আশুগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ!!
বার্তা সম্পাদক প্রকাশিত: ৭:৪৪ অপরাহ্ণ , ২৮ জুন ২০২০, রবিবার , পোষ্ট করা হয়েছে 5 years আগে
আবুল হাসনাত মো. রাফিঃব্রা হ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান হানিফ মুন্সির বিরুদ্ধে অবৈধ ভাবে রেলওয়ের জায়গা থেকে বালু নিয়ে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় রেলপথ মন্ত্রণালয়ের একটি অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে ক্ষমতার দম্ভ ও অনৈতিক কার্যকলাপের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ করা হয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে।
পৃথক দুইটি অভিযোগ দায়ের করেছেন আব্দুল জব্বার নামের আশুগঞ্জ উপজেলার এক ব্যক্তি।
গত ২২জুন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান হানিফ মুন্সির অত্যাচার বাঁচার আকুতি জানিয়ে একটি অভিযোগ দিয়েছেন সচেতন নাগরিকদের পক্ষে আব্দুল জব্বার নামের এক ব্যক্তি। এতে তিনি অভিযোগ করেন, উপজেলা চেয়ারম্যান হানিফ মুন্সি ৫টি খুনের মামলার আসামী ও তার বিরুদ্ধে বেনামে রয়েছে একাধিক মামলা। উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার থানা ও উপজেলা প্রশাসনে রয়েছে তার একচ্ছত্র আধিপত্য। তার বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য আইনের আওতায় আনার দাবী জানানো হয়৷
এছাড়াও রেলপথ মন্ত্রণালয়ের আরও একটি অভিযোগে বলা হয়েছে, গত প্রায় তিন বছর আগে আশুগঞ্জ সাইলো সংলগ্ন নতুন রেল ব্রীজের নিচে মেঘনা নদী খননের মাধ্যমে পানি উন্নয়ন বোর্ড রেলওয়ের অধিগ্রহণকৃত জায়গায় প্রায় ১০কোটি টাকার বালু ডাম্পিং করে। পরবর্তীতে রেলওয়ে এক দরপত্রের মাধ্যমে এই বালু বিক্রির ইজারা আহবান করে। পরক্ষণেই হাইকোর্টের নির্দেশে এই বালু বিক্রি প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু এই বালু উপজেলা চেয়ারম্যান হানিফ মুন্সি ভুয়া টেন্ডার তৈরি করে এই বালু বিক্রি করে দিচ্ছেন। চেয়ারম্যানের ছেলে জনি মুন্সি ও রনি মুন্সি মেসার্স মিজান ইন্সট্রাকশন নামে এই বালু বিক্রি করছেন। ফলে রেলওয়ে বিভাগ বিশাল অংকের টাকা হারাতে যাচ্ছে।
দুইটি অভিযোগ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীগণ ছাড়াও এর অনুলিপি প্রধানমন্ত্রীর দফতর, পুলিশ সদর দফতর, র্যাব হেডকোয়ার্টার, দূর্ণীতি দমন কমিশন ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসনকে দেওয়া হয়েছে।
এবিষয়ে আশুগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান হানিফ মুন্সি বলেন, যে অভিযোগ করেছেন, তা সম্পূর্ণ বেনামে ও ভিত্তিহীন। কারণ যিনি অভিযোগ দিয়েছেন তাকে ফোন দিয়েছি কিন্তু রিসিভ করেননি,এমনকি তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। এই বালির ব্যবসার ইজারার সর্বোচ্চ দরদাতা আমি। এই বিষয়ে উচ্চ আদালতে আমি গিয়েছিলাম, আদালতের আদেশে আমি তা পেয়েছি। আদালতের আদেশের কপি ইতিমধ্যে আমি রেলপথ মন্ত্রণালয়ে দাখিল করেছি।
তিনি বলেন, চলমান বালুর ব্যবসার সাথে আমি জড়িত নয়। এখন কারা বালুর ব্যবসা করছে রেল বিভাগের লোকজন সরেজজমিনে দেখে গেছেন। পাশাপাশি এই বিষয়ে আশুগঞ্জ থানায় একটি সুনির্দিষ্টভাবে অভিযোগ দাখিল করেছেন রেল মন্ত্রণালয়। তদন্তে আসল ঘটনা বের হয়ে আসবে।
তবে এই বিষয়ে রেলপথ মন্ত্রণালয় থেকে কোন প্রকার অভিযোগ পাননি বলে জানিয়েছেন আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাবেদ মাহমুদ। তিনি বলেন, আমি এই বিষয়টি শুধু ফেসবুকে দেখেছি।
আপনার মন্তব্য লিখুন