১৪ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩০শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

EN

বরিশালে এএসপির বিরুদ্ধে প্রতারণা করে বিয়ে ও ধর্ষণের অভিযোগ

বার্তা সম্পাদক

প্রকাশিত: ৯:১৯ অপরাহ্ণ , ৩ জানুয়ারি ২০২৩, মঙ্গলবার , পোষ্ট করা হয়েছে 3 years আগে

এনই আকন্ঞ্জি,বরিশালের একটি আদালতে প্রতারণার মাধ্যমে বিয়ে ও ধর্ষণের অভিযোগে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সাবেক এক অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের (্এএসপি) বিরুদ্ধে নালিশি অভিযোগ করেছেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নারী কর্মকর্তা।সোমবার দুপুরে বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে নালিশি অভিযোগটি করেন তিনি। বিচারক মো. ইয়ারব হোসেন অভিযোগটি আমলে নিয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী মো. হুমায়ুন কবির জানান, সাত দিনের মধ্যে অভিযোগ তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর মামলা গ্রহণে শুনানি হবে।অভিযোগে বিবাদী করা হয়েছে বরিশাল দশম আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সাবেক এএসপি মাহমুদুল হাসান ফেরদৌসকে। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার ধোরানাল গ্রামের বাসিন্দা সাবেক সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. আব্দুল আউয়াল খন্দকারের ছেলে।অভিযোগ করা নারীর আইনজীবী বিপ্লব কুমার রায় জানান, বাদী নারী ও বিবাদী পুলিশ কর্মকর্তা একই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তেন। সেই সূত্রে তাদের পরিচয় ছিল। পরে বরিশাল অফিসার্স ক্লাবে তাদের দেখা হয়। পূর্বপরিচয়ের সুবাদে ক্লাবে তারা ব্যাডমিন্টন খেলতেন। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। তখন পুলিশ কর্মকর্তা ওই নারীকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। তখন ওই নারী পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। পরে তাদের মধ্যে আবারও সুসম্পর্ক হয়। বিষয়টি জানাজানি হলে ওই নারীর সঙ্গে তার স্বামীর বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে যায়। ৬ ফেব্রুয়ারি বরিশাল দশম আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের বাংলোয় শরিয়া অনুযায়ী ওই নারীর সঙ্গে বিয়ে হয় পুলিশ কর্মকর্তার। বিয়ের পর বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি অনুষ্ঠানে উভয়ে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে অংশ নিতেন। গত মার্চে পুলিশ কর্মকর্তার প্রথম স্ত্রী সন্তানসহ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের বাংলোয় আসেন। তখন ওই নারী বিয়ের কাবিন করার জন্য চাপ দিলে বাংলোয় তাকে বেধরক মারধর করেন পুলিশ কর্মকর্তা। সুস্থ হয়ে দশম আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন অধিনায়কের কাছে অভিযোগ দিতে গেলে কাবিন করতে রাজি হন ওই পুলিশ কর্মকর্তা। ২৫ জুলাই রাজধানীর গুলশানে এক বন্ধুর বাসায় কাবিন হয় তাদের। এর মধ্যে ফোনে কথা হলে পুলিশ কর্মকর্তা ওই নারীকে বিয়ের কথা স্বপ্ন মনে করে ভুলে যেতে বলেন এবং তা অস্বীকার করেন। এ নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে গুলি করে হত্যাসহ সহকর্মীদের মাধ্যমে মামলা দিয়ে হয়রানি করার হুমকি দেন। এরপর ওই নারীর সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন পুলিশ কর্মকর্তা। ২০ নভেম্বর স্ত্রীর মর্যাদা চেয়ে ওই নারী আইনি নোটিশ পাঠান। কিন্তু জবাব না পেয়ে ২৭ নভেম্বর কোতোয়ালি মডেল থানায় অভিযোগ করেন। তখন পুলিশ আদালতে মামলার পরামর্শ দেয়। সে অনুযায়ী ওই নারী আদালতের শরণাপন্ন হয়েছেন বলে জানান তার আইনজীবী। অভিযোগের বিষয়ে পুলিশ কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান ফেরদৌসের মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি। জানা যায়, পুলিশ কর্মকর্তা পুত্রের প্রভাব বিস্তার করে তার পিতা আব্দুল আওয়াল খন্দকার বিজয়নগর এলাকার নিরীহ মানুষকে নানান রকমের হয়রানীর অভিযোগ রয়েছে। নিরীহ মানুষ ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পায়নি।

আপনার মন্তব্য লিখুন

আর্কাইভ

January 2023
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
3031  
আরও পড়ুন