১৪ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩০শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

EN

বর্ষণ ও আমবস্যায় জোয়ারের পানিতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিতঃ

বার্তা সম্পাদক

প্রকাশিত: ৯:৫৭ অপরাহ্ণ , ১৯ আগস্ট ২০২০, বুধবার , পোষ্ট করা হয়েছে 5 years আগে

আল আমিন,রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি, বৈরী আবহাওয়ায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি ও আমবস্যার জোয়ারের পানি তোরে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। তিন দিকে নদী ও একদিকে সাগর বেষ্টিত এ উপজেলা থেকে নৌ-পথে জেলা শহরে যাতায়াতের প্রধান স্পীড বোড ঘাট সড়কটি ডুবে যানবাহন ও মানুষ চলাচলে চরম ভোগান্তিতে যাত্রীসহ সাধারণ মানুষ।
সরেজমিনে দেখা যায়, গত কয়েকদিন টানা বৃষ্টিপাত ও অমাবস্যার কারণে জোয়ারের পানি আগুনমুখা’য় স্বাভাবিকের তুলনায় ২.৫-৩ মিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। যার ফলে উপকূলীয় অঞ্চল চর-ইমারশন,চর-নজির চর-আন্ডা প্লাবিত হয়।
চর-ইমারশন গ্রামের রফিক প্যাদা বলেন, ভারী বর্ষণ ও জোয়ারের পানিতে আগুনমুখা নদী সংলগ্ন চর গুলো তলীয়ে(ডুবে)গেছে।বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়ী বাঁধের বাহিরে বসবাসরত মানুষ নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিয়েছে।
চর-নজির গ্রামের মোসলেম উদ্দিন বলেন, এখানে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়ীবাঁধ না থাকায় জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের তুলনায় বৃদ্ধি পেলে আমরা ডুবে যাই।মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)কাছে এর প্রতিকার চাই ।
চর-আন্ডা গ্রামের রশিদ মিয়া বলেন, এখানে সাইক্লোন শেল্টার নেই। বেড়ীবাঁধ থাকলেও স্থানীয় প্রভাবশালীরা দখল করে তাদের মৎস্য ঘেরে পানি উঠা নামার সুবিধার্থে কালভার্ট নির্মাণ করে ব্যবহার করছে। বন্যার আশংকা হলে আমাদের জীবন বাজি রেখে জীবন যুদ্ধ করে বেচেঁ থাকতে হয়।

কলাপাড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মনিরুল ইসলাম বলেন, টানা বর্ষণ ও আমবস্যায় স্বাভাবিকের চেয়ে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেয়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। তবে কোনো বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে পানি প্রবেশ করেনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন

আর্কাইভ

আরও পড়ুন