১৪ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩০শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

EN

আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দুলাল মিয়ার, পুকুর ভরাট ও বিল্ডিং নির্মান ঠেকাবে কে?

বার্তা সম্পাদক

প্রকাশিত: ৭:৩৭ অপরাহ্ণ , ১৯ ডিসেম্বর ২০২১, রবিবার , পোষ্ট করা হয়েছে 4 years আগে

মোঃনিয়ামুল ইসলাম আকন্ঞ্জি:ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের পূর্ব পাইকপাড়ার রাম ঠাকুর মন্দিরের পাশের পুকুরটি যেন কোন ভাবেই দখলদারদের কবল থেকে রক্ষা পাচ্ছেনা। কিছুদিন আগে পরিবেশ আইন অমান্য করে পুকুরের একটি অংশ ভরাট করে সেখানে বিল্ডিং নির্মানের সময় প্রশাসন তাৎক্ষণিক মামলা করে দুলাল মিয়া ও মানিক মিয়াসহ ৩ জনকে জরিমানা করে। এছাড়া একই পুকুরে একই অপরাধে গত ২৮ এপ্রিল ভ্রাম্যমাণ আদালতে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিলো জেলা শহরের কাজীপাড়া এলাকার মো. বশির চৌধুরির ছেলে পুকুর মালিক মো. শিহাব চৌধুরীকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং অপর দুই পুকুরের মালিক পূর্ব পাইকপাড়া এলাকার আব্দুল মজিদের ছেলে আমিরুল ইসলাম ও একই এলাকার ননী গোপাল পালের ছেলে শেখর পালকেকে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।

কিন্তু তা স্বত্বেও পুকুরের ভিতর বিল্ডিং নির্মান থামছেনা। বর্তমানেও ওই পুকুরের পশ্চিম-দক্ষিণ কোনে দুলাল মিয়া নামের ওই ব্যক্তি বিল্ডিং নির্মান অব্যাহত রেখেছেন। কাজটি তিনি এতটাই নির্বিঘ্নে করছেন যেন বাধা দেওয়ার কেউ নেই। জেল জরিমানা হওয়ার পরও তারা কিভাবে এই কাজ করছেন তা একটি বড় প্রশ্ন। অনেকে মনে করছেন, দুলাল টাকা দিয়ে সবাইকে ম্যানেজ করেই এই কাজ করছেন। আর তা যদি না হয় তাহলে দুলালের খুটির জোর কোথায়?

এ বিষয়ে অভিযুক্ত দুলালের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, পরিবেশ অধিদপ্তরের সাথে মিমাংসা করেই তিনি আবার পুকুরের ভিতর বিল্ডিং নির্মানের কাজ ধরেছেন।

যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক নূরুল আমীন। তিনি বলেছন, এখানে মিমাংসার কোন বিষয় নেই। কয়েক মাস আগে আমরা অভিযোগ পেয়ে সেখানে যাই। আইন লঙ্গন করায় দুলাল ও মানিকসহ ৩ জনকে আমরা তাৎক্ষণিক মামলার মাধ্যমে জরিমানা করি। তখন তাদেরকে বলা হয়েছিলো তিন মাসের মধ্যে যেন পুকুরের ভরাটকৃত অংশটিকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দেয়। এখন তারা যদি সেই আদেশ না শুনে পুনরায় বিল্ডিং নির্মানের কাজ করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে এবার নিয়মিত মামলা করা হবে। আইনে যা আছে তাই করা হবে।

শহরের যেকোনো পুকুর ভরাট করতে হলে পৌরসভা/সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হয়। কিন্তু এক্ষেত্রে দুলাল ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার অনুমতি নেননি। সম্পূর্ণ অবৈধ ভাবে পুকুর ভরাট করে সেখানে বিল্ডিং নির্মাণ করছেন তিনি। বিষয়টি ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভাকে একাধিকবার জানানোর পরও তারা কোন ব্যবস্থা নেয়নি।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী কাউছার আহমেদ জানান, সেখানে অবৈধভাবে পুকুর ভরাট করে বিল্ডিং নির্মাণ করা হচ্ছে। আমরা কোনভাবেই এই বিল্ডিং নির্মাণ করতে দিব না।

আপনার মন্তব্য লিখুন

আর্কাইভ

December 2021
M T W T F S S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031  
আরও পড়ুন