১৪ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩০শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

EN

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতাল মর্গে ৮মাসে ৩৬৮টি ময়নাতদন্ত

বার্তা সম্পাদক

প্রকাশিত: ১:০৫ পূর্বাহ্ণ , ২১ নভেম্বর ২০২০, শনিবার , পোষ্ট করা হয়েছে 5 years আগে

এএইচ রাফি যে কোনো দুর্ঘটনা, অপমৃত্যু বা হত্যাকাণ্ডের মামলায় ময়নাতদন্ত পোস্টমর্টেম) খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

ময়নাতদন্তের ফলে জানা যায়, ওই মরদেহের শরীরের প্রমাণ স্বরূপ আলামত। ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে রয়েছে জেলার একমাত্র মর্গ। জেলা পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশের উদ্ধার করা মরদেহ এই মর্গে ময়নাতদন্ত করা হয়। গত ৮ মাসে জেলার বৃহৎ এই হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্ত করা হয়েছে ৩৬৮টি মরদেহ।

এই তথ্য জানিয়েছেন ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গের ইনচার্জ ডোম আশরাফুল ইসলাম সুমন।

ডোম আশরাফুল ইসলাম জানান, গত ৮মাসে ৩৬৮টি মরদেহ আমরা এই মর্গে ময়নাতদন্ত করেছি। এরমধ্যে ফাঁসির মরদেহ ৭৫টি, অজ্ঞাত মরদেহ ৩৩টি, বিষপান করে আত্মহত্যা হত্যা ১৩০টি, সড়ক দুর্ঘটনা ও হত্যাকাণ্ডের মামলায় ১৩০টি মরদেহ ময়নাতদন্ত করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আগে আমিসহ আরও একজন ডোমের দায়িত্বে ছিলেন। কিন্তু অসুস্থ হওয়ায় আমার সাথের সহকর্মী চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন। দীর্ঘদিন যাবত আমাকে একাই করতে হচ্ছে মরদেহ গুলোর ময়নাতদন্ত।

২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্তের দায়িত্বে রয়েছেন ৩জন চিকিৎসক। তারা হলেন, আবাসিক চিকিৎসক রানা নূরুস সামস, ফাইজুর রহমান ফয়েজ ও সোলাইমান মিয়া।

ময়নাতদন্তের দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক ফাইজুর রহমান ফায়েজ জানান, হাসপাতালের রোস্টার অনুযায়ী আমরা তিনজন চিকিৎসক ময়নাতদন্ত করি। যদি জটিল কোন কেইস আসে তাহলে আমরা বোর্ড গঠন করে ময়নাতদন্ত করে থাকি।

ফাইজুর রহমান বলেন, একেক ময়দেহ ময়নাতদন্তের জন্য আমরা ভিন্ন ভিন্ন নমুনা সংগ্রহ করে থাকি। যেমন বিষপান করার কেইস হলে আমরা পাকস্থলীর নমুনা সংগ্রহ করি। ফাঁসির কেইস বা অন্যান্য কেইস হলে আলাদা আলাদা নমুনা সংগ্রহ করতে হয়। অনেক ক্ষেত্রে মরদেহের কাপড়ও সংগ্রহ করতে হয়।

আপনার মন্তব্য লিখুন

আর্কাইভ

November 2020
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30  
আরও পড়ুন