বিজয়নগর স্বামীর বিরুদ্ধে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে হত্যার পর ফাঁসিতে ঝুঁলিয়ে রাখার অভিযোগ।।
বার্তা সম্পাদক প্রকাশিত: ৬:৪৬ অপরাহ্ণ , ৩১ মার্চ ২০২১, বুধবার , পোষ্ট করা হয়েছে 4 years আগে
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি।।ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে স্বামীর বিরুদ্ধে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আদিছা বেগমকে হত্যার পর ফাঁসিতে ঝুঁলিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার (৩১ মার্চ) বিকেলে আদিছাকে হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ করেন তার বাবা নযব আলী।
আদিজা বেগম(৩০) সরাইল উপজেলার শাহাজাদাপুর ইউনিয়নের শাহাজাদাপুর গ্রামের কোনাপাড়ার নযব আলীর মেয়ে। বিজয়নগর উপজেলার চান্দুরা ইউনিয়নের আলাদাউদপুর গ্রামের মো. নুর মিয়ার স্ত্রী।
আদিজার মা জোহরা খাতুন অভিযোগ করে বলেন, গত ২৪ মার্চ বুধবার তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তার মেয়েকে নুর মিয়া পেটে) লাথি ও খুব মারধোর করেন। পরে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যারও চেষ্টা করেন। নুর মিয়া আদিজাকে পেটে লাথি দিলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়। বাঁচার জন্য চিতকার করলেও পরে শ্বাসরুদ্ধ করে আদিজাকে হত্যা করেন নুর মিয়া। জোহরা কান্নায় ভেংগে পড়ে বলেন, মেয়ের মৃত্যুর পর শেষ দেখাটি দেখতে দেয়নি পাষণ্ড নুর মিয়া। তারা হত্যা করছে বলে আমাদেরকে লাশ দেখতে দেয়নি। এর সঠিক বিচার দাবি করেন জোহরা।
স্থানীয় শাহাজাদাপুর ইউনিয়নের ১,২,৩ ওয়ার্ডেই মহিলা মেম্বার ও সরাইল থানার যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক আসমা আক্তার জানান, নিহত আদিজার ভাই রাজু মিয়া ফোনে জানানোর পর খোঁজ নিতে গিয়ে দেখি আদিজা নামের এক অন্তঃসত্ত্বা নারী ফাঁসিতে ঝুঁলে আত্মহত্যা করেছে। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে বুঝতে পারি এটি আত্মহত্যা না, তাকে হত্যা করা হয়েছে। এ মৃত্যুর কারন রহস্যজনক মনে হয়েছে। তাই পুলিশের কাছে দাবি জানাচ্ছি সঠিক তদন্ত করে অপরাধীকে বিচারের কাঠগড়ায় দাড়া করোনা হউক। চান্দুরা ইউনিয়নের আলাদাউদপুর গ্রামের আমীন মেম্বারের বিরুদ্ধে তিনি অভিযোগ করে বলেন, মেম্বারের দায়িত্বহীনতা কারনে আদিজাকে তার মা-বাবাকে দেখতে পারেননি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিকুর রহমান জানান, ফাঁসিতে ঝুঁলে আত্মহত্যা করেছে নাকি আদিকা হত্যা করা হয়েছে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ছাড়া বলা মুশকিল। তবে আমরা নিহতের স্বামীর নুর মিয়ার মাধ্যমে জানতে পারি সে গলায় ওড়না পেছিয়ে ফাঁসিতে ঝুঁলে আত্মহত্যা করেছে। থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টের পর বিস্তারিত জানানো যাবে৷
উল্লেখ্য, ২০১০ সালে আদিজাকে ইসলামিক শরিয়ত মোতাবেক ৩লক্ষ টাকা কাবিনে বিজয়নগর চান্দুরা আলাদাউদপুর গ্রামের মৃত মুহাম্মদ আলীর ছেলে সাথে নুর মিয়ার সাথে বিয়ে দেন। তাদের ঘরে একটি ছেলে ও মেয়ে বাচ্চা আছে। মৃত্যুর সময় আদিজা ৫মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন।
আপনার মন্তব্য লিখুন