বিদ্যুৎতের ভেলকিবাজিতে দিশেহারা সরাইলবাসী
বার্তা সম্পাদক প্রকাশিত: ১২:০৫ পূর্বাহ্ণ , ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২১, শুক্রবার , পোষ্ট করা হয়েছে 4 years আগে
মো. তাসলিম উদ্দিন সরাইল( ব্রাহ্মণবাড়িয়া) ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরাইল উপজেলায় ‘দিন-রাত সমান তালে বিদ্যুৎ যাওয়া-আসা করছে। এক ঘণ্টার মধ্যে ৫ থেকে ৮ বারও বিদ্যুৎ চলে যায়। যাওয়ার ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর বিদ্যুৎ এলেও তা কিছুক্ষণ ও থাকে না। রাতে তা দ্বিগুণ হয়ে অনেক বেড়ে যায়। কখনও কখনও এক ঘণ্টার মধ্যে ৩-৪ বার বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে। রাত-দিনের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ঘরে বিদ্যুৎ থাকে মাত্র ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা। তীব্র গরমের মধ্যে বিদ্যুৎ না থাকায় জনজীবন হাঁসফাঁস। বিদ্যুৎতের ভেলকিবাজিতে দিশেহারা হয়ে পড়েছি।
একতো প্রচণ্ড গরমে এমন অবস্থা চলতে থাকলে ভোগান্তি চরম মাত্রা ধারণ করবে।’ এভাবে বিদ্যুৎ নিয়ে কষ্টের ও ভোগান্তির কথা বললেন সরাইল উপজেলার
বাসিন্দা গৃহিণী ফাতেমা বেগম। তার মতো প্রতিদিন সরাইলবাসীকে এমন ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। এদিকে বিদ্যুৎ ঘন ঘন আসা-যাওয়ার কারণে বাড়িতে তীব্র পানি সংকট দেখা দিয়েছে। গতকাল রাতে বিদ্যুৎ চলে গেলে আসে সকালে।তার মধ্যে বিদ্যুতের ভেলকি বাজিতে দুর্ভোগ এখন চরমে।
সরাইলের ব্যবসায়ী আলমগীর বলে,এবার দিন ও রাতে সমান তালেই শুরু হচ্ছে বিদ্যুতের খেলা । কোথাও এক ঘণ্টায় ৫ থেকে ৮ বার কোথাও আবার ১০ বারও ঘটছে ভেলকিবাজি। দিন-রাতের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রতিদিন গড়ে বিদ্যুৎ থাকছে মাত্র ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা। ঘন ঘন যাওয়া আসা কবলে পড়ে অসহনীয় যন্ত্রণা ভোগ করতে হচ্ছে উপজেলাবাসীকে। গতকাল রাতে বিদ্যুৎ- গেছে আইছে সকালে। এখন তিন হানজালা বিদ্যুৎ নাই।
এদিকে বিদ্যুতের ভিলকিবাজিতে বয়স্কদের তুলনায় সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়ছে শিশুরা। বিদ্যুতের যাওয়া-আসার এমন খেলা গরমের সময় চলতে থাকলে কী অবস্থা হবে, তা নিয়েই টেনশনে আছেন সরাইল উপজেলাবাসী। ১৬ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বিদ্যুৎ ছিল না।।
ভোগান্তির কথা স্বীকার করে সরাইল বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. সুমন হোসেন এ প্রতিনিধিকে বলেন, কাল রাত থেকে মেইন লাইনে সমস্যা হয়েছে। এখন আশুগঞ্জ কাজ করতেছে তাই সাময়িক সমস্যা হচ্ছে।।
আপনার মন্তব্য লিখুন