১৪ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩০শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

EN

জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা, আবৃত্তি ও পুরস্কার বিতরণ

বার্তা সম্পাদক

প্রকাশিত: ৯:৩২ অপরাহ্ণ , ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১, শনিবার , পোষ্ট করা হয়েছে 4 years আগে

ডেস্ক রিপোর্টঃ মুজিববর্ষের অঙ্গীকার-ঘরে ঘরে গ্রন্থাগার” এই শ্লোগানকে ধারণ করে গতকাল সারাদেশে উদযাপিত হচ্ছে জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস ২০২১। এ উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসন ও জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগার এর আয়োজনে এক আলোচনা সভা, আবৃত্তি ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল শুক্রবার বিকেল ৩ টায় জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগারের হলরুমে অনুষ্ঠিত এই সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক মোহাম্মদ রুহুল আমীন। জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগারের লাইব্রেরিয়ান সাইফুল ইসলাম লিমন এর সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জামি, জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক ওসমান গনি সজীব, চেতনায় স্বদেশ গণগ্রন্থাগার এর সভাপতি কবি ও কথাসাহিত্যিক আমির হোসেন, বেসরকারি গণগ্রন্থাগার এর সভাপতি এ.কে.এম বাবুল হক।

বাচিকশিল্পী বাছির দুলাল এর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সম্প্রতি আলোচিত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার গুণী লেখক, ক বর্ণ দিয়ে ২৭ হাজার শব্দের তিনটি গল্পগ্রন্থের প্রণেতা ইকবাল সর্দার মো. নাজমুল কবির (ছদ্মনাম ইসমোনাক) ও বেসরকারি গণগ্রন্থাগার এর সাধারণ সম্পাদক কবির হোসেন কানু। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন যমুনা টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি শফিকুল ইসলাম, আর টিভির জেলা প্রতিনিধি আজিজুর রহমান পায়েল, বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের ভ্রাম্যমান লাইব্রেরীর লাইব্রেরী কর্মকর্তা আনিসুজ্জামান প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, পৃথিবীতে কোন মানুষ চিরদিন বেঁচে থাকে না। কিন্তু একটি বই চিরদিন বেঁচে থাকে। আর সেই বইয়ের মাধ্যমে বইয়ের লেখকও মানুষের মাঝে অমর হয়ে থাকে। তিনি বলেন, বই মানুষের মনকে সত্য ও সুন্দরের পথে অনুপ্রাণিত করে। তাই সবাইকে বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মকে বই পড়তে হবে, বই লিখতে হবে। তিনি প্রতিদিন কোন মৌলিক বইয়ের অন্তত দশটি পৃষ্ঠা করে হলেও বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলার জন্য সবার প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানের সভাপতি তার বক্তব্যে বলেন, আগের যুগে বই প্রকাশ করা দুঃসাধ্য ছিল। কোন বই প্রকাশ করলেও তা জনসম্মুখে আনা যেত না অর্থাৎ মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ছিল না। এখন মত প্রকাশের স্বাধীনতা থাকলেও বর্তমান যুগে ছেলেমেয়েরা বই পড়ায় বা লেখায় আগ্রহী নয়। তাদেরকে বই পড়ায় আগ্রহী করে তুলতে সারাদেশে সরকারি-বেসরকারি গণগ্রন্থাগারে সংখ্যা বৃদ্ধি করা সহ তরুণ প্রজন্মকে বই পড়ায় উদ্বুদ্ধ করতে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

সভায় বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ও রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে তিতাস আবৃত্তি সংগঠনের পরিবেশনায় “বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ” শীর্ষক একটি দলীয় আবৃত্তি পরিবেশন করা হয়।

আপনার মন্তব্য লিখুন

আর্কাইভ

আরও পড়ুন