সাধারণ সদস্য পদে ৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও ভোট পেয়েছেন ১জন বাকিরা প্রাপ্ত ভাট শূন্য
বার্তা সম্পাদক প্রকাশিত: ৯:১৩ অপরাহ্ণ , ১ ডিসেম্বর ২০২১, বুধবার , পোষ্ট করা হয়েছে 4 years আগে
মোঃনিয়ামুল ইসলাম আকন্ঞ্জি: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার একটি ইউনিয়নে বিরল ঘটনা ঘটেছে। তৃতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সাধারণ বাঞ্ছরামপুরের একটি ইউনিয়ন ওয়ার্ড সদস্য পদে সাতজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও ভোট পেয়েছেন কেবল একজন প্রার্থী। বাকি ছয় প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোট শূন্য। এর ফলে প্রশ্ন উঠেছে প্রতিদ্বন্দ্বী ছয় প্রার্থীর নিজের ভোট গেল কোথায়? তাদের পরিবার ও সমর্থকরাও কি তাদেরকে ভোট দেননি! তবে প্রতিদ্বন্দ্বীদের একজনের দাবি, তিনি নিজের প্রতীকে ভোট দিয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ২৮ নভেম্বর বাঞ্ছারামপুর উপজেলার শুধুমাত্র মানিকপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। বাকি সব ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সবাই নির্বাচিত হওয়া ওইসব এলাকায় নির্বাচন হয়নি। ওই ইউনিয়নে ৪নং ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য পদে সাতজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এরা হলেন- কাউসার মিয়া (ভ্যানগাড়ি), মোতালিব মিয়া (ঘুড়ি), মো. আলমগীর (আপেল), জাহাঙ্গীর হোসেন (তালা), মিস্টার আলী (ফুটবল), সফিকুল ইসলাম (মোরগ) ও হাসান মিয়া (বৈদ্যুতিক পাখা)।
৪ নম্বর ওয়ার্ডের মায়ারামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রের মোট ভোটার সংখ্যা দুই হাজার ১৬৩। এ কেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন এক হাজার ১৬১ জন ভোটার। এর মধ্যে বৈধ ভোট দেখানো হয়েছে এক হাজার ১৫৫টি। আর বাতিলকৃত ভোট সংখ্যা ছয়টি। তবে বৈধ এক হাজার ১৫৫টি ভোটের সবকটিই হাসান মিয়ার বৈদ্যুতিক পাখা প্রতীকে পড়েছে বলে প্রিসাইডিং অফিসার স্বাক্ষরিত ফলাফল শিটে উল্লেখ করা হয়েছে।
ভোট না পাওয়া ছয় প্রার্থীর মধ্যে মুঠোফোনে দুইজনের সঙ্গে কথা হয়। বাকি চার প্রার্থীর মুঠোফোনে কল করা হলে তারা রিসিভ করেননি।
সদস্য পদে মোরগ প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী সফিকুল ইসলাম জানান, তিনি ভোটকেন্দ্রে গিয়ে নিজের প্রতীকেই নিজের ভোট দিয়েছেন। কিন্তু কেন তার প্রাপ্ত ভোট শূন্য উল্লেখ করা হয়েছে, সেটি তার বোধগম্য হচ্ছে না।
আরেক প্রার্থী জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, ভোটের দুইদিন আগে স্থানীয় নেতারা এসে এক প্রার্থীকে নির্বাচন করার কথা জানিয়ে তাকে নির্বাচন থেকে সরে যেতে বলেন। সেজন্য ক্ষোভে তিনি কেন্দ্রে যাননি।
নির্বাচনে বিজয়ী হওয়া প্রার্থী হাসান মিয়া বলেন, ‘”অন্য প্রার্থীরা আমাকে সমর্থন দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। গ্রামবাসীও আমাকে সমর্থন দিয়েছেন।”
মায়ারামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে প্রিসাইডিং অফিসারের দায়িত্বে থাকা হুসাইন মোহাম্মদ বেলাল বলেন, “ভোটের আগেরদিন শুনেছি সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থীদের মধ্যে একজনকে সমর্থন দিয়ে অন্য প্রার্থীরা সরে দাঁড়িয়েছেন। আমার কেন্দ্রে ভোটগ্রহণে কোনো ধরনের সমস্য হয়নি। আমার কাছে কেউ কোনো অভিযোগও করেনি।”
আপনার মন্তব্য লিখুন