প্রচন্ড শীতে বিপর্যস্ত সরাইলের মানুষ আসুন পাশে দাঁড়ায়
বার্তা সম্পাদক প্রকাশিত: ৯:২২ অপরাহ্ণ , ৭ জানুয়ারি ২০২৩, শনিবার , পোষ্ট করা হয়েছে 3 years আগে
মো. তাসলিম উদ্দিন সরাইল( ব্রাহ্মণবাড়িয়া)
কথায় আছে মুখে”‘পৌষের ঠান্ডায় মহিষের সিং নড়ে আর মাঘের ঠান্ডায় বাঘে কান্দে’ গ্রামবাংলার এই প্রবাদের প্রতিফলন ঘটছে সরাইল উপজেলায়।
পৌষের পর এবার মাঘের শুরুতেই নতুন করে শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় কাহিল হয়ে পড়েছে এ অঞ্চলের জনজীবন। শীতের সকালে কনকনে ঠান্ডার দাপটে ও কুয়াশায় হাট-বাজার, রাস্তাঘাট ফাঁকা থাকায় যেন স্তব্ধ হয়ে পড়েছে গোটা অঞ্চল। বিশেষ করে শ্রমজীবী মানুষ পড়েছেন চরম দুর্ভোগে। কনকনে ঠান্ডা বাতাস আর প্রচন্ড শীতের কারণে রাস্তার পাশে আগুনে তাপের উষ্ণতায় কিছু কর্মজীবী মানুষ।দিনভর হিমেল বাতাসে কনকনে শীত অনুভূত হয়। কমে যায় দিনের সূর্যের তাপ। সারা রাত গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মতো কুয়াশা ঝরে। এতে সড়ক ও মহাসড়কে চালকদের যানবাহন চালাতে হিমশিম খেতে হয়।
অরুয়াইল থেকে আসিফ ইকবাল বলেন, মাঘের শুরুতেই নতুন করে শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় উপজেলা অরুয়াইল বাটি অঞ্চলের মানুষের জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে শ্রমজীবীসহ মানুষ পড়েছেন চরম দুর্ভোগে।শনিবার সকালে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, দক্ষিণ হিমেল বাতাস ও প্রচন্ড ঠান্ডায় জনজীবন অচল হয়ে পড়েছে। প্রচন্ড ঠান্ডায় মানুষজন ঘরের বাইরে যেতে না পারায় রাস্তাঘাট ও হাট-বাজার ছিল অনেকটাই ফাঁকা। একই সঙ্গে ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে জনপদ। চারদিক অন্ধকারাচ্ছন্ন আবহাওয়ায় মাঝে মাঝে হালকা বৃষ্টির মতো কুয়াশাপাত ঘটছে।মাজু মিয়া নামের ব্যক্তি তিনি বলেন, আমার বয়স ১০০ তবে এত শীত আমার জীবনে আমি দেখি নাই। এবার যে শীত পড়েছে। সহ্য করতে পারতেছি না এত শীত।
অটো রিস্কাচালক মফিজ বলেন. যে ঠান্ডা তার উপরে রিকশা চালানো বড় কঠিন। শীতে কাঁপতেছে বললে তিনি বলেন, শীতে কাঁপুনি হলে কিহবে, রুজি করতে হবে রুজি না করলে ছেলে মেয়েরা খাবে কি?এদিকে, বিশেষ করে শ্রমজীবী মানুষ পড়েছেন চরম দুর্ভোগে। কনকনে ঠান্ডা বাতাস আর প্রচন্ড শীতের কারণে বাড়ি থেকে বের হতে না পারায় তারা পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর দিন কাটাচ্ছেন।
এই ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে,সরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও)মুহাম্মদ সরওয়ার উদ্দীন এ প্রতিনিধিকে জানান, সরকারিভাবে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।জনপ্রতিনিধিরা এলাকার শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণের চালিয়ে যাচ্ছেন।আরো শীতবস্ত্র বরাদ্দ চেয়ে জেলায় চাহিদা পাঠানো হয়েছে।
আপনার মন্তব্য লিখুন