১৪ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩০শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

EN

হাতুড়ির টুং টাং শব্দে মুখর সরাইল কামারপাড়া

বার্তা সম্পাদক

প্রকাশিত: ১১:১৪ অপরাহ্ণ , ২৫ জুন ২০২৩, রবিবার , পোষ্ট করা হয়েছে 2 years আগে

মো.তাসলিম উদ্দিন সরাইল( ব্রাহ্মণবাড়িয়া) হঠাৎ আকাশে মেঘের ছায়া” আবার রোদে গরমে ঘামছে কামার, পুড়েছে লোহা; তৈরি হচ্ছে ছুরি-বঁটি-দা। কামারশালাগুলো কোরবানি সামনে রেখে সরব হয়েছে। তাই ভাঁতির ফাঁসফুস আর হাতুড়ি পেটার ঠুকঠাক ও টুং টাং শব্দে মুখর সরাইলের কামারপাড়া।গত কয়েক দিন ধরে এমন ব্যস্ততা বেড়েছে সরাইল উপজেলার ৩৫- ৪০টি কামারের দোকানে। রোববার সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার অধিকাংশ বাজারে কর্মকাররা পশুর মাংস কাটাকাটি আর চামড়া ছড়ানোর কাজে ব্যবহৃত, ছুরি, বঁটি ও দাসহ কিছু ধারালো জিনিস তৈরিতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। তারা দিবারাত্রি অবিরত মাংসকর্তন সামগ্রী তৈরিতে দম ফেলার ফুরসত পাচ্ছেন না। তবে এসব তৈরিতে আধুনিকতার ছোঁয়া লাগেনি। সেকেলে পুরনো নিয়মেই চলছে আগুনে পুড়ে লোহা হতে ধারালো মাংসকর্তন সামগ্রী তৈরির কাজ।বিভিন্ন সাইজের, ছুরি লোহার ওজনের ওপর ভিত্তি করেও বিক্রি করা হচ্ছে। ছোট ছুরি থেকে শুরু করে বড় কিরিচ, ধামায় শান দেওয়ার জন্য কাজের গুণাগুণের ওপর ভিত্তি করে ৪০-১৮০ টাকা পর্যন্ত, ছুরি ৫০-৮০ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হচ্ছে।এদিকে কাজের ফাঁকে সরাইল সদর রোডের স্বপন রায় (৫২) নামে এক কর্মকারের সঙ্গে কথা হয়। তিনি জানান, কাজের অবস্থা ভালো না।পৈতৃক সূত্রে এ পেশায় আসা। দীর্ঘ ২০ বছর কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে যাচ্ছেন। কোরবানি এলে কাজ বাড়ে। তবে অনেক গ্রাহক সঠিক মূল্য দেন না।তৎমধ্যে উচ্চ মূল্যে কয়লা, লোহা ও স্টিলের মালামাল কিনে ক্রেতা কম থাকায় বিনিয়োগকৃত পুঁজি উঠানো নিয়ে মারাত্মক ঝুঁকিতে আছি। এ ছাড়াও আগের মতো আর কাজ নেই। কোরবানি আসলে কিছু কাজ করা যায়।

আপনার মন্তব্য লিখুন

আর্কাইভ

June 2023
M T W T F S S
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
2627282930  
আরও পড়ুন