ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শীতে বাড়ছে শিশু রোগীর সংখ্যা।।
বার্তা সম্পাদক প্রকাশিত: ১২:৫৪ পূর্বাহ্ণ , ২৩ জানুয়ারি ২০২১, শনিবার , পোষ্ট করা হয়েছে 4 years আগে
মো.আজহার উদ্দিন, স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।।
মাঘের শুরু থেকেই তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে। শীতের এমন আচরণের সাথে সাথে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। সবচেয়ে বেশি ভুগছে শিশুরা।
হঠাৎ শীত বাড়ায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি জেনারেল হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে শিশু ও নবজাতক রোগীর সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে শিশু রোগীর চাপ বেড়েছে। হাসপাতালে শিশু রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার কারনে মেঝেতে দেওয়া হচ্ছে চিকিৎসা।
শিশু কনসালটেন্ট ডা. আখতার হোসেন জানান, শীতে আবহাওয়া শুষ্ক থাকায় বাতাসে জীবাণুর পরিমাণ বাড়ে। এ কারণে ভাইরাসজনিত রোগে শিশুরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। শীতের তীব্রতা বাড়তে থাকলে ঠাণ্ডাজনিত সমস্যাও বাড়বে। করোনার এ সময় বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। শিশুর দিকে খেয়াল রাখতে হবে এবং বাসায় সব সময় তাকে কাপড় দিয়ে জড়িয়ে রাখতে হবে। শিশু কোনো অবস্থায় যেন ভেজা না থাকে সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে। তাহলে ঠাণ্ডার সমস্যা থেকে তারা কিছুটা হলেও সুরক্ষা পাবে। শীত বাড়ায় রোটা ভাইরাসজনিত ডায়রিয়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। শীতে বাচ্চাদের বিশেষ যত্ন নিতে হবে। তাদের যাতে ঠাণ্ডা না লাগে সে দিকে অভিভাবকদের খেয়াল রাখতে হবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতাল খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শীতের প্রকোপ বাড়ার সাথে সাথে পাল্লা দিয়ে বিভিন্ন রোগও বেড়ে চলছে। অনেক বাবা-মা সর্দি, জ্বর, কাশি, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়াসহ শীতজনিত নানা রোগে আক্রান্ত শিশুদের নিয়ে হাসপাতালে আসছেন।
ইতিমধ্যে নতুন ২০জনসহ সর্বমোট ৬০জন শিশু শ্বাসকষ্ট ও ঠান্ডা জনিত সমস্যা নিয়ে শিশু বিভাগে ভর্তি রয়েছে।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. শওকত হোসেন বলেন, হাসপাতালে শিশু ও নবজাতক রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। শীতে কোল্ড ডায়রিয়া, নিউমোনিয়াসহ বিভিন্ন রোগ নিয়ে তারা হাসপাতালে আসছে। হাসপাতালের শিশু বিভাগে নির্ধারিত শয্যা কোনোটিই এখন খালি নেই। মেঝেতেও দিতে হচ্ছে চিকিৎসা। তবে হাসপাতালে পর্যাপ্ত পরিমানের ওষুধ সাপ্লাই আছে, শিশু ও নবজাতকের অভিভাবককে সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে চিকিৎসা করানোর জন্য অনুরোধ করেন।
উল্লেখ্য, কয়েকদিন যাবত শীতের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ার কারনে সরকারিসহ বেসরকারি হাসপাতাল গুলোতে শ্বাসকষ্ট ও ঠান্ডা জনিত সমস্যা নিয়ে শতাধিক শিশু ও নবজাতক ভর্তি হয়েছে। সরকারি হাসপাতালে ওষুধ সাপ্লাই থাকলেই আসন সংখ্যা সীমিত। হাসপাতালে অক্সিজেনের ঘাটতির কারনে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশুরা পর্যাপ্ত অক্সিজেন পাচ্ছে না।
আপনার মন্তব্য লিখুন