বিধিনিষেধ যেন কাজের সুযোগ আরও কমিয়ে দিয়েছে। এখন দিনে ৪০ টাকাও আয় হয় না। এতে সংসারের খরচ, ছেলে-মেয়ের পেছনে খরচ, কিস্তিসহ নানা খরচ মেটানো সম্ভব হয় না। ফলে সংসার চালাতে ধার-দেনা করতে হচ্ছে তাদের। এমন করে যেন আর সংসার চালাতে পারছি না??
আপনার মন্তব্য লিখুন