১৩ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৯শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

EN

বাবার মরদেহ বাড়িতে রেখেই এসএসসি পরীক্ষা দেয় ছেলে মাহিদুল

বার্তা সম্পাদক

প্রকাশিত: ১০:০০ অপরাহ্ণ , ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২, বৃহস্পতিবার , পোষ্ট করা হয়েছে 3 years আগে

এনই আকন্ঞ্জি ,ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার গ্রিন ভ্যালি স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক ছিলেন মোতাহার হোসেন খান (৪৫)। বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় তিনি মারা যান। তার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে। এরআগে সকালে কাফনে মোড়ানো বাবার মরদেহ বাড়িতে রেখেই এসএসসি পরীক্ষা দেয় তার ছেলে মাহিদুল হোসেন খান (মিরাজ)।

এ বছর জেলা শহরের অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে মিরাজ। আজ সকালে সে গণিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে।

স্থানীয়রা জানান, বুধবার যখন উপজেলার দেবগ্রামে নিজ বাড়িতে থেকে পরদিনের গণিত পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল মিরাজ, তখনই তার বাবা মারা যায়। বাবার মৃত্যুতে মনকে কিছুতেই শান্ত করতে পারছে না সে। সারারাত বাবার মরদেহের পাশে বসে দোয়া-দরুদ পড়েছে। এ অবস্থায় পরীক্ষা দিতে সকালে শহরে আসতে হয়েছে মিরাজকে।

মামা আরিফুল ইসলাম তাকে পরীক্ষা দিতে নিয়ে যান। জেলা শহরের গভর্নমেন্ট মডেল গার্লস হাই স্কুলে আসন ছিল তার। দুপুরে পরীক্ষা শেষে আবার ফিরে বাবার মরদেহের কাছে। বিকেলে বাবার জানাজার জন্য প্রস্তুতি নিতে দেখা যায় তাকে।

মিরাজ জানায়, বুধবার সকালেও বাবার সঙ্গে তার কথায় হয়। বাবার শেষ কথা ছিল ‘ভালো করে পরীক্ষা দাও, ভয় পেও না’। এখনো যেন সেই কথাই বারবার শুনছে মিরাজ।

মিরাজের মামা আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘মিরাজ ও তার বোন জেলা শহরে আমাদের বাসায় থেকে পড়াশোনা করে। আজকে তাকে আমি তাকে পরীক্ষা দিতে নিয়ে গিয়েছি। এখন আমরা বাড়িতে আছি। আমার দুলাভাইয়ের মরদেহ ফ্রিজিং গাড়িতে রাখা আছে।’

মোতাহার হোসেনের প্রতিবেশী ও তুলাই শিমুল উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক সাজ্জাদ হোসেন বলেন, মোতাহার হোসেন অনেক কষ্ট করে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছিলেন। তার অকাল মৃত্যুতে শিক্ষাঙ্গণের জন্য বড় ক্ষতি হলো। আল্লাহ যেন তাকে জান্নাতবাসী করেন।

আখাউড়া পৌরসভার প্যানেল মেয়র বাবুল মিয়া বলেন, মোতাহার খুব ভালো মনের মানুষ ছিলেন। তার মত্যুতে এলাকায় বড় ক্ষতি হলো। দোয়া করি আল্লাহ তাকে জান্নাতবাসী করেন।

আপনার মন্তব্য লিখুন

আর্কাইভ

September 2022
M T W T F S S
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
2627282930  
আরও পড়ুন