১৪ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩০শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

EN

সুনামগঞ্জে আপন ভাইদের কবল থেকে নিজের সম্পত্তি উদ্ধার ও নির্যাতনের প্রতিকার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন

বার্তা সম্পাদক

প্রকাশিত: ২:৩১ অপরাহ্ণ , ২৭ আগস্ট ২০২১, শুক্রবার , পোষ্ট করা হয়েছে 4 years আগে

মো. শাহীন আলম, সুনামগঞ্জ::সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলায় আপন ভাইদের কবল থেকে নিজের সম্পত্তি উদ্ধার ও অত্যাচার নির্যাতন থেকে বাঁচতে আকুতি জানিয়েছে এক নিরীহ দম্পতি। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা সদরে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এই আকুতি জানান উপজেলার দোহালিয়া ইউনিয়নের গুরেশপুর গ্রামের মৃত রোয়াব আলীর পুত্র উমর আলী।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘দীর্ঘ ২৫ বছর আমার আপন বড় ভাই সাকির আলী ও ফজলুল করিমের সাথে সৌদিআরব প্রবাসে ছিলাম। সেখানে চাকরি করে যা উপার্জন করেছি সমুদয় টাকা আমার বড় ভাইদের কাছে জমা থাকে। প্রবাসে থাকা অবস্থায় দেশে থাকা আরেক ভাই জুয়াহির আলীর মাধ্যমে যৌথ ভাবে সহায় সম্পত্তি ক্রয় করা হয়। প্রায় ৮ বছর পূর্বে দেশে ফেরার পর আমার জায়গা সম্পত্তি ও কাগজপত্র দেখতে চাইলে আমার তিনভাই আমাকে কোনো কিছুই দেখাতে রাজি হয়নি। সে থেকে আমি ও আমার ভাইদের মধ্যে পারিবারিক ভাবে মনোমালিন্য চলে আসছে। আমাকে সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করতে ওঠে পড়ে লাগে এবং আমি ও আমার পরিবারের বিরুদ্ধে নানাভাবে অত্যাচার ও নির্যাতন শুরু করে। এনিয়ে গ্রাম পঞ্চায়েতের হস্তক্ষেপে একাধিক বার সালিশ বিচারে আমার সহায় সম্পত্তি ফিরিয়ে দেওয়া সিদ্ধান্ত আসে কিন্তু আমার তিন ভাই সালিশ বিচারের রায় মেনে নিলেও পরবর্তীতে সম্পত্তি ফিরিয়ে দিতে গড়িমসি করে। শেষ পর্যন্ত আমি আইনের দারস্থ হলে দোয়ারাবাজার থানা পুলিশ আপোষ মিমাংসায় একইভাবে বাটোয়ারার মাধ্যমে আমার সম্পত্তি আমাকে ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু আইনের দারস্থ হওয়ায় তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আমি ও আমার স্ত্রী ফারজানা বেগমকে বেধড়ক মারপিট করে। মামলা তুলে না নিলে তারা আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এখন আমি অসহায় ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমি আমার ভাইদের কবল থেকে আমার নায্য সম্পত্তি ও নিরাপত্তা চাই।’
এব্যাপারে জানতে চাইলে দোয়ারাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেব দুলাল ধর বলেন, ‘এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য উভয়পক্ষকে নিয়ে বসে সুরাহা করা হবে।’

 

আপনার মন্তব্য লিখুন

আর্কাইভ

August 2021
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
3031  
আরও পড়ুন