বিজয়নগরে বিটেবাড়ির জায়গা নিয়ে ৬জন আহত, থানায় মামলা।।
বার্তা সম্পাদক প্রকাশিত: ১০:৪২ অপরাহ্ণ , ২৩ জানুয়ারি ২০২২, রবিবার , পোষ্ট করা হয়েছে 3 years আগে
মোঃনিয়ামুল ইসলাম আকন্ঞ্জি,ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে বিটেবাড়ির জায়গা নিয়ে প্রতিপক্ষের হামলায় ৬জন আহত হয়েছেন।
আহত পক্ষের লোকেরা বিজয়নগর থানায় ১৪ জনের নাম উল্লেখ্য করে একটি মামলা দায়ের করার পরিপ্রেক্ষিতে পাল্টা মামলা দায়ের করেছে প্রতিপক্ষ লোকেরাও।
রবিবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে দিকে বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মির্জা মুহাম্মদ হাসান উভয়পক্ষের দুটি মামলা রুজুর বিষয়টি সাংবাদিককে নিশ্চিত করেছেন।
বুধবার দুপুরে বিজয়নগর উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের গোয়ালনগর গ্রামে মৃত মফিজুদ্দিনের প্রথম ওয়ারিশদের সাথে দ্বিতীয় ওয়ারিশদের মারামারির ঘটনাটি ঘটে।
এ ঘটনায় আহতরা হলেন, ইয়ার হোসেন (৪৮), মিজানুর রহমান (৫০), ছানাউল হক (১৯), রত্না বেগম (৩২), মিনা আখতার (৩৫) ও ডলি আখতার (৩৭)।
আহত মিজানুর রহমান জানান, তার বাবা মফিজুদ্দিনের দুই সংসার। প্রথম সংসারে তারা তিনভাই ও দ্বিতীয় সংসারে তাদের আটবোন একভাই। ১৯৯৬ সালে মফিজদুদ্দিনের দুইবোন ও তাদের দুইফুফু থেকে দ্বিতীয় সংসারে বড়ছেলে ও তাদের সৎভাই মুছা মিয়া (নাবালক বয়সকালে) বিটেবাড়ি থেকে ৫৬ শতাংশ যায়গা কিনেন।
তিনি আরও বলেন, সে ও তার তিনভাই মিলে দুই-ফুফুর ওয়ারিশদের কাছ থেকে বিটেবাড়ির ৪১ শতাংশ জায়গা ক্রয় করেছিল। পৈতৃক বিটেবাড়ির মোট ২০২ শতাংশ যায়গার মধ্যে চার ফুফুর ওয়ারিশদের ৯৭ শতাংশ যায়গা ও বাকি ১০৫ শতাংশ যায়গার মালিক তার সৎ-মা ও মুছা মিয়ার খোদেজা খাতুনের। কিন্তু মুছা মিয়ার কারনে তারা চার-ভাইয়ের ক্রয়কৃত ৪১ শতাংশ বিটেবাড়ির জায়গা দখল নিতে পারছে না। যায়গা দখলে গেলেই মিথ্যে মামলা ও হুমকিধামকি দেন মুছা মিয়া।
মামলার বাদি ডলি আখতার জানান, গত বুধবার মারামারিতে আমাদের ৬জন আহত হয়। ওই মামলার প্রধান আসামী মুছা ও তার বোন বীনা আখতারের সাথে তার শ্বশুর মৃত মুফিজুদ্দিনের প্রথম সংসারের ছেলে জায়গা সম্পত্তি নিয়ে বিরোধতা হয়। বীনা বাবার বাড়িতে থাকেন। বীনা বিয়ের পর থেকে স্বামীর বাড়িতে যায়নি। এমন কি ছেলে-মেয়েদের কাছেও যায় না বীনা। দু’পক্ষের মধ্যে ঝগড়ার মুল কারন বীনা আখতার। সে বিভিন্ন ভাবে মিথ্যে মামলা ও হুমকিধামকি দেয়। তারা কয়েকদিন পরপর বিটেবাড়ির যায়গাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন মিথ্যে মামলা দিয়ে হয়রানীর চেষ্টা করেন। সরকারী দলের নেতাদের সাথে সুসম্পর্ক ও প্রশাসন তাদের তাদের পকেটে আছে বলে একাধিকবার এলাকায় প্রভাববিস্তার করেছে। বিটেবাড়ির যায়গা ফিরে পেতে প্রশাসন ও সাংবাদিকদের কাছে সহযোগী চেয়েছেন।
উভয়পক্ষের মামলা রুজুর ব্যাপারে বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মির্জা মুহাম্মদ হাসান জানান, আমরা উভয় পক্ষের মামলা নিয়েছি। ডলি আখতারের মামলাটি বৃহস্পতিবার রুজু করা হয়েছে, এর একদিন পর বীনা আকতারের মামলাটি রুজু করা হয়। বীনা আকতারের মামলায় ৬জনকে আসামী করা হয়।
আপনার মন্তব্য লিখুন