বাঁশ ঝাড়ের ৬০ ফুট উচ্চতায় নারীকে নিয়ে ধূম্রজাল। দুই ঘন্টার চেষ্টায় উদ্ধার করল ফায়ার সার্ভিস
বার্তা সম্পাদক প্রকাশিত: ৬:৫৭ অপরাহ্ণ , ১১ জানুয়ারি ২০২৫, শনিবার , পোষ্ট করা হয়েছে 6 months আগে
হালুয়াঘাট (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি : ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে বাঁশ ঝাড়ের ৬০ ফুট উচ্চতা থেকে নার্গিস আক্তার নামে ২৫ বৎসর বয়সীএক নারীকে উদ্ধার করল ফায়ার সার্ভিস। এ ঘটনায় এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে ব্যাপক চাঞ্চল্যের। শনিবার দুপুরে লিখিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে হালুয়াঘাট ফায়ার স্টেশনের ফায়ার ফায়টার হারুন অর রশিদ জানান, শুক্রবার সকাল বেলায় উপজেলার বিলডোরা গ্রামের একটি বাঁশ ঝাড়ের ৬০ ফুট উপরে ঐ নারীকে রহস্যজনক অবস্থায় দেখতে পায় তার স্বজনরা। এমন খবর পেয়ে দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে তারা ঐ নারীকে উদ্ধার করতে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। গিয়ে দেখতে পান, দুটি চিকন বাঁশের মাঝে দুই পা রেখে অদ্ভুতভাবে দুলতেছিল ঐ নারী। আর অদ্ভুত ধরনের আচরণ করতেছিল। পরে স্থানীয়দের সহযোগীতা নিয়ে দুই ঘন্টার চেষ্টা চালিয়ে বাঁশের উপর থেকে নারীকে উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।
এদিকে কিভাবে এত উপরে এই নারী, তা নিয়ে তার স্বজন ও এলাকার মানুষের সাথে কথা বললে তারা জানান, সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠে নার্গিস আক্তারকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিলনা। এক পর্যায়ে তার সন্ধান মিলে বাঁশ ঝাড়ের উপরে। এ ঘটনা মুহুর্তের মাঝেই ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। ক্রমান্বয়ে উৎসুক জনতা এসে ভিড় করতে থাকে। একে অপরের মাঝে
ব্যাপক আলোচনা আর সমালোচনা তৈরি হতে থাকে। এক পর্যায়ে ঐ নারীর স্বজনরা বাঁশ ঝাড়ের উপর থেকে নিচে নামাতে ব্যার্থ হলে স্থানীয় ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়। খবর পেয়ে দুপুরে হালুয়াঘাট ফায়ার সার্ভিসের টিম লিডার কামরুজ্জামানের নেতৃত্বে ফায়ার ফাইটার হারুন অর রশিদ সঙ্গীয় সদস্য দিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে দুই ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে ঐ নারীকে নিচে নামাতে সক্ষম হয়।
বিলডোরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো: সাবজাল হোসেন খান বলেন, এই নারীর দ্বারা নিজে নিজে এত উপরে উঠা আদৌ সম্ভব নয়। এটা কেমনে সম্ভব তার সঠিক ব্যাক্ষা করাও কঠিন। জ্বিনের আছর করেছে এমন মন্তব্য আত্বীয় স্বজন ও তার স্বজনদের। মানসিক ভারসাম্যহীন কিনা তাও অস্বীকার করেন নার্গীস আক্তারের স্বামী শেখ ফরিদ।
এদিকে কি কারনে এ ঘটনা ঘটেছে তার রহস্য উন্মোচন করতে পারেনি ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরাও। উদ্ধার অভিযান চালানো হারুন অর রশিদ জানান, তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মেয়েকে বাঁশ ঝাড়ের ৬০ ফুট উচ্চতায় দুলতে দেখতে পান। তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে চিল্লাচিল্লি শুরু করে দেন। এক পর্যায়ে আযান দিলে ঐ নারী বাঁশের উপরেই ঘুমিয়ে পড়েন। পুনরায় জাগ্রত হলে তাকে নিচে নামতে অনুরোধ করেন। তাতেও ব্যার্থ হলে ফায়ার ফাইটার হারুন অর রশিদ ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের উপরে উঠে দড়ি দিয়ে বেঁধে অনেক কষ্টে নিচে নামান। এ সময় নিজেও ঐ নারীর দ্বারা আহত হন বলে জানান। তবে কি কারনে ঐ নারী বাঁশ ঝাড়ের উপরে এমন প্রশ্নে সদুত্তর দিতে পারেনি ফায়ার টিমের কেউ। # ##
আপনার মন্তব্য লিখুন