ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল আদায়ের অভিযোগ
বার্তা সম্পাদক প্রকাশিত: ১২:০৭ পূর্বাহ্ণ , ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২, বুধবার , পোষ্ট করা হয়েছে 2 years আগে
স্টাফ রিপোর্টারঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অনুমাননির্ভর ইউনিট লিখে বিদ্যুৎ বিল আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। শহরের বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রায় এক যুগ সেবা নয়, মাসে মাসে বিদ্যুতের গ্রাহকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত বিল আদায় করাই যেন বিদ্যুৎ বিভাগের মূল উদ্দেশ্য। ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে বছরের পর বছর এ অবস্থা চলতে থাকলেও কবে মানুষ এ ভোগান্তি থেকে মুক্তি পাবে তা কেউ জানে না।
২০১৫-১৬ সালের দিকে যখন মিটার না দেখে অতিরিক্ত বিল তৈরি করে গ্রাহকের বাড়িতে পাঠানো হতো তখন বিদ্যুতের কর্মকর্তাদের অজুহাত ছিল জনবল সংকট। তারা বলতেন, জনবল না থাকায় বাধ্য হয়ে মিটার না দেখেই বিল তৈরি করতে হয় তাদের। ফলে বেশি ইউনিট লেখা হয়ে যায়। কিন্তু বর্তমানে যখন জনবলের কোনো সংকট নেই, মিটার দেখার লোক আছে তখনো এ সমস্যা দূর হচ্ছে না। ব্যবহূত ইউনিট মিটারে যা দেখা যায়, তার থেকে বেশি লিখে বিল তৈরি করে পাঠায় বিদ্যুৎ বিভাগের লোকরা। এভাবে প্রতি মাসেই গ্রাহকের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে। ফলে প্রতি মাসে বিলের কাগজ গ্রাহকের হাতে পৌঁছার পর তা সংশোধনে বিদ্যুৎ অফিসে ভিড় করেন অনেকে। ক্ষুব্ধ গ্রাহকের অনেককে তারা বিল কমিয়ে অথবা বাকিতে পরিশোধ করার সিস্টেম করে দেন। কিন্তু প্রতি মাসে এসব করতে গিয়ে অবর্ণনীয় হয়রানির শিকার হতে হয় তাদের। এ বিষয়ে জানতে চাইলে কথা বলেন না ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পিডিবির কর্মকর্তারা। তাদের কাছে সাংবাদিকরা এ সমস্যা নিয়ে কথা বলতে গেলে তারা বলেন, সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে ওপর মহলের নিষেধ আছে।
শহরের পীরবাড়ি এলাকার বাসিন্দা রীতা জানান, তার মিটারে ইউনিট দেখাচ্ছে দুই হাজার। কিন্তু বিদ্যুৎ বিল দেয়া হয়েছে তিন হাজার ইউনিট লিখে। শুধু এ মাসে নয়, প্রতি মাসেই বাড়তি বিল লেখা হচ্ছে।
অতিরিক্ত বিল আদায়ের ব্যাপারে কয়েক মাস আগে প্রসঙ্গক্রমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পিডিবির বিতরণ বিভাগ-২-এর (ঘাটুরা) নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল হান্নান এ প্রতিবেদককে বলেছেন, মন্ত্রণালয়ের নির্দেশেই তারা এভাবে অতিরিক্ত বিল তৈরি করেন।
আপনার মন্তব্য লিখুন