১৪ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩০শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

EN

ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিদ্যুৎ বিভ্রাট, সদর হাসপাতালের রোগীরা চরম দুর্ভোগে।।

বার্তা সম্পাদক

প্রকাশিত: ১২:১৫ পূর্বাহ্ণ , ১২ মার্চ ২০২১, শুক্রবার , পোষ্ট করা হয়েছে 4 years আগে

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি।। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরে বিদ্যুৎ বিভ্রাট চরম আকার ধারণ করেছে। এর ফলে জনসাধারণকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগীরা। গরমের শুরুতেই প্রতিদিন জেলা শহরে প্রতিদিন ২ থেকে ৩ ঘন্টা বিদ্যুৎ থাকে না।

বৃহস্পতিবার( ১১ মার্চ) বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত টানা ৪ঘন্টা বিদ্যুৎ বিভ্রাটে দূর্ভোগ তীব্র আকার ধারণ করে।

২৫০ শয্যাবিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে সূত্রে জানা যায়, বিকেল ৩টা থেকে জরুরি বিভাগ থেকে শুরু করে হাসপাতালের ২য় ও ৩য় তলায় বিভিন্ন ওয়ার্ডে বিদ্যুৎ ছিল না। বিদুৎ কতক্ষণ থাকে, আবার বিদ্যুৎ চলে যায়। জরুরি বিভাগে স্টাফরা মোবাইলের লাইটের আলো দিয়ে রোগীদের চিকিৎসা দিতে হচ্ছে। একই রকম অবস্থা লক্ষ্য করা হাসপাতালের গাইনী বিভাগ, পেয়িং বিভাগ ও সার্জারী বিভাগেও। হাসপাতালে জেনারেট থাকলেও এসময় চালু করা হয়নি বলে অভিযোগ করেন রোগীর স্বজনরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে স্বাস্থ্যসেবা নিতে আসা অনেকেই লোডশেডিংয়ের কারণে সদর হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়ে হাসপাতাল সংলগ্ন প্রাইভেট হাসপাতালে গিয়ে সেবা নিচ্ছেন। সেখানে রোগীরা জেনারেটরের মাধ্যমে বিকল্প বিদ্যুৎ ব্যবস্থায় অধিক মূল্যে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাতে বাধ্য হচ্ছেন।

হাসপাতালের ২য় তলায় পেয়িং বেড ওয়ার্ডে মারুফ আলম নামের এক রোগীর স্বজন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘সরকারি হাসপাতালের কোন মা-বাপ নাই। তীব্র গরমে চিৎকার করলেও ব্যবস্থা নেওয়ার কেউ নাই। কি করবে মানুষ? গরমের যন্ত্রণায় রোগীরা উলট-পালট খাচ্ছে’।

ডায়রিয়া ওয়ার্ডে হালিমা বেগম নামের এক নারী বলেন, ‘আমার ভাতিজিকে নিয়ে হাসপাতালে গত দুইদিন হলো ভর্তি আছি। আমাদের যে কেউ সহযোগিতা করবে তেমন কেউ নেই। গরমে সরকারি হাসপাতাল থেকে প্রাইভেট হাসপাতালে যে যাব, সেই উপায়ও নেই’।

এই বিষয়ে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. শওকত হোসেন বলেন, ‘আজ জেলা শহরের অনেক বিদ্যুৎ বিভ্রাট হচ্ছে। ফলে হাসপাতালে পানি সরবরাহ ব্যবস্থাও ব্যাহত হচ্ছে। দূর্ভোগের কারণে বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের সাথে যোগাযোগ করেছি’। তিনি আরও বলেন, ‘হাসপাতালের জেনারেটর কক্ষে লোক থাকার কথা, মনে হয় তেল নেই’।

আপনার মন্তব্য লিখুন

আর্কাইভ

আরও পড়ুন