১৪ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩০শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

EN

সন্তানকে নিয়ে উধাও ইতালি প্রবাসীর স্ত্রী

বার্তা সম্পাদক

প্রকাশিত: ১০:৫৬ অপরাহ্ণ , ১৫ জুলাই ২০২১, বৃহস্পতিবার , পোষ্ট করা হয়েছে 4 years আগে

মোঃনিয়ামুল আকন্ঞ্জি,স্টাফ রিপোর্টারঃপারিবারিকভাবে বিয়ে হয় রুহুল আমিন ও সায়মা আক্তারের। সুখে-শান্তিতেই চলছিল তাদের সংসার। তাদের ঘরজুড়ে আলোকিত করে আসে ফুটফুটে ছেলে সন্তান। কিন্তু সেই সুখের সংসার ফেলে স্বামীর সঙ্গে প্রতারণা করে সন্তানকে নিয়ে উধাও হয়েছেন সায়মা। সঙ্গে নিয়ে গেছেন ইতালি প্রবাসী রুহুল আমিনের দেওয়া টাকা-পয়সা ও স্বর্ণালংকারও। ঘটনাটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার খাড়েরা ইউনিয়নের খাড়েরা গ্রামের।

রুহুল আমিনের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ৪ নভেম্বর খাড়েরা গ্রামের আবু আব্দুল্লাহ ভূইয়ার ছেলে রুহুল আমিন ভূইয়া ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদরের  উত্তর পৈরতলার মাসুদ মিয়ার মেয়ে সায়মা আক্তারের বিয়ে হয়। দাম্পত্য জীবনে রুহুল ও সায়মা এক ছেলে সন্তানের জনক ও জননী। বিয়ের আগ থেকেই ইতালি থাকতেন রুহুল আমিন। বছরে একবার দেশে আসতেন ছুটিতে। বিয়ের পরও নিয়মিত দেশে আসা-যাওয়া ছিল তার।

গত ১৬ জুন সায়মা তার শ্বশুরবাড়িতে যাবেন বলে তার বাবার বাড়ি থেকে বের হন। কিন্তু তিনি আর শ্বশুরবাড়ি যাননি। এ ঘটনায় সায়মার পরিবার ও তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজন তার সন্ধান চেয়ে কসবা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানায় পৃথক দুটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এখনো পর্যন্ত সায়মার কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। তবে গত ২২ জুন রুহুলের বাড়িতে ডাকযোগে তালাকনামা পাঠান তিনি। এর পাশাপাশি রুহুলকে ফোন করে পছন্দের অন্য ছেলেকে বিয়ে করবেন বলেও জানান সায়মা।

রুহুল আমিন ভূইয়া অভিযোগ করে বলেন, কয়েক মাস ধরে সায়মার আচরণ সন্দেহজনক ছিল। আমি ফোন করলে সে ভালোভাবে কথা বলত না। ছেলেকে দেখতে চাইলে দেখতে দিত না। সে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়ে। আমার বাড়িতে তালাকনামা পাঠিয়ে অন্য ছেলেকে বিয়ে করবে বলে জানিয়েছে। আমার ছেলে এখন সায়মার কাছে আছে। আমি আমার ছেলেকে ফেরত চাই।

এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার পরিদর্শক (এসআই) হুমায়ূন কবির জনান, সায়মা নিজ থেকেই বাড়ি ছেড়েছেন। তার সন্ধান চেয়ে পরিবারের করা জিডির আলোকে তাকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।

আপনার মন্তব্য লিখুন

আর্কাইভ

July 2021
M T W T F S S
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031  
আরও পড়ুন