১৫ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩১শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

EN

ফলোআপ-! পলাশবাড়ীর সেই আওয়ামীলীগ নেতা আজাদুল স্বপদে এখনো বহাল ভুক্তভোগীরা নানা ভোগান্তিতে”

বার্তা সম্পাদক

প্রকাশিত: ১০:৪৮ পূর্বাহ্ণ , ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০, সোমবার , পোষ্ট করা হয়েছে 5 years আগে

আশরাফল ইসলাম গাইবান্ধা/ করোনায় গোটা বিশ্বের ন্যায় যখন মহাপ্রলয় মোকাবেলা করছে আমার বাংলাদেশ ঠিক সেই সময় এই মহাপ্রলয়েও ভয় নেই লুটেরাদের । করোনার এই সময়কালে যখন দেশের জনগণকে নানা ভাবে সহায়তা দিচ্ছে বর্তমান সরকার। আর ঠিক সেই সময়ে এই সুবিধা গুলো পাচ্ছে যারা তাদের বেশীর ভাগ বিশেষ রাজনৈতিক ব্যক্তিদের সুপারিশকৃত সুবিধাভোগী। এসব সুবিধাভোগ করতে চাইলে সুপারিশকারিকে মিষ্টি খাওয়াতে হয় যে মিষ্টির দাম তিন হাজার টাকা। বেকার ভাতা পেতে ত্রিশ হাজার টাকা সরকারি কোষাগারে আর তিন হাজার হতে ৭ হাজার টাকা মিষ্টির খাওয়াতে।

এরকমই একটি ঘটনা গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ীতে উপজেলা প্রশাসনের নাম ভাঙ্গিয়ে সরকারিভাবে বেকারভাতার সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার নামে বেকার যুবক যুবতি দের নিকট হতে ২৫ হতে ৩০ হাজার করে টাকা নিয়েছে। স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি উপজেলা যুবলীগের বহিস্কৃত সভাপতি ও বর্তমান দায়িত্বপ্রাপ্ত উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আজাদুল ইসলাম। যিনি ঢোলভাঙ্গা স্কুল এন্ড কলেজের লাইব্রেরিয়ান, এছাড়াও তিনি দূর্গাপুর জালাগাড়ী মাদ্রাসার সভাপতি ও মের্সাস আজাদ টেড্রাসের মালিক যেটির গাড়ী ও স্টক ব্যবসায়ি হিসাবে তিনি পরিচিত। এছাড়াও তিনি উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার এক যুগের বেশী সময় ধরে সাধারণ সম্পাদক হিসাবে রয়েছেন।

উপজেলা প্রশাসনের নাম করে সরকারিভাবে বেকার ভাতা দেওয়ার নামে আজাদুল ইসলাম কতৃক টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অনেক তথ্য প্রমাণ সাক্ষ্য থাকার পরেও এবং এসব অভিযোগ উঠার পর প্রাথমিক সত্যতা পেয়ে যুবলীগ চেয়ারম্যানের নির্দেশে সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত দলীয় পত্রে অভিযুক্ত আজাদুল ইসলাম কে সংগঠন বর্হিভূত কর্মকান্ডের দায়ে বহিষ্কার করা হলেও। এরপরেও আজ অভিযুক্ত আজাদুল ইসলামের বিরুদ্ধে বা অভিযোগ উত্থাপনকারিদের বিরুদ্ধে কোন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করতে দেখা যায়নি। শুধু তদন্তের বানী প্রচারের মধ্যেই আজও তা সীমাবদ্ধ। এবং অভিযোগের ও সাক্ষী ঝুড়ি ভরা থাকলেও এ পর্যন্ত আওয়ামীলীগ থেকে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়নি।

লিখিত মৌখিক অভিযোগ স্থানীয় থানা,জেলা প্রশাসন,জেলা পুলিশ সুপার,জেলা আওয়ামীলীগ,দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর প্রয়োজনীয় হস্তক্ষেপ কামনা করে আবেদন জানানোর পরেও এখনো কোন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন না করায় এমন পরিস্থিতে ভুক্তভোগী অভিযোগকারীরা ব্যাপক হতাশায় ভুগছেন। এতোকিছুর পরেও বরং তাদের কেই নানা ভাবে হয়রানি করাসহ হুমকি ধামকি দিয়ে যাচ্ছেন অর্থে বিনিময়ে সংবাদ সম্মেলনের নাটক ও মানববন্ধন করেই ক্ষান্ত হননি বিষয়টি ধামাচাপা দিতে নানা ভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। অর্থ হাতিয়ে নেওয়া পর বিশ্বাস স্থাপন করতে ৪৮ লাখ টাকা দেওয়ার আশ্বাসে ত্রিশ লাখ টাকার নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের একাউন্টের প্রদানকৃত চেক ডিজঅনার করতে নানা ভাবে হয়রানী করছেন অভিযুক্ত আজাদুল ইসলাম ও সোনালী ব্যাংক পলাশবাড়ী শাখার ম্যানেজার ।
এমন পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের মধ্যে নানা ধরণের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। ভুক্তভোগীদের পাশাপাশি সচেতন মানুষ,দলীয় নেতাকর্মী সকলেই হতাশ এতো প্রমাণ থাকার পরে কোন খুটির শক্তি জোড়ে অন্যায় ও দলীয় পদ পদবিকে পুঁজি করে এখনোও দিব্বি চলা ফেরা ও স্বপদে বহাল রয়েছে অভিযুক্ত প্রতারক আজাদুল ইসলাম।

উল্লেখ,করোনার এই সময়কাল কে ও দলীয় পদকে পুঁজি করে পলাশবাড়ীতে উপজেলা প্রশাসনের নাম ব্যবহার করে সরকারি ভাবে ১ লাখ ৬০ হাজার করে টাকা বেকার ভাতা পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে প্রতিজন প্রতি জামানত ও খরচ বাবদ ২৫ হতে ৩০ হাজার করে টাকা । উপজেলার কয়েকশত যুবক যুবতিদের নিকট হতে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনা স্থানীয় লোকমুখে অভিযোগ উঠার পরে অবশেষে ত্রিশজন ভুক্তভোগী নিজেদের দেওয়া ও প্রাপ্য টাকা ফেরতের দাবি জানিয়ে ৪৮ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া অভিযোগ তুলে থানায় স্ব শরীরে উপস্থিত হয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এছাড়াও এ বিষয়টি নিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,দুর্নীতি দমন কমিশন, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সম্পাদক ,জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ সুপার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনে আবেদন করা হয়েছে ভুক্তভোগী ত্রিশ বেকার যুবক যুবতির পক্ষ থেকে। ভুক্তভোগীদের কাছে আজাদুল ইসলামের দেওয়া ৩০ লাখ টাকার চেক থাকলেও নানা অসহযোগিতার কারণে ডিজঅনার করতে পারছেনা।অন্যদিকে এতো অভিযোগের সত্যতা থাকার পরেও কোন ব্যবস্থা গ্রহন না করায় দারুনভাবে হতাশ হয়ে পড়েছেন ভুক্তভোগীরা।

আপনার মন্তব্য লিখুন

আর্কাইভ

September 2020
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  
আরও পড়ুন