সরাইলেতে ভাপা পিঠা নিয়ে এলো শীতের আমেজ
বার্তা সম্পাদক প্রকাশিত: ৫:১৮ অপরাহ্ণ , ৯ ডিসেম্বর ২০২০, বুধবার , পোষ্ট করা হয়েছে 5 years আগে
মোঃ তাসলিম উদ্দিন সরাইল প্রতিনিধিঃ সরাইলে’র ঐতিহ্যবাহী অন্নদা’র মোড়ে ভাপা পিঠা খেতে এসে রফিক বন্ধু যে ভাবে বললেন, আমি সন্ধ্যায় বাসায় যাওয়ার সময় প্রায় ভাপা পিঠা খাই। কখনো কখনো পরিবারের জন্যও নিয়ে যাই। চল ভাপা পিঠা খেতে।
চলছে অগ্রহায়ন মাস। হালকা দক্ষিণের বাতাস। সকাল-সন্ধ্যায় হালকা কুয়াশা। যেন শীতের আগমনী বার্তা।ক্ষেতে খামারে রাশি রাশি ভারা ভারা সোনার ধান উঠতে থাকে।চারিদিকে কর্মব্যস্ততা। আজও মেঘনা- তিতাস থেকে শুরু করে বোয়ালিয়া তীরে তীরে যেসব সোনালী ফসল সোনা ছড়ায়।গ্রামে- হাওরে অঞ্চলে শুরু হয় পিঠার উৎসব।হালকা শীতের সকালে বা সন্ধায় যদি ভাপা পিঠা হয় তাহলে তো আর কোন কথায় নেই।প্রকৃতিতে শীত চলে এসেছে। শীতকাল মানে পিঠা খাওয়ার উৎসব। শীত এলে শহর, নগর ও গ্রামে পিঠা খাওয়ার ধুম পড়ে। শীতের পিঠা গ্রামীণ ঐতিহ্য। শীত মৌসুমে গ্রামীণ বধূরা রকমারী পিঠা তৈরি করেন। শীতের পিঠার মধ্যে ভাপা পিঠা একটি অন্যতম পিঠা। ভাপা পিঠা আবার হরেক রকম পদ্ধতিতে তৈরি করা হয়। কখনো মিষ্টি ভাপা, কখনো ঝাল ভাপা। শীত এলেই উপজেলায় ও গ্রামীণ হাটবাজারে নানা রকম পিঠা বিক্রি করা হয়। বিশেষ করে ভাপা পিঠা ও তেলের পিঠা । এসব পিঠার সমাদর সবখানেই সমানভাবে রয়েছে। শীত বাড়ার সাথে সাথে শহর ও গ্রামীণ হাট-বাজারে ফুটপাতে শীতের পিঠার ব্যবসা জমে উঠেছে।সরাইল উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় শীতে পিঠা ব্যবসায়ীদের পিঠা বিক্রির হিড়িক পরেছে। ভোর থেকে সকাল এবং বিকাল থেকে মধ্যে রাত পর্যন্ত মোড়ে -গ্রামীণ বাজার ও বিভিন্ন জায়গায় চলছে শীতের পিঠা বিক্রির ধুম। পাড়া’র অলিগলিতে রাস্তার আশপাশে পিঠাপুলির ভ্রাম্যমান দোকানও বসে।এসব দোকানে কিশোর থেকে শুরু করে বয়ষ্ক লোকেরা পিঠা তৈরি করে ক্রেতার কাছে বিক্রি করে।এ পিঠা বিক্রি করে সংসার চালায় তারা। তবে সন্ধ্যার পর থেকে ক্রেতার সমাগত বৃদ্ধি পায়। সবাই একসাথে মজা করে শীতের ভাপা পিঠার স্বাদ উপভোগ করে।সকল বয়সের একসাথে পিঠা খাওয়া দেখে মনে হতে পারে কোন উৎসব চলছে। পিঠা বিক্রেতা কায়ুম বলেন, প্রতি শীত মৌসুমে পিঠা বিক্রি করি। এসময় তার প্রতিদিন প্রায় ২ থেকে ৩ হাজার টাকার বিক্রি হয়। শীতের শুরুতে একটু ক্রেতা কম হলেও শীত যত বাড়বে ততই ক্রেতাও বাড়বে বলে জানান তিনি।ফরিদ নামের আর একজন বলেন,শীতে বাসায় ভাপা পিঠা বানানো হয়। তবে বাজারেও বন্ধু-বান্ধবদের সাথে খাওয়া হয়।
আপনার মন্তব্য লিখুন