১৪ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩০শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

EN

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাস্ক না পড়ায় ২ যুবককে মারধরের অভিযোগ!!

বার্তা সম্পাদক

প্রকাশিত: ১০:৪৮ অপরাহ্ণ , ১৩ আগস্ট ২০২০, বৃহস্পতিবার , পোষ্ট করা হয়েছে 5 years আগে

ডেস্ক রিপোর্টঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাস্ক না পরায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিরুদ্ধে দুই যুবককে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার দুপুরে শহরের পৌর আধুনিক সুপার মার্কেটের সামনে এঘটনা ঘটে। ঘটনার পরপর প্রেসক্লাবে এসে অভিযোগ করেন ওই দুই যুবক। এসময় তাদের একজন ব্যাথায় কাঁদছিলেন। তবে মারধোরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কিশোর কুমার।

চিনাইর গ্রাম থেকে শহরে আসেন রাব্বী। তার মাস্ক পরা ছিলো না। এজন্যে পৌর আধুনিক সুপার মার্কেটের সামনে ভ্রাম্যমাণ আদালত তাকে দাঁড় করিয়ে ৫শ’ টাকা জরিমানা করেন। রাব্বী জানায়, সঙ্গে জরিমানার টাকা না থাকায় বিকাশে টাকা এনে দেবে বলে ভ্রাম্যমাণ আদালতকে জানায় সে। কিন্তু টাকা দিতে দেরী করায় ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে পুলিশ তাকে ভেতরে নিয়ে পেটাতে শুরু করে। এরপর সে মায়ের ঔষধ কেনার জন্যে আনা টাকা পকেট থেকে বের করে দেয়। ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ তখন তাকে বলে, এখন এক লাখ টাকা জরিমানা দিলেও কাজ হবে না। ৭ দিনের জেল দেওয়া হবে তাকে। তার দাবি, পুলিশের লাঠির আঘাতে তার বা হাত ভেঙে গেছে।

 ঘটনার বর্ণনা দেওয়ার সময় ব্যাথায় কাঁদতে থাকেন রাব্বী। একই সময়ে শহরের ভাদুঘর এলাকা থেকে আসা রতন ও তার ভাই জাকির মুখোমুখি হন ওই ভ্রাম্যমাণ আদালতের। রতনের মাস্ক ছিলো না। এজন্যে তাদের দাঁড় করানো হয়। জাকির জানান, তিনি জরিমানার টাকার রশিদ চাওয়ায় তার ওপর ক্ষিপ্ত হন ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ। সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ এনে মারধর শুরু করে তাকে।

তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কিশোর কুমার। তিনি বলেন, নরমালি সবাইকে জরিমানা করা হয়েছে। সবাই জরিমানা দিয়েছেন। শুধু একটাই ব্যতিক্রম ছিলো। একটা লোক টাকা থাকা সত্বেও জরিমানা দিতে চাচ্ছিল না। একাধিকবার তাকে টাকা দিতে বলা হয়। এরপর জেলের ভয় দেখিয়ে তাকে কিছুক্ষণ গাড়িতে রাখা হয়। পরে বিকাশে জরিমানার টাকা এনে দিয়ে চলে যায় সে। কাউকে মারধরের প্রশ্নই উঠে না। পৌর মার্কেটের সামনের মতো একটি জায়গায় তা সম্ভবও নয়।

ভারপ্রাপ্ত অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. রুহুল আমিন বলেন, আমার জানা মতে এমন ধরনের ঘটনা ঘটেনি।
আজকালের খবর/এসএম

আপনার মন্তব্য লিখুন

আর্কাইভ

আরও পড়ুন