সরাইলে হিজড়া এখন কষ্টে আছে! কেউ দে’না
বার্তা সম্পাদক প্রকাশিত: ২:১২ পূর্বাহ্ণ , ১৩ জুলাই ২০২১, মঙ্গলবার , পোষ্ট করা হয়েছে 4 years আগে
মো.তাসলিম উদ্দিন সরাইল( ব্রাহ্মণবাড়িয়া) সাধারণ মানুষ থেকে সাজ আর বাচনভঙ্গি, কথা বলার ধরন একেবারেই আলাদা। তবে তারা কোথায় গেলে দল বেধে এক সাথে তিন- চার জন বের হয়। এমন তাদের সাথে কথা হয় গতকাল ১১ জুলাই রোববার সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বারান্দায় ও জরুরী সেবা দান কক্ষে। এসময় জরুরী কক্ষে বসে রোগীদের চিকিৎসা সেবা দেন উক্ত হাসপাতালের কর্তব্যরত ডা. মো. মাহবুবুর রহমান বকুল।চিকিৎসা নিতে আসা হিজড়া সরদারকে জিজ্ঞেস করতেই ভাষায় ভঙ্গিতে বলে সাংবাদিক ভাই এখন আমরা আছি বড়ই কষ্টে। খুনেন, লকডাউনে বিয়ে বা বড় কোন অনুষ্ঠান হয় না। সাংবাদিক ভাই খুনেন, আমার আন্ডারে আছে বিশ হিজড়া কনতো আমি করি। নাই কোন রোজগার, আছে বাড়ি ভাড়া, খাওনি কাপড় চুপড় আরে কতো কি? লকডাউনে ঘর থেকে বাইরে যেতে পারি না। এ সময় আমড়ারে কেউ কিছু দেনা, এতো জনরে লইয়া অনেক কষ্টের মাঝে সময় কাটাতে হয়। আমি তাহি কালিকচ্ছ্ এ পযর্ন্ত কোন লেম্বর বা চেয়ারম্যান সরকারি ভাবে কিছু দেইনাই আমড়া চলবাম কেমরে। এমন করে বলছিলেন সরাইল হিজড়া সম্প্রদায়ের নেতা তার ভাষায়।তার পাশে দাড়িয়ে আছে শিবাঙ্গী হাতে তুরি দিয়ে বলে, দেখেন আমড়া যদি কোন কাম কাজের ব্যবস্থা থাকতো আমড়া কি মানুষের বাড়িতে এসব করতাম। তার ভাষায় বলে লকডাউনে বিয়ে-সাধী নাইরে,বলতো আমড়া কেমড়ে চলি। তোরা যমুন খাস আমড়ার খাওনি লাগেরে।
এখন অনেকের কষ্টের পর কষ্ট ! কেউ কিছু দেনা। আমড়ার কষ্টের সময় পারলে কিছু দে?? শিবাঙ্গী বলে আরো বলে আমড়া যদি কাজ পাইনি তবে মানুষের উপর অন্যায় কাজ করবনা??
বিভিন্ন তথ্য মাধ্যমে জানাযায়,এদের সামাজিক ভাবে গ্রহণ না করার কারণেই চিকিৎসা, শিক্ষা, কর্মসংস্থানসহ নানা স্থানে বিভিন্ন ভাবে বিড়ম্বনার মুখে পড়তে হয় তাদের ।হিজড়ারা এবং তাদের নিয়ে যেসব সংস্থা কাজ করে তারা দীর্ঘদিন ধরেই এদেরকে তৃতীয় লিঙ্গ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য দাবি জানিয়ে আসছে।যাতে তাদের অন্যান্য অধিকারগুলো রক্ষা হয়।সরকার সম্প্রতি তাদের কিছু কাজের প্রশিক্ষণ দেওয়ার প্রকল্প হাতে নিয়েছে বলে জানাযায়।।
আপনার মন্তব্য লিখুন