১৪ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩০শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

EN

কলা ছড়িকে বিজয়ী করার ঘোষণা দিলেন চার ইউপি আওয়ামী লীগের নেতারা

বার্তা সম্পাদক

প্রকাশিত: ১০:২২ অপরাহ্ণ , ২ জানুয়ারি ২০২৪, মঙ্গলবার , পোষ্ট করা হয়েছে 2 years আগে

মো. তাসলিম উদ্দিন সরাইল(ব্রাহ্মণবাড়িয়া)ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ সরাইল- আশুগঞ্জ আসনে সরাইল উপজেলার চার ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের নেতারা। দলের মনোনয়ন বঞ্চিত স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মঈন উদ্দিন মঈনের ( কলার ছড়ি প্রতীক)সমর্থন দেওয়ার ঘোষণা দেন। সরাইল ও আশুগঞ্জ উপজেলা নিয়ে গঠিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসন। স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক  মঈন উদ্দিন মঈন।
সোমবার (১ জানুয়ারি ) রাত ৭টায় সরাইল উপজেলার বিশ্বরোড় লাল শালুক হোটেলের হল রোমে এক সংবাদ সম্মেলন করে এসব কথা বলেন নেতারা। সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা আওয়ামীলীগ কমিটির সাবেক আহবায়ক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা এড. আবদুর রাশেদ এর সঞ্চালনায় ৪টি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং দলের অঙ্গসংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা এ সময় অপপ্রচারের নিন্দা প্রকাশ করে ও নানা অভিযোগ করেন। তাই তাঁরা এককাট্টা হয়ে মাঠে সরব থাকবেন এবং ভোটের মাধ্যমে মঈন উদ্দিনের কলা ছড়ি প্রতীকে জয় যুক্ত করবেন।
অরুয়াইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আবু তালেব মিয়া, একটি দৈনিক পত্রিকায় যে খবরটি প্রকাশ হয়েছে তা একেবারেই ভিত্তিহীন দাবী করে তিনি বলেন, আমি কেন্দ্রে খবর নিয়েছি। আপনারা দেখেছেন আমাদের নেত্রীর সিদ্ধান্তে কি আছে। দলের সাধারণ সম্পাদক প্রতিদিন বলতেছেন। এ বছর নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও যার যার ভোট সে দিবে। সরাইলে যারা মিথ্যা প্রচার করতেছে তাদেরকে আমি নিন্দা জানাই। তিনি বলেন, তারা চার পাঁচটা লোক এলাকার কথা চিন্তা না করে। নিজস্ব ব্যক্তির স্বার্থে এসব মিথ্যা কথা প্রচার করে যাচ্ছে। এসব কথা যারা বলছে একেবারেই মিথ্যা। আমাদের ইউনিয়নে ইনশাআল্লাহ ৮০% ভোট কলার ছড়ি মার্কা দিব।
পাকশিমুল ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, সম্মেলনে আমাদেরকে প্রশ্ন করা হয়েছিল। আমরা সাফ
জানিয়ে দিয়েছি কিছু লোক কলার ছড়িতে, কিছু পাটের আশঁ, আর কিছু ঈগলে এভাবে বিভক্ত হয়ে রয়েছে ।আমাদের হাতে আর লোক নাই। আমরা কলার ছড়ি করতেছি। তারা প্রশ্ন করছে অন্যান্য কোন সিদ্ধান্ত আছেনি। আমরা বলছি কোন নির্দেশনা নাই এবার ফেয়ার নির্বাচন হবে। তবে জনগণকে কিভাবে ভোটকেন্দ্রে আনা যায় এ নির্দেশনা আছে। এ সময় তিনি আরও বলেন, ফ্রি ভাবে যে যার নির্বাচন করবে এ কথাটারে বিভিন্ন ভাবে ছড়ানো হচ্ছে । সাইফুল ইসলাম এ কথাটার নিন্দা জানিয়ে বলেন, ১৮ সালে মইনুদ্দিন ভাইকে বিপুল ভোটে জয়যুক্ত করেছিলাম। এবার ও ৮০% ভোট পেয়ে কলার ছড়ি জয়যুক্ত হবে।
চুন্টা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাবিবুর রহমান একটি দৈনিক পত্রিকার নাম উল্লেখ করে বলেন, সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সকল নেতা কর্মীরা ঈগল পাখির পক্ষে নির্বাচন করবে এমন একটি খবর প্রকাশ করে। এ বিষয়টা সম্পূর্ণ রূপে ভূয়া। বিশেষ করে আমাদের নেতা কর্মীরা অনেকেই মইনুদ্দিন ভাইয়ের কলার ছড়ির কথা বলতেছে। ব্যক্তিগত ভাবে আমিও আমার ইউনিয়নের লোকজন কলার ছড়ি মার্কার পক্ষে কাজ করতেছি। ৭ তারিখ নির্বাচনে আমার ইউনিয়নেও কলার ছড়ি ৮০% ভোট পাবে এ বিশ্বাস রেখে শেখ হাবিবুর রহমান আবার বলেন, কাজেই ৩০ তারিখ পত্রিকায় যে খবরটি আসছে এটা সঠিক নয়। পানিশ্বর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আমজাদ হোসেন বলেন, আমরা আশা করেছিলাম দ্বাদশ নির্বাচনে এখানে নৌকা মার্কা দেবে আর তাই দিয়েছিল। আমরা অনেকটাই উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে নির্বাচনটা পরিচালনা করেছিলাম। পাশাপাশি আজকে কলার ছড়ির প্রার্থী মইনুদ্দিন ভাই । যার প্রচার- প্রচারণাই আমরা আছি। তিনিও কিন্তু প্রার্থী হয়েছিল। তিনি ব্যক্তি গতভাবে আমাকে ফোন করেছিলেন। তিনি আমাকে বলেছিলেন আমজাদ তোমার সাথে আমার অনেক দিনের রাজনৈতিক সম্পর্ক। আমি বলবনা নৌকা রাইখা তুমি আমার পক্ষে কাজ করো। নৌকা থাকলে তোমরা নৌকার কাজ করবা, আর যদি নৌকা কোন কারনে না থাকে তোমার প্রতি আমার দাবি আছে। আমজাদ হোসেন বলেন, আমি কিন্তু সেই দিন মইনুদ্দিন ভাইয়ের কাছে ওয়াদা বদ্ধ হয়ে ছিলাম। আর বলেছিলাম নৌকা না থাকলে সরাইল ও আশুগঞ্জ আপনার মত কাছের নেতা আমার আর নাই। আমি আপনার হবো।ইনশাআল্লাহ। আমজাদ হোসেন আরও বলেন, দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য ১৭ তারিখ নৌকাটা উঠাইয়া নিছে। আমরা অত্যন্ত ব্যতীত হইছি হৃদয়ের রক্তক্ষরণ হইছে। ৫০ বছর পরে নৌকার এমপি পাইছিলাম।আবারো আমরা অন্ধকারে চলে গেলাম। তবে একটা আশায় ছিলাম মঈন ভাই তো আছে। আমজাদ হোসেন বলেন, মা মারা গেলে খালাম্মার কাছে সন্তানটা যে নিরাপদে থাকে। এ চেয়ে বেশি কেউ নিরাপদে রাখতে পারে না। আমরা মনে করি আওয়ামী লীগ নৌকা আমাদের মা। মার যখন অপমৃত্যু হইছে খালাম্মা (মুই) আমাদেরকে কোলে নিচে। আমরা মুইয়ের( খালাম্মার) কোলে উঠেগেছি। আগামী ৭ তারিখে বিজয়ের মালা পরিয়ে। জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে উপহার দেব। আমজাদ হোসেন বলেন, আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ আছি।সবাইকে নিয়ে মইনুদ্দিন ভাইকে বিজয়ী করার জন্য কাজ করে যাচ্ছি। কথা পরিষ্কার কি হইছে না হইছে এগুলা আমি বলতে চাই না। একজন বলবেন, সিগন্যাল আরেকজন বলবেন
সিগন্যাল ফিউজ। ৭ তারিখ নির্বাচনের পরে আমরা এক জায়গায় বসবো। আসেন ৭ তারিখ নির্বাচনে প্রস্তুতি নেই। মঈন ভাইকে বিপুল ভোটে বিজয়ী করে। এই এলাকার উন্নয়ন করে স্মার্ট বাংলাদেশ রূপান্তরিত করি।

আপনার মন্তব্য লিখুন

আর্কাইভ

January 2024
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031  
আরও পড়ুন