১৪ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩০শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

EN

কুয়াশার সৌন্দর্য ছাড়া শীতের কথা যেন ভাবাই যায় না

বার্তা সম্পাদক

প্রকাশিত: ২:৫৩ অপরাহ্ণ , ৬ জানুয়ারি ২০২২, বৃহস্পতিবার , পোষ্ট করা হয়েছে 4 years আগে

মোঃ শহিদুল ইসলাম / বিশেষ প্রতিনিধি।প্রকৃতির চিরন্তন নিয়মে শীত আসে ঘন কুয়াশার চাদর মুড়ি দিয়ে। কুয়াশার সৌন্দর্য ছাড়া শীতের কথা যেন ভাবাই যায় না। শীতে তাপমাত্রা কম থাকে এবং মাটিতে থাকা আর্দ্রতা উপরে উঠে গিয়ে কুয়াশা তৈরি করে। এমন চিত্র দেখা যায়, ৬ ই জানুয়ারি খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার চুকনগর ও আঠারেমাইলে।

মাটির তুলনায় বাতাসে উষ্ণতা ও আর্দ্রতা বেশি থাকার কারণে কুয়াশা তৈরি হয়।

কুয়াশার কারণে সূর্যের কিরণ ঢুকতে পারে না। তাই তাপমাত্রা কম থাকে এবং শীত অনুভূত হয়। তাছাড়া সূর্যের কিরণ গাছপালায় পৌঁছতে না পারায় পাতায় সালোক-সংশ্লেষণের পরিমাণ কমে যায়। এতে গাছপালা পুষ্টি কম পায় এবং গাছের খাদ্য কম পরিমাণে তৈরি হয়। একই কারণে অক্সিজেনের উৎপাদনও কমে যায়। শীতে কুয়াশার কারণে রবি শস্যের উৎপাদন কমে যায়।

তবে যে যা-ই বলুক, কুয়াশার রয়েছে এক অন্যরকম সৌন্দর্য, এক ভিন্ন আমেজ। কষ্ট এবং রাস্তায় চলাচলে ঝুঁকি থাকলেও শীতের কুয়াশার অসাধারণ সৌন্দর্য যেন অজান্তেই সবার মনে নাড়া দেয়। শীতের সকাল একটি ভিন্ন রূপ ও সৌন্দর্যের ডালি নিয়ে আবির্ভূত হয়। মনে হয় দিগন্তজুড়ে সাদা শাড়ি পরে কে যেন প্রকৃতিকে কুয়াশার আড়ালে ঢেকে রেখেছে। সকালে ঘন কুয়াশায় পথঘাট ঢেকে যায়, পাতায় পাতায় এবং সবুজ ঘাসে শিশির পড়ে। বাড়ির উঠানে কিংবা একটু দূরে একত্রে জড়ো হয়ে শীতের প্রকোপ থেকে রেহাই পেতে আগুন পোহানোর চিত্র হরহামেশাই চোখে পড়ে গ্রামে-গঞ্জে।

অবশ্য শহর এলাকায় এ সৌন্দর্য এত নিবিড়ভাবে উপলব্ধি করা যায় না। কুয়াশা মাখানো কালো পিচের রাস্তায় হেডলাইট জ্বালিয়ে চলে গাড়ি। রিকশাও চলে ধীরে ধীরে। রাস্তার পাশে ফুটপাতের চায়ের দোকানগুলোতে জমে ওঠে ভিড়। শীতের তীব্রতা উপেক্ষা করে সামান্য শীতবস্ত্র গায়ে জড়িয়ে গ্রামের কৃষকরা খুব সকালে লাঙ্গল-জোয়াল কাঁধে নিয়ে বেরিয়ে পড়ে; ব্যস্ত হয়ে পড়ে ক্ষেত-খামারের কাজে। শহরের মানুষও কুয়াশাঘেরা সকালে কাজকর্মে বেরিয়ে পড়ে।

নতুন সবজি আর বিচিত্র সব মাছের ছড়াছড়ি শীতে। সবচেয়ে লোভনীয় ও মজাদার খাবার হল নতুন গুড়ের ক্ষির-পায়েস। পিঠা-পায়েসের আসর বেশি জমে গ্রামবাংলায়। আমাদের হাজারও সমস্যা সত্ত্বেও গ্রামবাংলায় এসব পিঠা-পার্বণের আনন্দ এখনও মুছে যায়নি।

আপনার মন্তব্য লিখুন

আর্কাইভ

January 2022
M T W T F S S
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
31  
আরও পড়ুন