২১শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

EN

আতাউল্লাহসহ ৫ নেতার বিরুদ্ধে এনসিপি নেত্রীর আদালতে মামলা

বার্তা সম্পাদক

প্রকাশিত: ৩:০৭ অপরাহ্ণ , ৫ ডিসেম্বর ২০২৫, শুক্রবার , পোষ্ট করা হয়েছে 2 weeks আগে

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এনসিপির নেতা মোহাম্মদ আতাউল্লাহসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে দলের এক নারী সদস্যকে মারধরের অভিযোগে আদালতে মামলা হয়েছে। আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য সদর মডেল থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।

জাতীয় নাগরিক পার্টির দক্ষিণাঞ্চলের যুগ্ম মুখ্য সংগঠক মোহাম্মদ আতাউল্লাহ (৩৪) ছাড়াও মামলায় এনসিপির বিজয়নগরের প্রধান সমন্বয়কারী ও জেলার এক নম্বর সদস্য আমিনুল হক চৌধুরী (৫০), আখাউড়ার প্রধান সমন্বয়কারী ইয়াকুব আলী (৪২), সদস্য সাকিব মিয়া (২৫) ও রতন মিয়াকে (৪২) আসামী করা হয়েছে।

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার সদস্য ও জেলা শহরের উত্তর মৌড়াইল পুকুরপাড়ের বাসিন্দা বিপাশা আক্তার গত মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (দ্রুত বিচার) আদালতে এই মামলা দায়ের করেন। তিনি আড়াই মাসের অন্তঃসত্ত্বা।

মামলার আরজি সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ১ মাস আগে বিপাশার সঙ্গে এনসিপি নেতা স্বামীসহ অন্যান্যরা এনসিপির ঢাকা কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যান। সেখানে তারা এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসির উদ্দিন পাটোয়ারীর সঙ্গে ছবি তুলেন। বিশাশার স্বামী কেফায়েত উল্লাহ ছবিটি আখাউড়া এনসিপি গ্রুপকে পাঠায়। এনসিপি নেতাদের বাদ দিয়ে নাসির উদ্দিন পাটোয়ারীর সঙ্গে ছবি তোলায় তারা ক্ষিপ্ত হন। এনসিপির আখাউড়ার সদস্য সাকিব বাদী সম্পর্কে কুরুচিপূর্ন বক্তব্য লিখে প্রকাশ করে। বিপাশা বিষয়টি নিয়ে এনসিপির নেতা মো. আতাউল্লাসহ অন্যান্যদেরকে জানিয়ে বিচার প্রার্থী হন। কিন্তু আতাউল্লাহ’র নির্দেশে অন্যান্য আসামীরা বিপাশাকে আরো অপমান-অপদস্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়ে সুযোগ খুঁজতে থাকেন। গত ২৯ নভেম্বর বাদী, এনসিপির নেতাসহ স্বাক্ষীরা শহরের পৈরতলা বাসস্ট্যান্ড এলাকার এনসিপির জেলার দলীয় কার্যালয়ে যান। বিপাশা বিষয়টি নিয়ে এনসিপির নেতা আমিনুল হকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। এতে এনসিপির অন্যান্য নেতারা বিপাশা ও তার স্বামীর প্রতি ক্ষিপ্ত হন। সেসময় এনসিপির অন্যান্য নেতারা বিপাশাকে চরথাপ্পর মারেন। এনসিপির নেতা ইয়াকুব অন্তঃসত্ত্বা বিপাশার পেটে লাথি মারেন এবং গলা থেকে এক ভরি দুই আনা ওজনের একটি স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেন। এনসিপির নেতারা বিপাশা ও তার স্বামীকে প্রাণনাশেরও হুমকি দেন।
ইয়াকুব আলী বলেন, দলীয় কার্যালয়ে ভাড়া করা সন্ত্রাসী এনে আমাকে মারধর করা হয়েছে। পরে পুলিশ গিয়ে আমাকে উদ্ধার করেছে। অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। আর ঘটনাস্থলে আতাউল্লাহ ভাই উপস্থিত ছিলেন না।

এনসিপির নেতা মোহাম্মদ আতাউল্লাহ বলেন, আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করতেই এমনটি হচ্ছে। অভিযোগ সত্য না।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আজহারুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি শুনেছি। তবে নথি এখন পর্যন্ত থানায় পৌঁছাইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন

আর্কাইভ

December 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031  
আরও পড়ুন