ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের গুরুত্ব ও তাৎপর্য
বার্তা সম্পাদক প্রকাশিত: ১০:৫২ অপরাহ্ণ , ৭ মার্চ ২০২২, সোমবার , পোষ্ট করা হয়েছে 3 years আগে
মনির হোসেন টিপুঃ বঙ্গবন্ধুর ছিলেন একজন প্রাজ্ঞ রাজনীতিক। তিনি জনগণ ও শাসকশ্রেণির নাড়ি বুঝতেন। ছাত্রজীবন থেকে রাজনীতি করে আসা বঙ্গবন্ধু তার রাজনৈতিক জীবনে অসংখ্য ভাষণ, বক্তৃতা, সভা-সমাবেশ ও সেমিনারে অংশগ্রহণ করেছেন ফলে জনগণের সাথে সম্পৃক্ততা ছিল বেশি সহজ-সাবলীলভাবে তার কথাগুলো জনগণকে বুঝিয়ে দিতে পারতেন।
১ মার্চ সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার পর তিনি ও তার দলের নেতা-কর্মীরা বেশ চিন্তিত হয়ে পড়েন ৭ তারিখের ভাষণের ব্যাপারে। বঙ্গবন্ধু ড.কামাল হোসেনকে ডেকে বলেন, আমি তো লিখিত বক্তব্য দেবো না, আমি আমার মতো করে দেবো। তুমি পয়েন্টগুলো ফরমুলেট কর।
ভাষণে এমনভাবে শব্দ প্রয়োগ করেননি যাতে মনে হতে পারে তিনি সরাসরি সশস্ত্র সংগ্রাম বা আন্দোলনকে উস্কে দিচ্ছেন। ৭ মার্চের ভাষণের শাব্দিক গুরুত্ববহতার আরেকটি দিক হচ্ছে ভাষণটিতে একটি সুনির্দিষ্ট প্রবাহানুসারে কথাগুলো বলা হয়েছে। প্রথমদিকে ইতিহাস, মাঝের দিকে অত্যাচার ও অন্যায়ের কথা এবং হুশিয়ারির সাথেসাথে আলোচনার আহ্বান আর শেষের দিকে জনগণের প্রতি দিক-নির্দেশনামূলক কথাবার্তা।
শেষের কথাটি “এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম”–ভাষণের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ডায়লগ যেটি শোনার জন্যেই বাংলার দামাল ছেলেরা,শ্রোতারা মুখিয়ে ছিলেন। সবশেষে ‘জয় বাংলা’ বলে ভাষণটি শেষ করেছেন বঙ্গবন্ধু, যে স্লোগানটি পরবর্তীতে বাঙালির স্বাধীনতা সংগ্রামের রণধ্বনিতে পরিণত হয়েছিল।
৭ মার্চে রেসকোর্সের ভাষণের পরে নিউইয়র্কের দ্য নিউজউইক ম্যাগাজিন ৫ এপ্রিলে প্রকাশিত সংখ্যায় বঙ্গবন্ধুকে ‘পোয়েট অব পলিটিক্স’ বা ‘রাজনীতির কবি’ বলে আখ্যায়িত করেছিল।
আপনার মন্তব্য লিখুন