১১ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৮শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

EN

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রাতেও চলে নির্বাচন অফিসের কার্যক্রম

বার্তা সম্পাদক

প্রকাশিত: ১০:৪০ অপরাহ্ণ , ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২, সোমবার , পোষ্ট করা হয়েছে 3 years আগে

এনই আকন্ঞ্জি,আন্তর্জাতিক শ্রম আইনে একজন কর্মচারী কমপক্ষে ৮ ঘণ্টা অফিস করার বিধান থাকলেও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় দেখা যায় তার উল্টো চিত্র।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নির্বাচন অফিসের নির্ধারিত সময়ের চেয়ে অফিসে আরও ৪ ঘণ্টা অতিরিক্ত সময় দিচ্ছেন কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারিরা।

সরকারি সেবার গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর হচ্ছে নির্বাচন অফিস বা নির্বাচন কমিশন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নির্বাচন অফিসও একটি গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর। এখানে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত অফিস করার নিয়ম থাকলেও এখানকার কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ অফিস করছেন রাত ৯টা পর্যন্ত।

নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, নতুন ভোটার নিবন্ধন, স্থানান্তর, ভুল সংশোধনসহ নানাবিধ সেবা পেতে নির্বাচন অফিসে আসছেন উপজেলার ১১ ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার সেবা গ্রহীতারা। ইউপি-পৌরসভা নির্বাচন ২০২১ চলাকালীন সময়ে ভোটার সংক্রান্ত সব কার্যক্রম বন্ধ ছিল। নির্বাচন পরবর্তী সময়ের পর ভোটার সংক্রান্ত কার্যক্রম চালু হওয়ায় প্রতিদিন শত শত মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন উপজেলা নির্বাচন অফিসারের কার্যালয়ে। সেবা গ্রহীতাদের তুলনায় অফিসের জনবল অপ্রতুল হওয়ায় সেবা দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ। সেজন্য প্রতিদিন গড়ে ৫ শতাধিক সেবা গ্রহীতার বিপরীতে সেবা দিচ্ছেন একজন কর্মকর্তাসহ ছয়জন কর্মচারী। এর মধ্যে কর্মকর্তা অফিসের বিভিন্ন কাজে সপ্তাহে ১/২ দিন কর্মস্থলের বাহিরে থাকতে হয়। ফলে বাকি দিনগুলো দু’জন কর্মচারী ও তিনজন আউট সোর্সিং দিয়ে চলে কার্যক্রম। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় প্রায়ই ৬লাখ মানুষের বসবাস। প্রতিদিনই বাড়ছে নতুন ভোটার নিবন্ধন। সেই সাথে রয়েছে ভোটার তালিকা হালনাগাদের সময় বাদ পড়া ভোটার, কিংবা ভুল সংশোধনী এবং স্থানান্তর ভোটারদের শুনানি ও ফিঙ্গারপ্রিন্টের মাধ্যমে অন্তর্ভুক্তিসহ নানাবিধ কার্যক্রম। এসব সেবা পেতে সপ্তাহের সাতদিনই উপজেলা নির্বাচন অফিসারের কার্যালয়ে শত শত সেবা গ্রহীতার দীর্ঘ লাইন দেখা যায়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জান্নাত জাহান জানান, অনেক সময় জনদূর্ভোগের কথা চিন্তা করে অতিরিক্ত সময়ও অফিসে থাকতে হয়। বিগত ইউপি-পৌরসভা নির্বাচন ২০২১ চলাকালীন সময়ে ভোটার সংক্রান্ত সকল কার্যক্রম স্থগিত ছিল। নির্বাচন পরবর্তী সময়ে নতুন ভোটার, ভোটার স্থানান্তর, এনআইডি সংশোধনসহ আরও গুরুত্বপূর্ণ কাজ গুলো করতে গিয়ে অফিসে বেশি সময় দিতে হচ্ছে।

তিনি আরও জানান, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. জিল্লুর রহমানের নির্দেশনায় জনদুর্ভোগের কথা চিন্তা করে নিরলসভাবে সেবা দিয়ে যাচ্ছি। প্রতিদিন গড়ে ৫ শতাধিক মানুষকে সেবা দিচ্ছি। আউটসোর্সিং তিনজনসহ আমাদের ছয়জনের পক্ষে এত মানুষের সেবা দেওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। শুক্রবার ও শনিবার বন্ধের দিনেও আমরা তিন শতাধিককে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সম্পন্ন করেছি। জনদুর্ভোগের কথা চিন্তা করে অফিসের নির্ধারিত সময়ের চেয়ে আরও ৪ ঘণ্টা অতিরিক্ত সময় দিচ্ছি।

আপনার মন্তব্য লিখুন

আর্কাইভ

February 2022
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28  
আরও পড়ুন