১৪ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩০শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

EN

টাকার বিনিময়ে উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি হতে মরিয়া আদম ব্যবসায়ী মোর্শেদ কামাল

বার্তা সম্পাদক

প্রকাশিত: ১১:১৮ অপরাহ্ণ , ২ ডিসেম্বর ২০২০, বুধবার , পোষ্ট করা হয়েছে 5 years আগে

নিজস্ব প্রতিবেদক।। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর -বিজয়নগর) জেলার রাজনীতি ও উন্নয়নের গুরুত্বপূর্ণ একটি আসন।

কারন জেলার এই আসনটিকে ঘিরেই জেলার রাজনীতির কেন্দ্র নিয়ন্ত্রিত হয়। কিন্তু সেই জেলা শহরের আসনের রাজনীতিতে টাকা উড়াইলেই ঢাকা থেকেই মিলে উপজেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদপদবী।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর বিজয়নগর উপজেলার রাজনীতিতে ঢাকা থাকলেও টাকা দিলে উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ পদপদবী পাওয়া যায়। অভিযোগ উঠেছে বিজয়নগর উপজেলা ছাত্রদলের সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোর্শেদ কামালের বিরুদ্ধে। তিনি কয়েক বছর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। কিন্তু সেই দায়িত্ব টাকা দিয়ে কিনে পাওয়ার অভিযোগ নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষ। মোর্শেদ কামাল গত কমিটির সাধারণ সম্পাদক থাকাকালীন সময়ে তিনি উপজেলাতে না থেকে ঢাকা থেকে পদ ধরে রেখেছে বলে নেতাকর্মিদের অভিযোগ। মোর্শেদ কামাল ঢাকা থেকে “গুলবাল এডুকেশন কন্সোলটেন্সি” নামের বিদেশে লোক নেওয়ার এম্বাসি ও একটি সেলুনের মালিক বলে জানা যায়। তিনি তার সদ্য বিদায়ী কমিটিতে সেই সেলুনের দুই লোককেও কমিটিতে স্থান দেওয়ার অভিযোগ ছিল নেতাকর্মিদের। গত কমিটিত ঢাকাইয়া কমিটি হয়েছিল বলে ৪০জনের মধ্যে সেই কমিটির ২৫ জন নেতাকর্মি পদত্যাগ করেছিলো ও সেই কমিটি নিয়ে বাংলাদেশের শীর্ষ দৈনিক প্রথমআলো সহ বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকের শিরোনাম হতে হয়েছিল। তার পরে সিনিয়ন নেতাদের হস্তক্ষেপ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও তারা (সভাপতি জাবেদ আহাম্মেদ জয়, সাধারণ সম্পাদক মোর্শেদ কামাল) তাদের এই কমিটি সক্রিয়ভাবে কোন ভুমিকার রাখতে পারিনি। এমন কি উপজেলার সাধারণ মানুষের কাছে তারা পৌছাতে পারবে দুরের বিষয় তাদের কমিটিতে স্থান পাওয়া অনেক নেতাকর্মী সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সাথে বার বার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করতে পারিনি।এমনকি তাদের ফোন করলেও ফোন না উঠানোর অভিযোগ অসংখ্য। এবার এই মোর্শেদ কামালকে বিজয়নগরের উপজেলার সভাপতি বানানোর জন্য উঠেপড়ে লেগেছে জেলার কতিপয় নেতা ও ঢাকার কয়েকজন নেতারা। মোর্শেদ কামাল নাকি অনেক টাকা!দলে কর্মকান্ডে ও সিনিয়র অনেক নেতাদের ডোনেশন করে থাকে। তিনি টাকা দিয়ে গত কমিটিতে এসেছে এবারও কমিটিতে আসবে এমন কথা লোকেমুখে শুনা যাচ্ছে। যারা বিজয়নগরে থেকে মামলা হামলা সহ জেলজুলুম ও নিপীড়িত হয়েছে তারা যেন মোর্শেদ কামালের টাকার কাছে অসহায়।

পাহাড়পুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি পারভেজ ফকির ও উপজেলা ছাত্রদলের নেতা সাইফুল ইসলামসহ নাম প্রকাশ না করার শর্তে উপজেলার একাধিক নেতা বলেন, গতবারের ঢাকাইয়া কমিটি বিজয়নগর উপজেলা ছাত্রদলের ফাউন্ডেশন ধ্বংস করে দিয়ে গেছে।এবারো যদি টাকার বিনিময় এমন ঢাকাইয়া কমিটি গঠন করা হয় তাহলে দলের বিশাল ক্ষতি হবে। যা দলে সামানের দিনে দল ও জাতির ক্ষতির কারন হবে।

বিজয়নগর উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি পদপ্রার্থী মোহাম্মদ তৌফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া প্রতিবেদককে ফোনে জানান, মোর্শেদ কামাল গত কমিটির উপজেলা সাধারণ সম্পাদক ছিলেন কিন্তু সবসময়ই ঢাকা থেকেই উপজেলার রাজনীতিতে করেছেন এখনও যদি ঢাকা থেকেই উপজেলার সভাপতি হতে আসে তাহলে আমরা যারা এলাকায় থেকে রাজনীতি করেছি দলের জন্য কাজ করে পদপদবী চাচ্ছি সেটা যদি ঢাকা থেকেই মিলে যায় তাহলে এলাকায় কেন রাজনীতি করতে বলে কেন্দ্রীয় নেতারা। হাইব্রিড নেতাদের দিয়ে যদি পদপদবী দেয় তাহলে ত্যাগীদের কি হবে বলে ফোন কেটে দেন তিনি।

জেলা ছাত্রদলের সভাপতি শেখ হাফিজুল্লাহ বলেন, আমরা চাচ্ছি নতুন কমিটিতে এলাকায় অবস্থান করে, সক্রিয় দলিয় কর্মসূচীতে ভুমিকা রাখে এমন ছেলেদের মূল্যায়ন করতে।

আপনার মন্তব্য লিখুন

আর্কাইভ

December 2020
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28293031  
আরও পড়ুন