কসবায় রাতে পাহাড় কাটার মহোৎসব! পাহাড় খেকোর সাজা
বার্তা সম্পাদক প্রকাশিত: ৬:৩০ অপরাহ্ণ , ২৯ জুলাই ২০২২, শুক্রবার , পোষ্ট করা হয়েছে 3 years আগে
মোহাম্মদ রাসেল মিয়া :ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সীমান্তবর্তী উপজেলা কসবায় পাহাড় কাটার মহোৎসব চলছে। অবাধে পাহাড় কাটার ফলে কসবা উপজেলার পাহাড়গুলোর অস্তিত্ব এখন বিলীন হওয়ার পথে। নষ্ট হচ্ছে প্রাকৃতিক ভারসাম্য।স্থানীয়দের অভিযোগ, এলাকার কিছু পাহাড় খেকো ব্যক্তিস্বার্থে নিজ এবং সরকারি খাস ভূমি পাহাড় কেটে মাটি বিক্রি করে অর্থ বিত্তের মালিক হয়েছেন। একটি সংঘবদ্ধচক্র পাহাড় কাটা ও মাটি বিক্রির সঙ্গে জড়িত। তারা প্রশাসনের চোখে ফাঁকি প্রকৃতির খুঁটি পাহাড় ধ্বংস করছে।
উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের খাদলা, মাদলা, কোল্লাপাথর, নোয়াপাড়া, ধোপাখলা, সাগরতলা, বেলতলি, কৈখলা, পুটিয়া ও শ্যামপুর; গোপীনাথপুর ইউনিয়নের সুতারমুড়া, রামপুর, কাজীয়াতলা, পাথারিয়াদ্বার, মধুপুর, ফতেহপুর, কুইয়াপানিয়া ও লক্ষীপুর এবং কসবা পৌর এলাকার আকাবপুরসহ উল্লেখিত গ্রামগুলোতে চলছে পাহাড় কাটার মহোৎসব।অথচ এ সব এলাকায় ছড়িয়ে রয়েছে মুক্তিযুদ্ধের অনেক গৌরবোজ্জ্বল স্মৃতি। ঐতিহাসিক স্থানগুলো নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার অশুভ পাঁয়তারা বন্ধে স্থানীয় ও উপজেলা প্রশাসন আরও সক্রিয় ভূমিকা পালন করবে এমনটি প্রত্যাশা স্থানীয়দের।
ইতোমধ্যে অবৈধভাবে পাহাড় কাটার দায়ে লতুয়ামোড়া গ্রামের মৃত হেকিম মিয়ার ছেলে শাজাহান দীর্ঘদিন ধরে ভেকু দিয়ে পাহাড় কেটে পাহাড়ের মাটি অন্যত্র বিক্রি করে আসছে।
আজ কসবা থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মহিউদ্দিন পিপিএম এক অভিযান চালিয়ে পাহাড়খেকো শাহজাহান মিয়াকে গ্রেফতার করে। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাকে ১ লক্ষ টাকা ও এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করে ও ভেকুটি জব্দ করেন। ১ লক্ষ টাকা অনাদায়ে আরও ৭ দিনের জেল প্রদান করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন কসবা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ উল আলম।
পরে চন্ডিদ্বার ইউনিয়ন ভুমি উপসহকারী কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে শাহজাহান মিয়া, মনির হোসেন, দেলোয়ার হোসেন ও সুমন মিয়া নামীয় চার জনকে আসামী করে কসবা থানায় নিয়মিত মামলা রুজু করেন। প্রতিদিন শত শত ট্রাক নিয়ে পাহাড় কেটে তারা মাটি বিক্রি করছেন। ভরাট করছেন নিচু জমি, পুকুর, জলাশয়, খাল ও গর্ত।
আপনার মন্তব্য লিখুন