আখাউড়া স্থলবন্দরের শূন্যরেখায় মিলিত হয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী
বার্তা সম্পাদক প্রকাশিত: ৪:৩৮ অপরাহ্ণ , ২৭ মার্চ ২০২২, রবিবার , পোষ্ট করা হয়েছে 3 years আগে
স্টাফ রিপোর্টারঃ স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে আখাউড়া স্থলবন্দরের শূন্যরেখায় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি ও বিএসএফ মিলিত হয়েছে সৌহার্দ্যের বন্ধনে। ফুলেল শুভেচ্ছা ও উপহার বিনিময় হয়েছে বিউগলের সুরে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপনে শনিবার আখাউড়া স্থলবন্দরের শূন্যরেখায় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি ও বিএসএফ যৌথ ‘রিট্রিট সিরিমনি’তে মিলিত হয়।
দুই দেশের সীমান্তরক্ষীরা কুচকাওয়াজ ও বিউগলের সুরে পতাকা অর্ধনমিত করে। বিজিবি ও বিএসএফ সদস্যরা ফুলেল শুভেচ্ছা ও উপহার বিনিময় করেন।
বিজিবির কুমিল্লা সেক্টর কমান্ডার মো.মারুফুল আবেদিন বলেন, ‘উভয়ে আমরা স্ব-স্ব সীমান্তে দায়িত্ব পালন করছি। দুই দেশের স্বার্থরক্ষার জন্য পারস্পরিক সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্কের মাধ্যমে আমরা সম্মিলিতভাবে কাজ করে যাচ্ছি। অত্যন্ত বন্ধুভাবাপূর্ণ এ মনোভাব আমাদের আগামীতেও বজায় থাকবে।
‘১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে বাংলাদেশ-ভারতের জনগণের মধ্যে যে বন্ধুপ্রতীম ভ্রাতৃত্ববোধ জাগ্রত হয়েছিল, সেটিই এখন সম্প্রসারণের পাশাপাশি বন্ধন মজবুত হয়েছে। উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে পারস্পরিক সৌহার্দ্য দিনে দিনে বাড়বে, কমবে না।’
ভারতের পক্ষে প্রতিনিধিত্ব করেন বিএসএফের গোকুলনগর সেক্টরে হেডকোয়ার্টারের ডিআই রাত্নেশ কুমার। এ সময় ডিআইজি শ্রী রাকেশ রঞ্জন লাল উপস্থিত ছিলেন।
রাত্নেশ কুমার বলেন,‘সীমান্তের সমস্যাগুলো আমরা বন্ধুসুলভ আচরণের মাধ্যমে সমাধান করি। আগামীতেও এভাবে আমরা বন্ধুত্বের মাধ্যমে প্রতিবেশী দুই দেশের সীমান্ত রক্ষা করব।’
সীমান্তের এ মিলনমেলায় উপস্থিত ছিলেন সুলতানপুর ৬০ বিজিবির অধিনায়ক লে.কর্নেল মুহাম্মদ আশিক হাসান উল্লাহ, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগমসহ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
আপনার মন্তব্য লিখুন